Ajker Patrika

চলচ্চিত্রের সবাই ছিল তাঁর প্রাণের মানুষ

চলচ্চিত্রের সবাই ছিল তাঁর প্রাণের মানুষ

ফারুক ভাই অনেক বড় মনের একজন মানুষ ছিলেন। সব সময় তাঁর স্নেহে আমাকে আগলে রাখতেন। অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত আমার ভালো একটা সিনেমা মুক্তি পেলে বা পোস্টার রিলিজ হলে, খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করতেন। টেলিভিশনের পর্দায় বা যেকোনো সাক্ষাৎকারে আমাকে প্রশংসায় ভাসাতেন। আমাকে বলতেন চলচ্চিত্রের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। ফারুক ভাই পার্লামেন্ট মেম্বার হওয়ার পরেও এই সম্পর্ক অটুট ছিল।

ফারুক ভাই যখন প্রথম সংসদ সদস্য হলেন, আমরা চলচ্চিত্রের মানুষ সবাই আশায় বুক বেঁধেছিলাম। তিনি যত দিন সুস্থ ছিলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অনেক করেছেন। যখন নায়ক ছিলেন, তখন থেকেই চলচ্চিত্রকে আগলে রেখেছিলেন। প্রযোজক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। সব সময় বলতেন, চলচ্চিত্রের সবাই আমার প্রাণের মানুষ। আসলেই চলচ্চিত্রের সবাই ছিল তাঁর প্রাণের মানুষ।

ফারুক ভাই পার্লামেন্ট মেম্বার হওয়ার পর একবার আমার এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেদিন খুব গর্ব করেই তাঁকে বলেছিলাম, এখন গুলশান যেতে অনেক ভালো লাগে। গলা উঁচিয়ে বলতে ভালো লাগে যে আমার বড় ভাই পার্লামেন্ট মেম্বার। উনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কিছুদিন পরপর খবর নিতাম। শুনতাম ভালো হয়ে গেছেন, সুস্থ হয়ে গেছেন। এই বুঝি চলে আসবেন, কদিন পরেই আবার দেখা হবে। ছোট ভাই বলে ডাকবেন। কিন্তু তিনি আর ফিরলেন না। উনার মৃত্যুর খবর যখন প্রথম শুনি, আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

ফারুক ভাইকে হারিয়ে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম। তিনি কেবল একজন কিংবদন্তি অভিনেতাই ছিলেন না, সত্যিকারের বড় মনের মানুষ ছিলেন। মানুষের বিপদে এগিয়ে যেতেন। মানুষ তাঁকে ভালোবেসে মিয়া ভাই বলে ডাকতেন। এটা তো খুব কাছের একটা ডাক। আমরা বাংলাদেশের মানুষেরা বড় ভাইকে মিয়া ভাই বলি।

ফারুক ভাই দীর্ঘদিন অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এখন আল্লাহ তাঁকে শান্তিতে রাখুন। তাঁর পরের জীবন শান্তির হোক। আমরা গোটা দেশের মানুষ ফারুক ভাইয়ের জন্য দোয়া করব। আল্লাহ যেন তাঁর পরিবারকে এই শোক সইবার শক্তি দেন।

(অনুলিখিত)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত