Ajker Patrika

টানা বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
টানা বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, পুকুর ও ঘের, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার মানুষ।

ভারী বৃষ্টিতে বেড়ে গেছে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি। এতে ভোলার বেড়িবাঁধের বাইরের নতুন করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভোলা সদর উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।

জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে ভোলা সদর উপজেলা ছাড়াও বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন নিচু এলাকা তলিয়ে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন চরাঞ্চলে বসবাসরত বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দারা। এতে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চরফ্যাশন উপজেলার বেড়িবাঁধের বাইরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে বহু মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারের প্রভাবে ও কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে, এতে বাঁধের কোনো ক্ষতি হয়নি।

টানা বৃষ্টিতে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার সাইদখালী, কালাইয়া, চরখালী, মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় মাছুয়া, মাঝেরচর, বেতমোড়, ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলীখালী, চরখালী এবং সদর উপজেলার শারিকতলা এলাকায় এক থেকে দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে আমন ধানের ওপর কিছুটা প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. নজরুল ইসলাম জানান, জেলায় ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়েছে। তবে জোয়ারের পানি 
বৃদ্ধির ফলে চারা গাছ তলিয়ে গেলেও ক্ষতি হবে না। কারণ জোয়ারের পানি নেমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

ঝালকাঠির বিষখালী নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। রশি ছিঁড়ে নদীর মধ্যে চলে গেছে পল্টুন। ঝালকাঠি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় টানা বর্ষণ ও উচ্চ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। জেলার ৬টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের খেত, ভেসে গেছে মাছের ঘের।

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবিকায় কষ্ট হলে তাঁদের যথাসাধ্য সহায়তা করবে জেলা প্রশাসন। 
লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। পায়রাসহ সব বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত