ইজাজুল হক, ঢাকা
সৌদি আরবের ফল প্রসঙ্গ এলেই চোখের সামনে সারি সারি খেজুরগাছের দৃশ্য ভেসে ওঠে। কিন্তু খেজুর উৎপাদনে অন্যতম শীর্ষ দেশটি অন্যান্য পুষ্টিকর সুস্বাদু ফলমূল উৎপাদনেও পিছিয়ে নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অংশ হিসেবে আঙুর উৎপাদনকেও বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে; বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবুক প্রদেশ সর্বোচ্চ আঙুর উৎপাদন করে খবরের শিরোনাম হয়েছে।
তাবুক প্রদেশ লোহিত সাগরের তীরে জর্ডান সীমান্তে অবস্থিত। এটি উত্তর আরবের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, শীর্ষস্থান অর্জনকারী তাবুক প্রদেশ বার্ষিক ৪৩ হাজার ৭৫০ টন আঙুর উৎপাদন করছে এবং দেড় কোটির বেশি গাছে আঙুর চাষ করছে। তাবুকের কৃষি বিভাগের প্রধান নাসের আল-আতভি আরব নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাসের আল-আতভি জানান, তাবুকের বৃহত্তম দুই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আসত্রা ফুড কোম্পানি লিমিটেড এবং তাবুক অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি অত্যন্ত পেশাদারির সঙ্গে জমির মালিকদের সঙ্গে যৌথভাবে আঙুর চাষ ও আহরণের কাজ করে থাকে।
আল-আতভি আরও জানান, মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং আঙুর চাষবিষয়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষিমেলার আয়োজন করে ভোক্তাদের সামনে পণ্যগুলো তুলে ধরার এবং বাজার তৈরির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষি উন্নয়ন তহবিল থেকে ঋণ সরবরাহ করে কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে। কৃষকদের দক্ষতা বাড়াতে আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালার।
তাবুকের বিস্তীর্ণ মরু অঞ্চলে আঙুরশিল্প গড়ে তোলার গল্প বলতে গিয়ে আল-আতভি বলেন, কৃষি ও সেচব্যবস্থার সর্বাধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ করতে কৃষকদের সব সময় উৎসাহ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অন্যান্য অঞ্চলের আঙুর চাষের অভিজ্ঞতাগুলোকেও কাজে লাগানো হয়েছে। ফলে আঙুর চাষে ব্যাপক সাফল্য আসে এবং তাবুক নিজের চাহিদা মিটিয়ে এখন অন্য অঞ্চলেও আঙুর সরবরাহ করছে।
আল-আতভি আরব নিউজকে জানিয়েছেন, আঙুর নিরাপদ ও ভালো রাখতে নিয়ম অনুযায়ী কীটনাশক ও সারের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। সেচের পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনভায়রো-স্ক্যান সিস্টেমের মতো আধুনিক কৃষিযন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ইলেকট্রো-স্ট্যাটিক স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আল-আতভি তাবুকের যুবরাজ ফাহাদ বিন সুলতানের প্রশংসা করে বলেন, তিনি কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা দিয়ে চলেছেন, ফলে তাবুক কৃষিসমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। তাবুক অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির নির্বাহী উপপ্রধান ইয়াহিয়া আল-মোবারকি জানান, কৃষি কোম্পানিগুলোর গবেষণা বলছে, তাবুকে আঙুর চাষের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। মূলত আঙুর চাষের সাফল্য চারা নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে। পরিবেশের সঙ্গে জুতসই চারা না হলে তাতে সাফল্য আসে না। এ ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় স্বাদের সঙ্গে মাটির গুণগত মানও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।
আল-মোবারকি আরও জানান, নির্বাচিত আঙুরের জাত অবশ্যই স্থানীয় বাজারের চাহিদার সঙ্গে মিলতে হবে। তাবুক এসব বিষয় কাজে লাগিয়ে সৌদি আরবে আঙুর উৎপাদনে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ‘বিষয়টি আমাদের জন্য আনন্দের’ বলেছেন ইয়াহিয়া আল-মোবারকি।
সূত্র: আরব নিউজ
সৌদি আরবের ফল প্রসঙ্গ এলেই চোখের সামনে সারি সারি খেজুরগাছের দৃশ্য ভেসে ওঠে। কিন্তু খেজুর উৎপাদনে অন্যতম শীর্ষ দেশটি অন্যান্য পুষ্টিকর সুস্বাদু ফলমূল উৎপাদনেও পিছিয়ে নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অংশ হিসেবে আঙুর উৎপাদনকেও বেশ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে; বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের তাবুক প্রদেশ সর্বোচ্চ আঙুর উৎপাদন করে খবরের শিরোনাম হয়েছে।
তাবুক প্রদেশ লোহিত সাগরের তীরে জর্ডান সীমান্তে অবস্থিত। এটি উত্তর আরবের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। দেশটির পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, শীর্ষস্থান অর্জনকারী তাবুক প্রদেশ বার্ষিক ৪৩ হাজার ৭৫০ টন আঙুর উৎপাদন করছে এবং দেড় কোটির বেশি গাছে আঙুর চাষ করছে। তাবুকের কৃষি বিভাগের প্রধান নাসের আল-আতভি আরব নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নাসের আল-আতভি জানান, তাবুকের বৃহত্তম দুই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আসত্রা ফুড কোম্পানি লিমিটেড এবং তাবুক অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি অত্যন্ত পেশাদারির সঙ্গে জমির মালিকদের সঙ্গে যৌথভাবে আঙুর চাষ ও আহরণের কাজ করে থাকে।
আল-আতভি আরও জানান, মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং আঙুর চাষবিষয়ক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কৃষিমেলার আয়োজন করে ভোক্তাদের সামনে পণ্যগুলো তুলে ধরার এবং বাজার তৈরির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষি উন্নয়ন তহবিল থেকে ঋণ সরবরাহ করে কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা হচ্ছে। কৃষকদের দক্ষতা বাড়াতে আয়োজন করা হচ্ছে বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালার।
তাবুকের বিস্তীর্ণ মরু অঞ্চলে আঙুরশিল্প গড়ে তোলার গল্প বলতে গিয়ে আল-আতভি বলেন, কৃষি ও সেচব্যবস্থার সর্বাধুনিক পদ্ধতির প্রয়োগ করতে কৃষকদের সব সময় উৎসাহ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অন্যান্য অঞ্চলের আঙুর চাষের অভিজ্ঞতাগুলোকেও কাজে লাগানো হয়েছে। ফলে আঙুর চাষে ব্যাপক সাফল্য আসে এবং তাবুক নিজের চাহিদা মিটিয়ে এখন অন্য অঞ্চলেও আঙুর সরবরাহ করছে।
আল-আতভি আরব নিউজকে জানিয়েছেন, আঙুর নিরাপদ ও ভালো রাখতে নিয়ম অনুযায়ী কীটনাশক ও সারের ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। সেচের পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনভায়রো-স্ক্যান সিস্টেমের মতো আধুনিক কৃষিযন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ইলেকট্রো-স্ট্যাটিক স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আল-আতভি তাবুকের যুবরাজ ফাহাদ বিন সুলতানের প্রশংসা করে বলেন, তিনি কৃষি উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা দিয়ে চলেছেন, ফলে তাবুক কৃষিসমৃদ্ধ অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। তাবুক অ্যাগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির নির্বাহী উপপ্রধান ইয়াহিয়া আল-মোবারকি জানান, কৃষি কোম্পানিগুলোর গবেষণা বলছে, তাবুকে আঙুর চাষের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। মূলত আঙুর চাষের সাফল্য চারা নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে। পরিবেশের সঙ্গে জুতসই চারা না হলে তাতে সাফল্য আসে না। এ ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় স্বাদের সঙ্গে মাটির গুণগত মানও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।
আল-মোবারকি আরও জানান, নির্বাচিত আঙুরের জাত অবশ্যই স্থানীয় বাজারের চাহিদার সঙ্গে মিলতে হবে। তাবুক এসব বিষয় কাজে লাগিয়ে সৌদি আরবে আঙুর উৎপাদনে শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ‘বিষয়টি আমাদের জন্য আনন্দের’ বলেছেন ইয়াহিয়া আল-মোবারকি।
সূত্র: আরব নিউজ
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫