Ajker Patrika

নিষেধাজ্ঞার পর বাজারে প্রচুর মাছ, দাম চড়া

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
নিষেধাজ্ঞার পর বাজারে প্রচুর মাছ, দাম চড়া

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর মাছ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতারা মাছ কিনতে বাজারে ভিড় করছেন। এই সুযোগে বাজারে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ সিরাজদিখান বাজারে মাছ কিনতে ভিড় করেন। এতে বিক্রেতারাও আনন্দ-উদ্দীপনা নিয়ে মাছ বিক্রি করছেন।

জানা গেছে, নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ৭ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য সমুদ্র ও নদীতে ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এ সময় মাছ ধরা, বিক্রি, বিপণন, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ ছিল। গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়।

গতকাল বেলা ১১টার দিকে সিরাজদিখান মাছ বাজারে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে মাছ বাজার। ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর অন্য দিনের তুলনায় ক্রেতাদের বেশি ভিড় ছিল। সেই সঙ্গে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের দামও ছিল বেশি। আকার ভেদে নানা দামে মাছ বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, আগের দিনে চেয়ে প্রতি কেজি ইলিশ ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। বড় আকারের (দেড় কেজি বেশি) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে। প্রায় ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। আর ছোট আকারের ইলিশের দাম প্রতি কেজি ১ হাজার ১০০ টাকায়।

এদিকে তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, বিভিন্ন আকারের রুই ২০০ টাকা থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা, ছোট রুই (নলা) ১৯০ থেকে ২০০ টাকা ও বড় আকারের পাঙাশ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ কিনতে আসা আওলাদ ব্যাপারী বলেন, ‘বাজারে প্রচুর মাছ উঠেছে, তবে দাম অনেক চড়া। এত দিন নিষেধাজ্ঞা ছিল, সে ক্ষেত্রে বাজারে মাছ ছিল কম। আজকে (শনিবার) নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কারণে বাজারে প্রচুর মাছ উঠেছে। তাই বাজার থেকে মাছ কিনেছি।’

আরেকজন ক্রেতা ইখলাসুর রহমান বলেন, ‘মাছের দাম অনেক বেশি। তারপরও মাছ কিনতে এসেছি, পাঙাশ কিনে বাড়ি যাচ্ছি। বাজারে ইলিশ মাছ ছিল কম, তাই ইলিশ মাছ কিনতে পারি নাই।’

মাছ বিক্রেতা শংকর নাথ বলেন, ‘২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর আজ (শনিবার) সকালে আড়তে গিয়ে ইলিশ মাছ কিনতে পারি নাই। তবে অন্য মাছ ছিল প্রচুর। আমি অন্য মাছ কিনে বাজারে এসেছি।’ তিনি বলেন, ‘বেশির ভাগ ক্রেতাই আজ ইলিশ কিনতে বাজারে এসেছেন, কিন্তু মাছ ছিল কম। তবে দু-এক দিন পর ইলিশ মাছ বাজারে সরবরাহ বাড়বে। তখন ক্রেতারা কিনে খেতে পারবেন। আজকে ইলিশের দাম বেশি ছিল, সরবরাহ বাড়লে ইলিশের দামও কমবে।’

উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাফরোজা সুলতানা বলেন, ‘মা ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষ্যে ৭ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য সমুদ্র ও নদীতে ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা ছিল। আজ (শনিবার) নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে। এতে বাজারে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উঠেছে। তাই বাজারে ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত