কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ছৈলার চর। এক যুগ আগে বিষখালী নদীর তীরে জেগে ওঠে এই চর। সৌন্দর্যের অপর লীলাভূমি ছৈলার চর পর্যটন স্পট হিসেবে ইতিমধ্যে স্থানীয় পর্যটকের চোখ ও হৃদয় জুড়িয়েছে। তবে সম্ভাবনা থাকলেও রয়েছে নানা সংকট। পর্যটনশিল্পের ন্যূনতম অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি এখানে। সংকট উপেক্ষা করেও প্রকৃতির নয়নাভিরাম এই ছৈলার চর দিন দিন পর্যটকদের মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিষখালী নদীতে জেগে ওঠে এক বিশাল চর। চরের আয়তন ৪১ একর। যেখানে রয়েছে লক্ষাধিক ছৈলা গাছ। আর এ গাছের নামে এ চরের নামকরণ হয়েছে ছৈলার চর। ছৈলা ছাড়াও চরে রয়েছে কেয়া, হোগল, রানা, এলি, মাদার, আরগুজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। চরে বাসা বেঁধেছে নানা প্রজাতির শালিক, ডাহুক আর বক পাখি। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভ্রমণপিপাসুরা বিমোহিত। ২০১৫ সালে ছৈলার চর ‘পর্যটন স্পট’ হিসেবে খ্যাতি পায়। শীত মৌসুমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পিকনিক করতে আসে এই চরে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা পরিবার নিয়েও আসেন চরে।
ইতিমধ্যে চরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে দুটি রেস্ট হাউস, একাধিক গোলঘর, ডিসি লেক ও ইকোপার্ক। পর্যটকদের জন্য রয়েছে একাধিক নৌকা। মানসম্মত শৌচাগারের সুব্যবস্থা রয়েছে। নির্মিত হয়েছে একটি কাঠের সেতু। দোলন ও বসার বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মিনি চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, টাওয়ার নির্মাণসহ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা যেত বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাগর আকন জানান, উপজেলা প্রশাসন ‘ছৈলার চর আশার আলো যুবসমাজ কল্যাণ সমবায় সমিতি’ করে দিয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই সংগঠনের সদস্য। তারা চর সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পর্যটকদের গাইডার হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন এখানে ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষ ঘুরতে আসেন।’
ছৈলার চরে ঘুরতে আসা মো. সাইফুল সরদার বলেন, ‘কাঠালিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৈলার চরে প্রায়ই ঘুরতে আসি। তবে চরে পর্যটন স্পটের অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। অবকাঠামোগত সুবিধা ও প্রচার পেলে চরটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়বে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ‘উপজেলায় বিনোদনকেন্দ্র বলতে ছৈলার চর ও ডিসি ইকোপার্ক। কিন্তু ছৈলার চরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে পর্যটক আকৃষ্ট করা যাবে। ছৈলার চর ও ডিসি লেকের উন্নয়ন করে এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে ছৈলার চরে কটেজ, একাধিক গোলঘর, পাকা ঘাটলাসহ বেশকিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও এডিবি থেকে ছৈলার চরে দোতলাবিশিষ্ট এই কটেজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রে রূপান্তর করতে ইতিমধ্যেই পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ছৈলার চর। এক যুগ আগে বিষখালী নদীর তীরে জেগে ওঠে এই চর। সৌন্দর্যের অপর লীলাভূমি ছৈলার চর পর্যটন স্পট হিসেবে ইতিমধ্যে স্থানীয় পর্যটকের চোখ ও হৃদয় জুড়িয়েছে। তবে সম্ভাবনা থাকলেও রয়েছে নানা সংকট। পর্যটনশিল্পের ন্যূনতম অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি এখানে। সংকট উপেক্ষা করেও প্রকৃতির নয়নাভিরাম এই ছৈলার চর দিন দিন পর্যটকদের মিলনমেলায় পরিণত হচ্ছে।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিষখালী নদীতে জেগে ওঠে এক বিশাল চর। চরের আয়তন ৪১ একর। যেখানে রয়েছে লক্ষাধিক ছৈলা গাছ। আর এ গাছের নামে এ চরের নামকরণ হয়েছে ছৈলার চর। ছৈলা ছাড়াও চরে রয়েছে কেয়া, হোগল, রানা, এলি, মাদার, আরগুজিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। চরে বাসা বেঁধেছে নানা প্রজাতির শালিক, ডাহুক আর বক পাখি। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ভ্রমণপিপাসুরা বিমোহিত। ২০১৫ সালে ছৈলার চর ‘পর্যটন স্পট’ হিসেবে খ্যাতি পায়। শীত মৌসুমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী পিকনিক করতে আসে এই চরে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা পরিবার নিয়েও আসেন চরে।
ইতিমধ্যে চরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে দুটি রেস্ট হাউস, একাধিক গোলঘর, ডিসি লেক ও ইকোপার্ক। পর্যটকদের জন্য রয়েছে একাধিক নৌকা। মানসম্মত শৌচাগারের সুব্যবস্থা রয়েছে। নির্মিত হয়েছে একটি কাঠের সেতু। দোলন ও বসার বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মিনি চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, টাওয়ার নির্মাণসহ পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা যেত বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সাগর আকন জানান, উপজেলা প্রশাসন ‘ছৈলার চর আশার আলো যুবসমাজ কল্যাণ সমবায় সমিতি’ করে দিয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই সংগঠনের সদস্য। তারা চর সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পর্যটকদের গাইডার হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন এখানে ৩০০ থেকে ৪০০ মানুষ ঘুরতে আসেন।’
ছৈলার চরে ঘুরতে আসা মো. সাইফুল সরদার বলেন, ‘কাঠালিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৈলার চরে প্রায়ই ঘুরতে আসি। তবে চরে পর্যটন স্পটের অবকাঠামো এখনো গড়ে ওঠেনি। অবকাঠামোগত সুবিধা ও প্রচার পেলে চরটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়বে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, ‘উপজেলায় বিনোদনকেন্দ্র বলতে ছৈলার চর ও ডিসি ইকোপার্ক। কিন্তু ছৈলার চরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা গেলে পর্যটক আকৃষ্ট করা যাবে। ছৈলার চর ও ডিসি লেকের উন্নয়ন করে এই এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে ছৈলার চরে কটেজ, একাধিক গোলঘর, পাকা ঘাটলাসহ বেশকিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ও এডিবি থেকে ছৈলার চরে দোতলাবিশিষ্ট এই কটেজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রে রূপান্তর করতে ইতিমধ্যেই পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫