সম্পাদকীয়
প্রকাশ্য দিবালোকে বখাটের হাতে কিশোরীকে হত্যার ঘটনা একটি সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত প্রকাশই বলা চলে, যা নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের সামাজিক অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ। নেত্রকোনার বারহাট্টায় মুক্তি রাণী বর্মণ নামের এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটাও সেরকম। উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। তাকে হত্যাকারী অভিযুক্ত কাওছার একই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে।
কাওছার দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মুক্তিকে উত্ত্যক্ত করার আগে তার বড় বোন রুজিনা রাণী বর্মণকেও কাওছার উত্ত্যক্ত করত। তাই পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর রুজিনা এলাকা ছেড়ে জেলা শহর নেত্রকোনায় গিয়ে একটি বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু কাওসারের আচরণে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসেনি। কাওসারের পরিবারকে তার কুকর্মের কথা জানানো হলেও অভিভাবকেরা তাকে কোনো ধরনের শাসন করেননি। যদি তার অভিভাবকেরা তাকে শাসন করতেন, তাহলে মুক্তি হয়তো আজ বেঁচে থাকত।
কাওসারের বয়স মাত্র ১৯ বছর। জীবনের সামগ্রিক বোধ তার মধ্যে হয়তো পুরোপুরি প্রস্ফুটিত হয়নি। তাই যদি হতো, তাহলে সে এমন পাশবিক কাজ করতে পারত না। একটি শিশুকে বেড়ে ওঠার সময় থেকে মানবিক মূল্যবোধের চর্চা শিক্ষার প্রথম পাঠ পরিবার থেকে দেওয়ার কথা। একসময় শিশুশিক্ষার পাঠ পরিবার থেকে, এরপর পাঠশালা থেকে পেত ছোটরা। কিন্তু অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। মা-বাবারা এখন আর সন্তানকে সময় দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। জীবনের দৌড়ে সবাই ব্যতিব্যস্ত।
এ ঘটনা নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ, প্রতিক্রিয়া চলছে। এ নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীকে গ্রেপ্তারও করেছে। এ রকম হত্যার ঘটনা ঘটে আর আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই, প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হই। কিন্তু এসব ঘটনা থেকে আমাদের মুক্তি মেলে না, অবস্থারও কোনো পরিবর্তন হয় না।
শুধু আইন আর বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের পাশবিক ঘটনা নির্মূল করা যাবে না। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ই এ ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী। সেই সঙ্গে রয়েছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা। তবু আমরা চাই, নেত্রকোনার এ ঘটনায় অপরাধীকে বিচারের মাধ্যমে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
কিন্তু এর চেয়ে বড় শিক্ষা যদি কাওসাররা পেত, তাহলে তারা বখাটে হয়ে যেত না। সত্যিই তাদের শিক্ষা দেওয়া উচিত—নারীকে সম্মান করার, নিজের হিংসাত্মক আচরণ নিয়ন্ত্রণ এবং নিজের ভেতরের পশুত্ব বোধটাকে না জাগতে দেওয়ার। এ ধরনের শিক্ষা প্রতিটি মানুষকে শিশু বয়স থেকেই দিতে হবে। আচরণ আর দৃষ্টিভঙ্গির শিক্ষাটা প্রথমে পরিবার থেকেই দিতে হয়, এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নইলে কাওসারদের মতো ঘাতক তৈরি হতেই থাকবে।
প্রকাশ্য দিবালোকে বখাটের হাতে কিশোরীকে হত্যার ঘটনা একটি সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত প্রকাশই বলা চলে, যা নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের সামাজিক অবক্ষয়ের বহিঃপ্রকাশ। নেত্রকোনার বারহাট্টায় মুক্তি রাণী বর্মণ নামের এক স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটাও সেরকম। উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। তাকে হত্যাকারী অভিযুক্ত কাওছার একই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে।
কাওছার দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মুক্তিকে উত্ত্যক্ত করার আগে তার বড় বোন রুজিনা রাণী বর্মণকেও কাওছার উত্ত্যক্ত করত। তাই পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর রুজিনা এলাকা ছেড়ে জেলা শহর নেত্রকোনায় গিয়ে একটি বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু কাওসারের আচরণে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসেনি। কাওসারের পরিবারকে তার কুকর্মের কথা জানানো হলেও অভিভাবকেরা তাকে কোনো ধরনের শাসন করেননি। যদি তার অভিভাবকেরা তাকে শাসন করতেন, তাহলে মুক্তি হয়তো আজ বেঁচে থাকত।
কাওসারের বয়স মাত্র ১৯ বছর। জীবনের সামগ্রিক বোধ তার মধ্যে হয়তো পুরোপুরি প্রস্ফুটিত হয়নি। তাই যদি হতো, তাহলে সে এমন পাশবিক কাজ করতে পারত না। একটি শিশুকে বেড়ে ওঠার সময় থেকে মানবিক মূল্যবোধের চর্চা শিক্ষার প্রথম পাঠ পরিবার থেকে দেওয়ার কথা। একসময় শিশুশিক্ষার পাঠ পরিবার থেকে, এরপর পাঠশালা থেকে পেত ছোটরা। কিন্তু অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। মা-বাবারা এখন আর সন্তানকে সময় দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। জীবনের দৌড়ে সবাই ব্যতিব্যস্ত।
এ ঘটনা নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ, প্রতিক্রিয়া চলছে। এ নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধীকে গ্রেপ্তারও করেছে। এ রকম হত্যার ঘটনা ঘটে আর আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই, প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হই। কিন্তু এসব ঘটনা থেকে আমাদের মুক্তি মেলে না, অবস্থারও কোনো পরিবর্তন হয় না।
শুধু আইন আর বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ ধরনের পাশবিক ঘটনা নির্মূল করা যাবে না। সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ই এ ধরনের ঘটনার জন্য দায়ী। সেই সঙ্গে রয়েছে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা। তবু আমরা চাই, নেত্রকোনার এ ঘটনায় অপরাধীকে বিচারের মাধ্যমে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
কিন্তু এর চেয়ে বড় শিক্ষা যদি কাওসাররা পেত, তাহলে তারা বখাটে হয়ে যেত না। সত্যিই তাদের শিক্ষা দেওয়া উচিত—নারীকে সম্মান করার, নিজের হিংসাত্মক আচরণ নিয়ন্ত্রণ এবং নিজের ভেতরের পশুত্ব বোধটাকে না জাগতে দেওয়ার। এ ধরনের শিক্ষা প্রতিটি মানুষকে শিশু বয়স থেকেই দিতে হবে। আচরণ আর দৃষ্টিভঙ্গির শিক্ষাটা প্রথমে পরিবার থেকেই দিতে হয়, এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। নইলে কাওসারদের মতো ঘাতক তৈরি হতেই থাকবে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫