মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
আষাঢ় মাসের অর্ধেকটা পেরিয়ে গেছে। ভরা বর্ষাতেও নওগাঁর মান্দায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। ফলে পানিশূন্য রয়েছে খাল-বিল। তীব্র তাপে পুড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে মাঠের সবুজ ঘাস। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র রোদে ধান চাষের মাঠগুলো খাঁ-খাঁ করছে। পানি না থাকায় হালচাষ ও ধান রোপণে কৃষকের ব্যস্ততা নেই। মাঠে মাঠে চরছে গরু-ছাগলের পাল। অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে সদ্য রোপণ করা আউশ ধানের খেত নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের জুন মাসে এ উপজেলায় ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছর এ সময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮০ মিলিমিটার। জুলাই মাসের গত ছয় দিনে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আগামী দুই-তিন বৃষ্টিপাত হবে এমন সম্ভাবনা খুব কম। এ অবস্থা বিরাজ করলে সেচের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপণ করতে হবে কৃষকদের। আউশ ধান উৎপাদনেও ব্যয় বাড়বে তাঁদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর।
উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক অমল চন্দ্র সরকার বলেন, আষাঢ় মাস শেষ হতে চললেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। অন্য বছরগুলোতে এ সময় জমিতে পানি জমে থাকত। জমিতে হালচাষ দিয়ে কয়েক দিন রেখে আবার চাষ দিয়ে চারা রোপণ করতেন তাঁরা। কিন্তু এ বছর এই সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের জমিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সময়মতো আমন ধান রোপণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হাফেজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে আবহাওয়া বৈরী আচরণ করছে। কখনো বৃষ্টির কারণে ফসল ঘরে তোলা যাচ্ছে না। আবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপণ কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব প্রতিকূল আবহাওয়া ও দুর্যোগ মোকাবিলা করে ফসল উৎপাদন করা কষ্ট হয়ে পড়ছে তাঁদের।
নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বোরো ধানে ব্যাপক ফলন বিপর্যয় হয়েছে। একই সঙ্গে ধান কাটা-মাড়াই করতে বিগত বছরের চেয়ে খরচ হয়েছে দ্বিগুণ। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এরই মধ্যে অনেক কৃষক আউশ ধান রোপণ করেছেন। অনেকে আমন ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবারে আষাঢ় মাসে বৃষ্টিপাত অনেকটা কম। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে আউশ ধানে বাদামি গাছ ফড়িংসহ অন্য ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ কমে যাবে। জমিতে সেচের প্রয়োজন না হলে কৃষকের ফসল উৎপাদনেও খরচ কম হবে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সেচ ও কীটনাশক ব্যবহারে ব্যয় বাড়বে কৃষকের।
আষাঢ় মাসের অর্ধেকটা পেরিয়ে গেছে। ভরা বর্ষাতেও নওগাঁর মান্দায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। ফলে পানিশূন্য রয়েছে খাল-বিল। তীব্র তাপে পুড়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে মাঠের সবুজ ঘাস। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র রোদে ধান চাষের মাঠগুলো খাঁ-খাঁ করছে। পানি না থাকায় হালচাষ ও ধান রোপণে কৃষকের ব্যস্ততা নেই। মাঠে মাঠে চরছে গরু-ছাগলের পাল। অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে সদ্য রোপণ করা আউশ ধানের খেত নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছরের জুন মাসে এ উপজেলায় ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছর এ সময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮০ মিলিমিটার। জুলাই মাসের গত ছয় দিনে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আগামী দুই-তিন বৃষ্টিপাত হবে এমন সম্ভাবনা খুব কম। এ অবস্থা বিরাজ করলে সেচের মাধ্যমে আমন ধানের চারা রোপণ করতে হবে কৃষকদের। আউশ ধান উৎপাদনেও ব্যয় বাড়বে তাঁদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে ১১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৭০০ হেক্টর।
উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক অমল চন্দ্র সরকার বলেন, আষাঢ় মাস শেষ হতে চললেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। অন্য বছরগুলোতে এ সময় জমিতে পানি জমে থাকত। জমিতে হালচাষ দিয়ে কয়েক দিন রেখে আবার চাষ দিয়ে চারা রোপণ করতেন তাঁরা। কিন্তু এ বছর এই সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের জমিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সময়মতো আমন ধান রোপণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হাফেজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে আবহাওয়া বৈরী আচরণ করছে। কখনো বৃষ্টির কারণে ফসল ঘরে তোলা যাচ্ছে না। আবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রোপণ কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব প্রতিকূল আবহাওয়া ও দুর্যোগ মোকাবিলা করে ফসল উৎপাদন করা কষ্ট হয়ে পড়ছে তাঁদের।
নুরুল্লাবাদ গ্রামের কৃষক আসলাম হোসেন বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বোরো ধানে ব্যাপক ফলন বিপর্যয় হয়েছে। একই সঙ্গে ধান কাটা-মাড়াই করতে বিগত বছরের চেয়ে খরচ হয়েছে দ্বিগুণ। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এরই মধ্যে অনেক কৃষক আউশ ধান রোপণ করেছেন। অনেকে আমন ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবারে আষাঢ় মাসে বৃষ্টিপাত অনেকটা কম। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হলে আউশ ধানে বাদামি গাছ ফড়িংসহ অন্য ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ কমে যাবে। জমিতে সেচের প্রয়োজন না হলে কৃষকের ফসল উৎপাদনেও খরচ কম হবে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সেচ ও কীটনাশক ব্যবহারে ব্যয় বাড়বে কৃষকের।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫