Ajker Patrika

‘কোচরা তো সেভাবে খেলোয়াড় চেনে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২১, ১০: ৫৪
‘কোচরা তো সেভাবে খেলোয়াড় চেনে না’

বিপর্যয়ের শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে। ভরাডুবির ধারাবাহিকতা থাকল পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজেও। বাবর আজমদের বিপক্ষে দুই সংস্করণের সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে প্রায় অর্ধেকটা খেয়ে ফেলা মিরপুর টেস্ট মুমিনুল হকরা যেভাবে হেরেছেন, দলকে ঘিরে ধরা অন্ধকার তাতে আরও গাঢ় করেছে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই আজ স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ১২টায় নিউজিল্যান্ডের রাজধানী অকল্যান্ডে পা রাখার কথা বাংলাদেশের। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তো বটেই, বড় অস্বস্তিতে সময় কাটছে নির্বাচক প্যানেলেরও। নির্বাচকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হচ্ছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। দল নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নবিদ্ধ হতে হচ্ছে তাঁকেই।

গতকাল মিনহাজুল কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। তাঁকে নিয়ে চলা সমালোচনার উত্তর দিয়েছেন, ‘দল যখন জিততে পারে না, তখন সমালোচনা হয়। জিতলে সমালোচনা হয় না।’ গতকাল নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার একটা পর্যায়ে নান্নু স্বীকার করলেন সাম্প্রতিক ব্যর্থতার কথা, ‘পুরো সিরিজে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। বিশ্বকাপ থেকেই ভালো হচ্ছে না। হতাশাজনক হারের কারণে খেলোয়াড়েরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এখন ওদের সমর্থন দরকার। বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এই দলটা আমাদের ভালো কিছু উপহার দিয়েছে।’

বারবার প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনপ্রক্রিয়া ও স্বাধীনতা নিয়ে নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘অবশ্যই (স্বাধীনভাবে কাজ করা)। টিম ম্যানেজমেন্ট তো খেলা দেখে না। কোচরা তো সেভাবে খেলোয়াড় চেনে না। আমরা সবকিছু দেখে, খেলা দেখে খেলোয়াড়দের সুযোগ দিচ্ছি। দল নির্বাচনে দুটি স্তর আছে। একটা আমরা হেড কোচের সঙ্গে মিটিং করি। তারপর অধিনায়কের সঙ্গে। এরপর আমরা দল তৈরি করে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যানকে দিই। এখান থেকে সভাপতির কাছে যায় অনুমোদনের জন্য। যেহেতু তিনি (নাজমুল হাসান পাপন) বোর্ড সভাপতি, তিনি অবশ্যই জিজ্ঞেস করবেন যে কেমন দল হচ্ছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, একাদশ নির্বাচক প্যানেল ঠিক করে না।

টানা নয় হারে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে। এমন বিপর্যস্ত দল নিয়েই আগামী ১ জানুয়ারি সিরিজের প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবেন মুমিনুলরা। এমন কঠিন বাস্তবতার পরও স্বপ্ন দেখছেন প্রধান নির্বাচক, ‘ক্রিকেটে উত্থান-পতন আছে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে এটা চলা অবশ্যই হতাশার। আশা করছি আমাদের ক্রিকেট ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা যে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি আশা করছি দুই বছরের মধ্যে টেস্টে একটা ভালো দল হবে আমাদের।’

৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে নান্নু ও আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশারের মেয়াদ। প্রধান নির্বাচক হিসেবে অর্ধযুগ কাটিয়ে দেওয়া নান্নু নিজের মেয়াদ বিশ্লেষণ করেছেন এভাবে, ‘যতটুকু কাজ করেছি, যথেষ্ট চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করতে। কিছু সিরিজ আমরা ভালোভাবেই জিতেছি। ওয়ানডেতে আমরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা এখনো ওই জায়গায় আসতে পারিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

বংশরক্ষায় মৃত ছেলের শুক্রাণু চান মা, সংরক্ষণের নির্দেশ মুম্বাই হাইকোর্টের

আমাকে ধর্ষণের সময় পাশে দাঁড়িয়ে দেখছিল দুই যুবক: ধর্ষণের শিকার তরুণী

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত