১১ কিমি সড়কজুড়ে খানাখন্দ

সংস্কারের অভাবে শান্তিগঞ্জের পাথারিয়া-দিরাই-বাংলাবাজার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। ১১ কিলোমিটার এ রাস্তাটি খনাখন্দে ভরে গেছে। প্রায়ই গর্তে যানবাহন আটকে ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে মানুষ। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত রাস্তা সংস্কারের।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ একাধিক সরকারি দপ্তরে রাস্তা সংস্কারের জন্য আবেদন করেও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাথারিয়া-বাংলাবাজার রাস্তাটি ভেঙে খানাখন্দ ‍সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি সড়কের মধ্যভাগে লোহার রড বের হয়ে গেছে। গর্তের ছোট-বড় যানবাহন আটকে ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, শান্তিগঞ্জ ও দিরাই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন স্থান ভেঙে গর্তে পরিণত হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে কাদা ভরে যায়। এ সময় হেঁটে যাওয়া তো দূরের কথা, যানবাহনও চলতে পারে না। এ ছাড়া শিক্ষার্থীসহ অন্তঃসত্ত্বা নারীরা বেশি ঝুঁকি নিয়ে চলছেন।

ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু হানিফ চৌধুরী বলেন, ‘পাথারিয়া-বাংলাবাজার সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এই রাস্তা দিয়ে শান্তিগঞ্জের তিন ইউনিয়নের হাজারো মানুষ চলাচল করেন। ফলে ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলাচলরত মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দ্রুত এ রাস্তাটি সংস্কার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।’

মোটরসাইকেল চালক সহিবুর রহমান বলেন, ‘এ রাস্তার একাধিক স্থানে খনা-খন্দে ভরে গেছে। বৃষ্টি হলে বড় বড় গর্তে পানি জমে কাদায় ভরে যায়। এমন অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।’

শিমুলবাঁক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু বলেন, পাথারিয়া-বাংলাবাজার সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। ভাঙা রাস্তায় এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমরা এলাকাবাসীর ব্যানারে অনেকবার সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি, কিন্তু এত আশ্বাসের পরও রাস্তা আর সংস্কার হয়নি। এ রাস্তাটি সংস্কার করা হলে এ এলাকার মানুষের জীবনের ব্যাপক উন্নতি হবে।’

এ বিষয়ে দিরাই উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, টেন্ডারের কাজ প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।