Ajker Patrika

হাসপাতালের ছাদে ঔষধি গাছের বাগান

সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
হাসপাতালের ছাদে ঔষধি গাছের বাগান

প্রাকৃতিক চিকিৎসাব্যবস্থা জনপ্রিয় করতে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ছাদে গড়ে উঠেছে ঔষধি গাছের বাগান। প্রাকৃতিক ওষুধ দিয়ে রোগ নিরাময় বাড়াতে বাগানটি প্রদর্শনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে বিকল্প হিসেবে ভেষজের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে মানুষের।

গত শনিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের পুরোনো ভবনের দোতলায় ছাদের টবে বেড়ে ওঠা গাছের সারি সবুজের সমারোহ ছড়িয়েছে। রয়েছে ভেষজ বাগানের সাইনবোর্ড। প্রথম দেখায় খানিকটা সময় যে কারও চোখ আটকে যাবে এই ছাদবাগানে। এখানে আছে ৪০ প্রজাতির ভেষজ গাছ। অনন্তমূল, নয়নতারা, ঘৃতকাঞ্চন, অপরাজিতা, হাড়জোড়া, বিশল্যকরণীসহ অর্ধশতাধিক ভেষজ গাছ এখানে রয়েছে।

বাগান দেখতে আসা কয়েকজন ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, এই বাগানে কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য গাছ রয়েছে; যা এখন সচরাচর দেখা মেলে না। বাগানটি হাসপাতালে আসা রোগীদের মানসিক প্রশান্তি দেয়। তবে আরও বড় পরিসরে হলে দৃষ্টিনন্দন হতো।

এদিকে ভেষজ চিকিৎসায় নির্ভরশীলতা বেড়েছে হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে। সায়েমা খাতুন নামের এক রোগী জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে ত্বকের সমস্যা ধরা 
পড়ে তাঁর। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে এখন অনেকটাই নিরাময় হয়েছে। সায়েমার মতো এমন অসংখ্য রোগী প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

ভেষজ বাগান পরিচালক ও হাসপাতালের একমাত্র আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার গুরু পদ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালের ছাদে বাগান করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখনো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রাচীনতম চিকিৎসাসেবা হোমিওপ্যাথিক, ইউনানি, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার গুরুত্ব রয়েছে। এ ছাড়া আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে গাছপালার রয়েছে নানা ব্যবহার। এ জন্য বাগানটি গড়ে তোলা হয়েছে।

গুরু পদ সাহা আরও বলেন, প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতিতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তেমন হয় না। তাই অনেকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ঝুঁকছেন। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত