মো. সাইফুল ইসলাম আকাশ, বোরহানউদ্দিন (ভোলা)
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ভরা মৌসুমেও নদীতে মিলছে না ইলিশ। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা। এদিকে নদীতে যাওয়া জেলেরা মাছ না পেয়ে প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। তবে সাগরে যাওয়া গুটিকয়েক জেলে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন মাছঘাটে খবর নিয়ে জানা গেছে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে যাওয়া জেলেরা মাছ না পেয়ে প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। তাঁরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা মিলবে; কিন্তু ভরা মৌসুমেও জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এর মধ্যে রয়েছে দাদন, মহাজনি ঋণ ও দৈনিক সুদের টাকা পরিশোধের চাপ।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিনে ১৯ হাজার ৮৪ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। তবে অনিবন্ধিত জেলেসহ উপজেলায় মোট ২৫ হাজার জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার জেলে আশপাশের নদীতে এবং বাকিরা সাগরে মাছ ধরেন। সাগরে যাওয়ার বোট কম থাকায় অন্য উপজেলা ও জেলার বাইরের বোটে গিয়ে সাগরে মাছ ধরেন এখানকার অনেক জেলে।
জেলে কাশেম মাঝি বলেন, ‘দীর্ঘদিন নদীতে মাছ ধরি। নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঝিমাল্লা নিয়ে নদীতে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০টি ইলিশ পাচ্ছি। এতে বোট ও জেলেদের দৈনন্দিন খরচও ওঠাতে পারছি না।’ তাঁর ধারণা, সামনের কটালে (পূর্ণিমায়) নদীতে ইলিশ পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে সাগরে যাওয়া হাতে গোনা কয়েকজন জেলে মাছ পেয়ে খুশি। সাগরে যাওয়া জেলেরা বলছেন, সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
শেল্টার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও হাকিমুদ্দিন, মির্জাখিল ঘাটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মাঝি; তেঁতুলিয়া নয়নের খালের জুয়েল মেম্বার ও কালাম বদ্দার জানান, দাদনের লাখ লাখ টাকা নদীর জলে গেছে। নদীতে মাছ নেই। তাঁদের টাকা উঠছে না। মহাসংকটে তাঁরা।
জেলেরা বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ জেলে পেশা পরিবর্তন করবেন। এবার নদীতে কোনো মাছ নেই। ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ছে সাগরে। সাগরের একটা ফিশিং বোট দৈনিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার ইলিশ শিকার করে।
জেলে জামাল, শহিদুল, জাহাঙ্গীর ও নেজামাল বলেন, এ বছর ভরা মৌসুমেও মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। তবু আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, নদীতে মাছ ধরা পড়ার। তেঁতুলিয়ার অবস্থা খুবই করুণ।
বোরহানউদ্দিনের মেঘনার সেন্টার বাজার মাছঘাট, হাকিমুদ্দিন মির্জা খালু মাছঘাট, স্লুইসগেট বাজারের বেশ কয়েকটি আড়ত ঘুরে জানা যায়, খুব কম পরিমাণে মাছ কেনাবেচা হচ্ছে।
সরাজঘাটে অবস্থানরত তেঁতুলিয়ার জেলে সিরাজ সরদার বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে মাছ পাওয়া যায়। সাইজেও বড়।’ হেজু মাঝি জানান, সাগরে ইলিশ আছে। তবে সাগর উত্তাল। জাল ফেলা কষ্টকর। উপজেলার জেলেরা সাগরে তেমন যান না, তাঁরা নদীমুখীই।
উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শাহে আলম ও ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ মাঝি জানান, সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে নদীতে মাছ খুবই কম।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলী আহমেদ আখন্দ বলেন, ‘উপজেলার বেশির ভাগ জেলেই মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় মাছ ধরে জীবনযাপন করছেন। নদীতে এখন তেমন মাছ না পাওয়ার জেলেরা হতাশা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ সাগরের মাছ। ডিম পাড়ার সময় মিঠাপানির খোঁজে তারা নদীতে আসে। বর্তমানে নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেশি, তাই সাগরে ইলিশের দেখা মিললেও নদীতে নেই। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নদীতেও মাছ মিলবে বলে আমরা আশাবাদী। তখন জেলেদের আর সংকট থাকবে না এবং তাঁরা ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।’
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ভরা মৌসুমেও নদীতে মিলছে না ইলিশ। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন উপকূলের জেলেরা। এদিকে নদীতে যাওয়া জেলেরা মাছ না পেয়ে প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। তবে সাগরে যাওয়া গুটিকয়েক জেলে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন।
গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন মাছঘাটে খবর নিয়ে জানা গেছে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে যাওয়া জেলেরা মাছ না পেয়ে প্রতিদিন লোকসান গুনছেন। তাঁরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা মিলবে; কিন্তু ভরা মৌসুমেও জালে ধরা পড়ছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এর মধ্যে রয়েছে দাদন, মহাজনি ঋণ ও দৈনিক সুদের টাকা পরিশোধের চাপ।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, বোরহানউদ্দিনে ১৯ হাজার ৮৪ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। তবে অনিবন্ধিত জেলেসহ উপজেলায় মোট ২৫ হাজার জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার জেলে আশপাশের নদীতে এবং বাকিরা সাগরে মাছ ধরেন। সাগরে যাওয়ার বোট কম থাকায় অন্য উপজেলা ও জেলার বাইরের বোটে গিয়ে সাগরে মাছ ধরেন এখানকার অনেক জেলে।
জেলে কাশেম মাঝি বলেন, ‘দীর্ঘদিন নদীতে মাছ ধরি। নিষেধাজ্ঞা শেষে মাঝিমাল্লা নিয়ে নদীতে প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০টি ইলিশ পাচ্ছি। এতে বোট ও জেলেদের দৈনন্দিন খরচও ওঠাতে পারছি না।’ তাঁর ধারণা, সামনের কটালে (পূর্ণিমায়) নদীতে ইলিশ পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে সাগরে যাওয়া হাতে গোনা কয়েকজন জেলে মাছ পেয়ে খুশি। সাগরে যাওয়া জেলেরা বলছেন, সাগরে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
শেল্টার বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও হাকিমুদ্দিন, মির্জাখিল ঘাটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মাঝি; তেঁতুলিয়া নয়নের খালের জুয়েল মেম্বার ও কালাম বদ্দার জানান, দাদনের লাখ লাখ টাকা নদীর জলে গেছে। নদীতে মাছ নেই। তাঁদের টাকা উঠছে না। মহাসংকটে তাঁরা।
জেলেরা বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ জেলে পেশা পরিবর্তন করবেন। এবার নদীতে কোনো মাছ নেই। ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ছে সাগরে। সাগরের একটা ফিশিং বোট দৈনিক ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার ইলিশ শিকার করে।
জেলে জামাল, শহিদুল, জাহাঙ্গীর ও নেজামাল বলেন, এ বছর ভরা মৌসুমেও মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের দেখা মেলেনি। তবু আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, নদীতে মাছ ধরা পড়ার। তেঁতুলিয়ার অবস্থা খুবই করুণ।
বোরহানউদ্দিনের মেঘনার সেন্টার বাজার মাছঘাট, হাকিমুদ্দিন মির্জা খালু মাছঘাট, স্লুইসগেট বাজারের বেশ কয়েকটি আড়ত ঘুরে জানা যায়, খুব কম পরিমাণে মাছ কেনাবেচা হচ্ছে।
সরাজঘাটে অবস্থানরত তেঁতুলিয়ার জেলে সিরাজ সরদার বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে মাছ পাওয়া যায়। সাইজেও বড়।’ হেজু মাঝি জানান, সাগরে ইলিশ আছে। তবে সাগর উত্তাল। জাল ফেলা কষ্টকর। উপজেলার জেলেরা সাগরে তেমন যান না, তাঁরা নদীমুখীই।
উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শাহে আলম ও ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবু সাঈদ মাঝি জানান, সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে নদীতে মাছ খুবই কম।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলী আহমেদ আখন্দ বলেন, ‘উপজেলার বেশির ভাগ জেলেই মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় মাছ ধরে জীবনযাপন করছেন। নদীতে এখন তেমন মাছ না পাওয়ার জেলেরা হতাশা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইলিশ সাগরের মাছ। ডিম পাড়ার সময় মিঠাপানির খোঁজে তারা নদীতে আসে। বর্তমানে নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেশি, তাই সাগরে ইলিশের দেখা মিললেও নদীতে নেই। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নদীতেও মাছ মিলবে বলে আমরা আশাবাদী। তখন জেলেদের আর সংকট থাকবে না এবং তাঁরা ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪