Ajker Patrika

মেঘনার তীব্র ভাঙন, ক্ষতি ৫০ হাজার পরিবারের

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
মেঘনার তীব্র ভাঙন, ক্ষতি ৫০ হাজার পরিবারের

গত পাঁচ বছরে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে মেঘনার ভাঙনের শিকার প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। তারা গৃহহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শুকনো মৌসুমেও ভয়াবহ ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ওই বছরগুলোতে ৫০টি হাট-বাজার, ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চার হাজার হেক্টর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ৩ হাজার ৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্প বালুসংকটের অজুহাতে একাধিকবার বন্ধ হয়। কয়েক দিন ধরে ২৬ জন ঠিকাদারের মধ্যে আটজন ঠিকাদার দায়সারাভাবে কাজ করছেন। কাজ শুরুর এক বছরেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের জুন মাসে ৩১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ৩ হাজার ৮৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা প্রকল্প বরাদ্দ দেয় সরকার। এরপর ৯৯টি প্যাকেজে ভাগ করে একই বছরের আগস্ট মাসে প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

প্রথম পর্যায়ে ২৬টি প্যাকেজে ১৫ জন ঠিকাদারকে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ দেওয়া হয়। এখনো কাজ চলমান রয়েছে। তবে যে সংকট রয়েছে তা কেটে যাবে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৯৬ কিলোমিটার বন্যা প্রতিরোধ বেড়িবাঁধ থাকলেও প্রায় ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। সরকারি হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত পাঁচ বছরে দুই উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বসতভিটা হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তবে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ সময়ে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমি সম্পন্ন নদীতে বিলীন হয়। এ ছাড়া চরকালকিনি ও মাতব্বর হাটসহ অন্তত ৩৫টি হাট-বাজার, ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারিসহ বহু স্থাপনা সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

কমলনগর উপজেলার লধুয়ার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির, নিজাম উদ্দিন, মাইন উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘কাজ শুরুর বছর পার হলেও দৃশ্যমান কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। বর্ষা শুরুর আগে কাজ শুরু হয়। কিন্তু বর্ষা শেষ হয়ে গেছে বাঁধের কাজ হচ্ছে না। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, বালুসংকটের কারণে কাজ করা যাচ্ছে না। বারবার ঠিকাদারদের কাজ করতে নির্দেশনা দিলেও কোনো কাজে আসছে না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত