রিমন রহমান, রাজশাহী
ফুলের ‘গন্ধে মহাবিরক্ত’ হয়ে একবার সিটি করপোরেশনে নালিশ জানাতে যান লেখক সমরেশ মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন, ঘরের পাশে থাকা সরকারি গাছটিতে ফুল ফুটলেই ‘তীব্র গন্ধে’ তাঁর নাক জ্বলে। গাছটি খুব কাছাকাছি থাকায় এ সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়েছিলেন লেখক। তবে একটু দূর থেকে এই ফুলের ঘ্রাণ বেশ উপভোগ্য বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে সেই গাছটি ছাতিম নামেই বেশি পরিচিত। তবে কোথাও ছাতিয়াম কিংবা ছাইতন নামেও ডাকা হয়। শহরে সাধারণত এই গাছ সচরাচর দেখা যায় না। তবে ব্যতিক্রম রাজশাহী নগরী। এ শহরের অনেক পথেই ছাতার মতো দাঁড়িয়ে আছে ছাতিম। আর প্রকৃতির এই মৌসুমে ফুটেছে ছাতিম ফুল, যার পাগল করা ম ম ‘গন্ধে’ (ঘ্রাণে) এখন সুবাসিত রাজশাহী নগরী।
২০১৯ সালে শহরে বিভিন্ন পথের ধারে ফুটপাতে ছাতিমগাছ লাগাতে শুরু করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। রেলগেট-সিটি বাইপাস সড়ক, বিলশিমলা-সিঅ্যান্ডবি মোড় সড়ক, উপশহর, সপুরাসহ বিভিন্ন সড়কে প্রায় ৫০০টি ছাতিমগাছ লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রেলগেট থেকে সিঅ্যান্ডবি পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে আছে ৩০০টি ছাতিম।
গ্রীষ্মের কড়া রোদের দিনে ছাতার মতোই মানুষকে ছায়া বিলিয়েছে গাছগুলো। এই হেমন্তে গাছগুলোর শাখা-প্রশাখায় ভর্তি পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়েছে থোকায় থোকায় সবুজাভ ছাতিম ফুল। সেখান থেকে বাতাসে ভেসে আসছে ফুলের মাদকতা। প্রতিটি ছাতিমগাছ যেন শিশি উপুড় করে সন্ধ্যার বাতাসে ঢেলে দিচ্ছে মিষ্টি ঘ্রাণ। রাত যত বাড়ে এই ফুলের ঘ্রাণ তত তীব্র আর মাদকতাময় হয়ে ওঠে। নগরবাসী দূর থেকেই বাতাসে পান ছাতিমের ঘ্রাণ। বিমোহিত পথিক বুঝে নেন, আশপাশেই রয়েছে এর উৎস।
শুধু ফুলের সুবাসের কারণেই ছাতিম সবার প্রিয়, এমনটি নয়। এটির ভেষজ ও ঔষধি গুণও রয়েছে। ছাতিমের কষ অনেকে ওষুধ হিসেবে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে থাকেন। গ্রামাঞ্চলে এখনো জ্বর, কুষ্ঠ, চর্মরোগ, যকৃতের ব্যথা, কাশি, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, হাঁপানি, বাতের ব্যথাসহ নানা শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় ছাতিমগাছের বাঁকল, পাতা ও কষ ব্যবহার করা হয়। ছাতিমের কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র হয়। পেনসিল ও দেশলাইয়ের কাঠিও হয় এ গাছ থেকে। এর কাঠ দিয়ে কফিনও বানানো হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাতিমগাছ অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তাই শান্তি নিকেতনের সমাবর্তনে ছাতিমের পাতা উপহার দেওয়া হতো। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘ওই যে ছাতিমগাছের মতোই আছি/সহজ প্রাণের আবেগ নিয়ে মাটির কাছাকাছি।’
শান্তি নিকেতনের শিক্ষার্থী এবং সংগীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ি একটি গানের কথায় লেখেন, ‘তোমার দিকে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা জোড়া ছাতিম ফুল।’ তাঁর সেই রাস্তার মতোই এখন রাজশাহীর রেলগেট-সিটি বাইপাস কিংবা বিলশিমলা-সিঅ্যান্ডবি মোড়ের সড়ক!
ফুলের ‘গন্ধে মহাবিরক্ত’ হয়ে একবার সিটি করপোরেশনে নালিশ জানাতে যান লেখক সমরেশ মজুমদার। তিনি অভিযোগ করেন, ঘরের পাশে থাকা সরকারি গাছটিতে ফুল ফুটলেই ‘তীব্র গন্ধে’ তাঁর নাক জ্বলে। গাছটি খুব কাছাকাছি থাকায় এ সমস্যায় পড়ার কথা জানিয়েছিলেন লেখক। তবে একটু দূর থেকে এই ফুলের ঘ্রাণ বেশ উপভোগ্য বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে সেই গাছটি ছাতিম নামেই বেশি পরিচিত। তবে কোথাও ছাতিয়াম কিংবা ছাইতন নামেও ডাকা হয়। শহরে সাধারণত এই গাছ সচরাচর দেখা যায় না। তবে ব্যতিক্রম রাজশাহী নগরী। এ শহরের অনেক পথেই ছাতার মতো দাঁড়িয়ে আছে ছাতিম। আর প্রকৃতির এই মৌসুমে ফুটেছে ছাতিম ফুল, যার পাগল করা ম ম ‘গন্ধে’ (ঘ্রাণে) এখন সুবাসিত রাজশাহী নগরী।
২০১৯ সালে শহরে বিভিন্ন পথের ধারে ফুটপাতে ছাতিমগাছ লাগাতে শুরু করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। রেলগেট-সিটি বাইপাস সড়ক, বিলশিমলা-সিঅ্যান্ডবি মোড় সড়ক, উপশহর, সপুরাসহ বিভিন্ন সড়কে প্রায় ৫০০টি ছাতিমগাছ লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রেলগেট থেকে সিঅ্যান্ডবি পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে ফুটপাতে আছে ৩০০টি ছাতিম।
গ্রীষ্মের কড়া রোদের দিনে ছাতার মতোই মানুষকে ছায়া বিলিয়েছে গাছগুলো। এই হেমন্তে গাছগুলোর শাখা-প্রশাখায় ভর্তি পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়েছে থোকায় থোকায় সবুজাভ ছাতিম ফুল। সেখান থেকে বাতাসে ভেসে আসছে ফুলের মাদকতা। প্রতিটি ছাতিমগাছ যেন শিশি উপুড় করে সন্ধ্যার বাতাসে ঢেলে দিচ্ছে মিষ্টি ঘ্রাণ। রাত যত বাড়ে এই ফুলের ঘ্রাণ তত তীব্র আর মাদকতাময় হয়ে ওঠে। নগরবাসী দূর থেকেই বাতাসে পান ছাতিমের ঘ্রাণ। বিমোহিত পথিক বুঝে নেন, আশপাশেই রয়েছে এর উৎস।
শুধু ফুলের সুবাসের কারণেই ছাতিম সবার প্রিয়, এমনটি নয়। এটির ভেষজ ও ঔষধি গুণও রয়েছে। ছাতিমের কষ অনেকে ওষুধ হিসেবে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে থাকেন। গ্রামাঞ্চলে এখনো জ্বর, কুষ্ঠ, চর্মরোগ, যকৃতের ব্যথা, কাশি, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, হাঁপানি, বাতের ব্যথাসহ নানা শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় ছাতিমগাছের বাঁকল, পাতা ও কষ ব্যবহার করা হয়। ছাতিমের কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র হয়। পেনসিল ও দেশলাইয়ের কাঠিও হয় এ গাছ থেকে। এর কাঠ দিয়ে কফিনও বানানো হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছাতিমগাছ অত্যন্ত পছন্দ করতেন। তাই শান্তি নিকেতনের সমাবর্তনে ছাতিমের পাতা উপহার দেওয়া হতো। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘ওই যে ছাতিমগাছের মতোই আছি/সহজ প্রাণের আবেগ নিয়ে মাটির কাছাকাছি।’
শান্তি নিকেতনের শিক্ষার্থী এবং সংগীতশিল্পী সাহানা বাজপেয়ি একটি গানের কথায় লেখেন, ‘তোমার দিকে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা জোড়া ছাতিম ফুল।’ তাঁর সেই রাস্তার মতোই এখন রাজশাহীর রেলগেট-সিটি বাইপাস কিংবা বিলশিমলা-সিঅ্যান্ডবি মোড়ের সড়ক!
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫