Ajker Patrika

কাজ নিয়ে অভিযোগ, সংশয়

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৫২
কাজ নিয়ে অভিযোগ, সংশয়

বালাগঞ্জ উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণকাজের শিডিউল (কার্যাদেশ) না মেনে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এতে মসজিদ ভবনের স্থায়িত্ব ও মান নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণস্থলে সাইনবোর্ড টাঙানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। ঠিকাদার নিজের ইচ্ছেমতো নির্মাণকাজ করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। খোদ উপজেলা পরিষদ চত্বরে নজিরবিহীন এমন অনিয়মের ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশাসনের নজরে পড়ছে না বিষয়টি।

এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ঠিক নয়। শিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রতিটি জেলা, উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় বালাগঞ্জ উপজেলায় তিনতলা মডেল মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ দেওয়া হয় ‘মেসার্স কবির সিন্ডিকেট’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। কাজের মেয়াদকাল ১৫ মাস ধরা হলেও ইতিমধ্যে নির্ধারিত মেয়াদ পার হয়ে গেছে। কিন্তু বেসমেন্টের ওপরে বিম করা ছাড়া কাজের অগ্রগতি কিছুই হয়নি।

স্থানীয় নির্মাণ ঠিকাদার আজাদ মিয়া, এলাকার কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক ও সচেতন নাগরিক সমাজের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, মসজিদটি নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বালু, পাথর, ইট, সিমেন্ট, রডসহ প্রায় সব উপাদানই নিম্নমানের ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রেডহীন মরিচা ধরা রড ব্যবহার হচ্ছে। শিডিউল না মেনে বিমে কম মিলিমিটার রড দেওয়া হচ্ছে। এতে গণপূর্ত বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোনো নজরদারি নেই।

মডেল মসজিদ নির্মাণে বড় ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে। নির্মাণকাজের অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট গর্ত করে বেসমেন্টের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। এতে জং ধরা রডের ব্যবহার, বেস ও বিমে রড এবং রডের সঙ্গে রিং কম দেওয়া ও বিমগুলোতে দেওয়া রডের জয়েন্টে ত্রুটি রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী দারুল ইসলাম চৌধুরী দারা বলেন, নকশা ও কার্যাদেশ অনুযায়ী নির্মাণকাজ হচ্ছে এতে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। সময়মতো টাকা বরাদ্দ না পাওয়া কাজও এগোচ্ছে না।

সিলেট গণপূর্ত অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী রুহুল আমীন কাজের অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, সব সময় তো সেখানে গিয়ে কাজ দেখা সম্ভব হয় না। মিস্ত্রিরা হয়তো কিছুটা এদিক-সেদিক করেছে।

বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, কাজের মান খারাপ হলে তদন্ত সাপেক্ষে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত