Ajker Patrika

টাঙ্গাইল-৮: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও অনুপমের কথার লড়াই

সাইফুল ইসলাম সানি, সখীপুর (টাঙ্গাইল) 
টাঙ্গাইল-৮: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ও অনুপমের কথার লড়াই

টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের নির্বাচনী প্রচার জমে উঠেছে। গামছা প্রতীকের প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) ও আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে সরগরম নির্বাচনী মাঠ।

নির্বাচনী পথসভায় এই দুই প্রার্থীর কেউ কাউকে খোঁচা মেরে কথা বলতে ছাড়ছেন না। কাদের সিদ্দিকী কথায় কথায় বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার বোন।’ এর জবাবে জয় বলছেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা।’ এভাবে তাঁদের কথার পিঠে কথা, মিছিল-সমাবেশ, পথসভা, উঠান বৈঠকে জমে উঠেছে টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের নির্বাচনী প্রচার।

বেশ কয়েকটি নির্বাচনী পথসভায় দেওয়া বক্তব্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, এবার কাদের সিদ্দিকীর নির্বাচনী মূল প্রতিশ্রুতি দুই উপজেলাকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করা এবং আটিয়া বন অধ্যাদেশ সংশোধন অথবা বাতিল করে বন বিভাগের অত্যাচার থেকে সখীপুরবাসীকে মুক্ত করা। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় ওই সবের পাশাপাশি এলাকার বেকার সমস্যা দূর করে রাস্তাঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন নিয়মিত।

সরেজমিনে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাদের সিদ্দিকীকে ঘিরে যত শঙ্কা ও অস্বস্তি স্থানীয় আওয়ামী লীগের। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মাঠে নেমে পড়েন বঙ্গবীর। গুঞ্জন ওঠে টাঙ্গাইল-৮ আসন প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাই (রাজনৈতিক) কাদের সিদ্দিকীকে ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন, আসন ভাগাভাগিসহ নির্বাচনী সব কটা স্তরে এই গুঞ্জন স্থানীয় আওয়ামী লীগকে নীরব যন্ত্রণায় পুড়িয়েছে। তবে গত ২৪ ডিসেম্বর অনুপম শাহজাহান জয় সখীপুর-বাসাইলের কয়েকজন নেতাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এরপর থেকেই প্রচারে চাঙাভাব ফিরে পায় আওয়ামী লীগ।

গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা হিসাব-নিকাশ করেই মনোনয়ন দিয়েছেন। এ আসনে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো জোট নেই। উৎসবমুখর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর এই নির্বাচনের মাধ্যমেই আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেব।

সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার বলেন, আসনটি মূলত নৌকার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।

এদিকে কাদের সিদ্দিকী নির্বাচনী সভায় প্রায় সময় বলেন, এবার যদি ভোটকেন্দ্রে ভোটার না হয়, সম্মান যাবে প্রধানমন্ত্রীর। আমি চাই সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। যে নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।

সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব বলেন, ‘বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সেই ১৯৭১ সাল থেকেই সখীপুর-বাসাইলের মানুষের সঙ্গে মিশে আছেন। হতে পারে এটাই তাঁর শেষ নির্বাচন, আমরা বিশ্বাস করি, মানুষ বঙ্গবীরকে ভোটের মাধ্যমেই নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবেন।

আসনটিতে আরও চারটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম রেজা (লাঙ্গল), বিকল্প ধারার প্রার্থী আবুল হাসেম দূর্জয় (কুলা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোস্তফা কামাল বাদল (ডাব) ও তৃণমূল বিএনপির পারুল (সোনালী আঁশ)। তবে তাঁদের কাউকে প্রচারের মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত