সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
তোজেংমা, তৈদুছড়া ছাড়াও হাজাছড়া, হরিণমারা দেখতে হলে দীঘিনালা হয়ে যাওয়াটাই ভালো। হরিণমারা ও হাজাছড়ার অবস্থান বাঘাইহাট হলেও যাওয়ার সহজ পথ দীঘিনালা হয়ে। সামনের বর্ষায় ভ্রমণ পরিকল্পনায় রাখতে পারেন সবুজ অরণ্যে ঢাকা দীঘিনালা।
ঘন অরণ্যঘেরা পাহাড়ের কোলজুড়ে বর্ষণের ধারায় নেমে আসে চেনা-অচেনা পাহাড়ি ঝরনা। বুনো ঝরনা তৈদুছড়া ১ ও ২, তোজেংমা, হরিণমারা, হাজাছড়া, শিবছড়ি—এমনই অনেক ঝরনা ছড়িয়ে আছে দীঘিনালার ঘন অরণ্যে।
এ যেন ঝরনার গ্রাম। বর্ষার সকালে সোনায় মোড়ানো ঝকঝকে আলোয় সকালের নাশতা সেরে রওনা হবেন ঝরনার পথে। কিছুটা পথ গাড়িতে, কিছুটা বাইকে শেষ পাড়ি দিতে হবে। এরপর উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ পেরিয়ে সাক্ষাৎ পাবেন পাহাড়ি ঝিরির। বাকি পথটা একে সঙ্গী করেই হাঁটতে হবে। ঝরনা থেকে বয়ে আসা ঝিরির পুরো পথ সবুজ আবরণে ঢাকা। কোথাও কোমরপানি, কোথাও বুকপানির পাথুরে ঝিরি মাড়িয়ে চলতে চলতে হঠাৎ দেখা পাওয়া যাবে, জঙ্গলে ঢেকে গেছে পুরো ঝিরির পথ। ঝরনার কাছে যাওয়ার আগে প্রায় লাগোয়া দুটো পাথুরে পাহাড়। এ যেন আরব্য উপন্যাসের আলাদিনের জাদুকর দরজা! দুদিক থেকে আসা দুটো ঝরনার ধারা নেমেছে একই খুমে। এমন ঝরনা পাহাড়ে খুব একটা চোখে পড়ে না। এই পুরো ট্রেইল যেন ছবির মতো। সবুজ পাহাড়ের বুক চিড়ে বের হয়ে আসা ঝিরির পথে পথে বাসা বেঁধেছে হাজারো মাকড়সা। তাদের জাল ছিঁড়ে অগ্রসর হতে হয়। ঢেউখেলানো পাহাড়ের মাঝখানে বয়ে যাওয়া ঝিরিই ঝরনার একমাত্র পথ। ঝিরির শেষ প্রান্তে থাকে ঝরনার জলধারা।
এখানে তোজেংমার রূপ সবচেয়ে সুন্দর। দুটি ঝরনা একই খুমে এসে পড়েছে। তোজেংমা যেতে পথে পথে দেখা যাবে ঢেউখেলানো নীতিদীর্ঘ পাহাড়। বর্ষার রৌদ্রময় আকাশে নীল রঙের ছড়াছড়ি। রোদের খরতাপ মাথায় নিয়ে পাহাড়ি মানুষ পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বুনে চলেছেন সারা বছরের স্বপ্ন—জুমখেত। দুর্গম পাহাড়ের মানুষদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায় জুমচাষ। জুমখেতের পাশ দিয়ে আপনাকে যেতে হবে ঝিরি পর্যন্ত। ঝিরি পথ মানে ট্রেকিংয়ের কষ্ট অর্ধেক কমে যাওয়া। তোজেংমা ঝরনায় যেতে আপনাকে বাকি পথটুকু এই ঝিরিপথে হেঁটে যেতে হবে। বন্য পরিবেশে ঝিরির পানি কেটে কেটে এগোতে হবে। বড়-ছোট পাথরে ভরা ঝিরির পথ। কোথাও কোথাও ঘন সবুজ আচ্ছাদন। বড় বড় লতা নেমেছে গাছের ওপর থেকে, মূল ঝিরি থেকে আলাদা বাঁক নিয়ে তোজেংমার মূল ট্রেইল ধরে পথ চলতে হয়। ঝিরি, পাথর, পানির স্রোত—এসব পেরিয়ে যেতে হবে দুটি পাথরের দরজা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড় দুটির কাছে। মনে হবে, ঝরনার স্রোত বোধ হয় এই দুটো পাথুরে পাহাড়ের মধ্যভাগজুড়ে জলের স্রোত বয়ে নিয়ে গেছে। পাথুরে পাহাড় ছাড়িয়ে সামনে যেতেই দৃষ্টি আটকে যাবে ঝরনায়। নিরন্তর পানির স্রোতে পাহাড় ভাসিয়ে দিচ্ছে বুনো পাহাড়ি ঝরনা তোজেংমা।
তোজেংমার পর্ব শেষ করে ঘুরে আসতে পারেন তৈদুছড়া থেকে। দীঘিনালার দুর্গম সীমানাপাড়া পেরিয়ে সন্ধান পাবেন এই বুনো ঝরনার। ক্যাসকেডের সরু পথ পেরিয়ে তৈদুছড়া। দুই পাহাড়ের মাঝে আড়াআড়িভাবে যুক্ত দুটি মরা গাছের কাণ্ড। নিচে গভীর জলপ্রপাত। নামতে হবে বৃষ্টিভেজা মরা গাছের কাণ্ড বেয়ে। নিচে নামার পর পাওয়া যাবে পা দেওয়ার মতো ছোট্ট একটা পাথর। পা ফসকে গেলেই গভীর খাদে হারিয়ে যেতে হবে। এমনই ট্রেইল ধরে যেতে হয় তৈদুছড়া ঝরনায়।
আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টি, ঝিরির পথে গলা কিংবা কোমরপানি, পাথুরে পথ—এসবে ঠাসা। ভরা বর্ষায় ঝরনার রূপ দেখতে এই কষ্টকর পথে যাত্রা করাই যায়। সকালের বৃষ্টি মাথায় যাত্রা শুরু করতে হবে। প্রথমেই কোমরসমান ঝিরির পথ। খরস্রোতা বোয়ালখালী খালের পথ ধরে এগোতে হবে অনেকখানি। ঝিরিতে খুব জোরে হাঁটার সুযোগ নেই, ধীরে ধীরে পা চালিয়ে এগোতে হয়।
হঠাৎ চোখে পড়বে বড় বড় পাহাড়ের গায়ে জমে থাকা সাদা মেঘের দলছুট স্তূপ, সবুজ পাহাড়কে মুড়িয়ে রেখেছে চেনা মেঘের দল, পাহাড়ের কোলজুড়ে বড় বড় জুমখেত। সবুজ বনের মাঝখানে ছোট্ট জুমের ঘর। নিজেদের জুমের সুরক্ষার জন্য জুমচাষিরা এই ছোট্ট জুমঘর তৈরি করেন।
ঝিরির পথ শেষে দেখা মিলবে উঁচু পাহাড়ি পথের। এখানে সবুজ পাহাড়ে ছোট্ট ট্রেইল বেয়ে উঠতে হবে। একটানা বৃষ্টিতে ওপরে ওঠার পুরো পথটাই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকবে। বৃষ্টিমাখা পথ বেয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে ওঠার পর পাওয়া যাবে পাহাড়ের শীর্ষ দেশ। একনজরে পুরোটা আকাশ, উঁচু পাহাড় থেকে নিচের ঝিরি পথ, ট্রেইল, জুমখেত আর সবুজ বন দেখতে বেশ লাগে।
এখনই গাইড জানাবেন, এবার নামতে হবে। কিন্তু পথ কই? বর্ষায় এই অচেনা পথে কেউ না হাঁটায় পুরো পথ জঙ্গলে ভরপুর। তাই পথ বদল করে অন্য পথ ধরতে হবে তখন। অচেনার পথ বেয়ে নামতে নামতে ঝরনার পানি আছড়ে পড়ার শব্দ কানে আসবে।
পাহাড়ি পথ ছেড়ে আবার নামতে হবে ঝিরিতে, সেটাই পথ। বড় বড় পাথর বিছানো ঝিরি। এক পাথর থেকে অন্য পাথরে পা মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হয়। পথের শেষে ঝরনার স্রোত! পাথরের ঢাল বেয়ে নেমে আসছে সাদা ফেনা মাথায় করে। সবুজ বনের মধ্যে তৈদুছড়ার এমন জলের স্রোত কেবল বর্ষাতেই দেখা যায়। এমনই বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ঘুরে আসতে পারেন হাজাছড়া ও হরিণমারা ঝরনা।
সতর্কতা
» বর্ষায় পথ পিচ্ছিল থাকে। দক্ষতা না থাকলে ট্রেকিংয়ে যাবেন না।
» প্লাস্টিকের প্যাকেট, বোতল, খাবার প্যাকেট—এসব যেখানে-সেখানে ফেলবেন না।
» স্থানীয় মানুষ ও সংস্কৃতিকে সম্মান করুন।
কীভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাসে যাতায়াত করা যায় খাগড়াছড়ি পর্যন্ত। শ্যামলী, শান্তি, সৌদিয়া, এস আলমসহ বিভিন্ন পরিবহনের গাড়ি পাওয়া যাবে প্রতিদিন। খাগড়াছড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা বাইকে দীঘিনালা পৌঁছানো যায়। খাগড়াছড়িতে রাত যাপনের জন্য আছে হোটেল গাইরিং, ইকোছড়ি ইন, মাউনটেইন ইন, অরণ্য বিলাস, হোটেল আল আমিন ইত্যাদি।
তোজেংমা, তৈদুছড়া ছাড়াও হাজাছড়া, হরিণমারা দেখতে হলে দীঘিনালা হয়ে যাওয়াটাই ভালো। হরিণমারা ও হাজাছড়ার অবস্থান বাঘাইহাট হলেও যাওয়ার সহজ পথ দীঘিনালা হয়ে। সামনের বর্ষায় ভ্রমণ পরিকল্পনায় রাখতে পারেন সবুজ অরণ্যে ঢাকা দীঘিনালা।
ঘন অরণ্যঘেরা পাহাড়ের কোলজুড়ে বর্ষণের ধারায় নেমে আসে চেনা-অচেনা পাহাড়ি ঝরনা। বুনো ঝরনা তৈদুছড়া ১ ও ২, তোজেংমা, হরিণমারা, হাজাছড়া, শিবছড়ি—এমনই অনেক ঝরনা ছড়িয়ে আছে দীঘিনালার ঘন অরণ্যে।
এ যেন ঝরনার গ্রাম। বর্ষার সকালে সোনায় মোড়ানো ঝকঝকে আলোয় সকালের নাশতা সেরে রওনা হবেন ঝরনার পথে। কিছুটা পথ গাড়িতে, কিছুটা বাইকে শেষ পাড়ি দিতে হবে। এরপর উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ পেরিয়ে সাক্ষাৎ পাবেন পাহাড়ি ঝিরির। বাকি পথটা একে সঙ্গী করেই হাঁটতে হবে। ঝরনা থেকে বয়ে আসা ঝিরির পুরো পথ সবুজ আবরণে ঢাকা। কোথাও কোমরপানি, কোথাও বুকপানির পাথুরে ঝিরি মাড়িয়ে চলতে চলতে হঠাৎ দেখা পাওয়া যাবে, জঙ্গলে ঢেকে গেছে পুরো ঝিরির পথ। ঝরনার কাছে যাওয়ার আগে প্রায় লাগোয়া দুটো পাথুরে পাহাড়। এ যেন আরব্য উপন্যাসের আলাদিনের জাদুকর দরজা! দুদিক থেকে আসা দুটো ঝরনার ধারা নেমেছে একই খুমে। এমন ঝরনা পাহাড়ে খুব একটা চোখে পড়ে না। এই পুরো ট্রেইল যেন ছবির মতো। সবুজ পাহাড়ের বুক চিড়ে বের হয়ে আসা ঝিরির পথে পথে বাসা বেঁধেছে হাজারো মাকড়সা। তাদের জাল ছিঁড়ে অগ্রসর হতে হয়। ঢেউখেলানো পাহাড়ের মাঝখানে বয়ে যাওয়া ঝিরিই ঝরনার একমাত্র পথ। ঝিরির শেষ প্রান্তে থাকে ঝরনার জলধারা।
এখানে তোজেংমার রূপ সবচেয়ে সুন্দর। দুটি ঝরনা একই খুমে এসে পড়েছে। তোজেংমা যেতে পথে পথে দেখা যাবে ঢেউখেলানো নীতিদীর্ঘ পাহাড়। বর্ষার রৌদ্রময় আকাশে নীল রঙের ছড়াছড়ি। রোদের খরতাপ মাথায় নিয়ে পাহাড়ি মানুষ পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বুনে চলেছেন সারা বছরের স্বপ্ন—জুমখেত। দুর্গম পাহাড়ের মানুষদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখায় জুমচাষ। জুমখেতের পাশ দিয়ে আপনাকে যেতে হবে ঝিরি পর্যন্ত। ঝিরি পথ মানে ট্রেকিংয়ের কষ্ট অর্ধেক কমে যাওয়া। তোজেংমা ঝরনায় যেতে আপনাকে বাকি পথটুকু এই ঝিরিপথে হেঁটে যেতে হবে। বন্য পরিবেশে ঝিরির পানি কেটে কেটে এগোতে হবে। বড়-ছোট পাথরে ভরা ঝিরির পথ। কোথাও কোথাও ঘন সবুজ আচ্ছাদন। বড় বড় লতা নেমেছে গাছের ওপর থেকে, মূল ঝিরি থেকে আলাদা বাঁক নিয়ে তোজেংমার মূল ট্রেইল ধরে পথ চলতে হয়। ঝিরি, পাথর, পানির স্রোত—এসব পেরিয়ে যেতে হবে দুটি পাথরের দরজা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড় দুটির কাছে। মনে হবে, ঝরনার স্রোত বোধ হয় এই দুটো পাথুরে পাহাড়ের মধ্যভাগজুড়ে জলের স্রোত বয়ে নিয়ে গেছে। পাথুরে পাহাড় ছাড়িয়ে সামনে যেতেই দৃষ্টি আটকে যাবে ঝরনায়। নিরন্তর পানির স্রোতে পাহাড় ভাসিয়ে দিচ্ছে বুনো পাহাড়ি ঝরনা তোজেংমা।
তোজেংমার পর্ব শেষ করে ঘুরে আসতে পারেন তৈদুছড়া থেকে। দীঘিনালার দুর্গম সীমানাপাড়া পেরিয়ে সন্ধান পাবেন এই বুনো ঝরনার। ক্যাসকেডের সরু পথ পেরিয়ে তৈদুছড়া। দুই পাহাড়ের মাঝে আড়াআড়িভাবে যুক্ত দুটি মরা গাছের কাণ্ড। নিচে গভীর জলপ্রপাত। নামতে হবে বৃষ্টিভেজা মরা গাছের কাণ্ড বেয়ে। নিচে নামার পর পাওয়া যাবে পা দেওয়ার মতো ছোট্ট একটা পাথর। পা ফসকে গেলেই গভীর খাদে হারিয়ে যেতে হবে। এমনই ট্রেইল ধরে যেতে হয় তৈদুছড়া ঝরনায়।
আকাশে কালো মেঘ, বৃষ্টি, ঝিরির পথে গলা কিংবা কোমরপানি, পাথুরে পথ—এসবে ঠাসা। ভরা বর্ষায় ঝরনার রূপ দেখতে এই কষ্টকর পথে যাত্রা করাই যায়। সকালের বৃষ্টি মাথায় যাত্রা শুরু করতে হবে। প্রথমেই কোমরসমান ঝিরির পথ। খরস্রোতা বোয়ালখালী খালের পথ ধরে এগোতে হবে অনেকখানি। ঝিরিতে খুব জোরে হাঁটার সুযোগ নেই, ধীরে ধীরে পা চালিয়ে এগোতে হয়।
হঠাৎ চোখে পড়বে বড় বড় পাহাড়ের গায়ে জমে থাকা সাদা মেঘের দলছুট স্তূপ, সবুজ পাহাড়কে মুড়িয়ে রেখেছে চেনা মেঘের দল, পাহাড়ের কোলজুড়ে বড় বড় জুমখেত। সবুজ বনের মাঝখানে ছোট্ট জুমের ঘর। নিজেদের জুমের সুরক্ষার জন্য জুমচাষিরা এই ছোট্ট জুমঘর তৈরি করেন।
ঝিরির পথ শেষে দেখা মিলবে উঁচু পাহাড়ি পথের। এখানে সবুজ পাহাড়ে ছোট্ট ট্রেইল বেয়ে উঠতে হবে। একটানা বৃষ্টিতে ওপরে ওঠার পুরো পথটাই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকবে। বৃষ্টিমাখা পথ বেয়ে দীর্ঘ সময় নিয়ে ওঠার পর পাওয়া যাবে পাহাড়ের শীর্ষ দেশ। একনজরে পুরোটা আকাশ, উঁচু পাহাড় থেকে নিচের ঝিরি পথ, ট্রেইল, জুমখেত আর সবুজ বন দেখতে বেশ লাগে।
এখনই গাইড জানাবেন, এবার নামতে হবে। কিন্তু পথ কই? বর্ষায় এই অচেনা পথে কেউ না হাঁটায় পুরো পথ জঙ্গলে ভরপুর। তাই পথ বদল করে অন্য পথ ধরতে হবে তখন। অচেনার পথ বেয়ে নামতে নামতে ঝরনার পানি আছড়ে পড়ার শব্দ কানে আসবে।
পাহাড়ি পথ ছেড়ে আবার নামতে হবে ঝিরিতে, সেটাই পথ। বড় বড় পাথর বিছানো ঝিরি। এক পাথর থেকে অন্য পাথরে পা মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হয়। পথের শেষে ঝরনার স্রোত! পাথরের ঢাল বেয়ে নেমে আসছে সাদা ফেনা মাথায় করে। সবুজ বনের মধ্যে তৈদুছড়ার এমন জলের স্রোত কেবল বর্ষাতেই দেখা যায়। এমনই বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে ঘুরে আসতে পারেন হাজাছড়া ও হরিণমারা ঝরনা।
সতর্কতা
» বর্ষায় পথ পিচ্ছিল থাকে। দক্ষতা না থাকলে ট্রেকিংয়ে যাবেন না।
» প্লাস্টিকের প্যাকেট, বোতল, খাবার প্যাকেট—এসব যেখানে-সেখানে ফেলবেন না।
» স্থানীয় মানুষ ও সংস্কৃতিকে সম্মান করুন।
কীভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাসে যাতায়াত করা যায় খাগড়াছড়ি পর্যন্ত। শ্যামলী, শান্তি, সৌদিয়া, এস আলমসহ বিভিন্ন পরিবহনের গাড়ি পাওয়া যাবে প্রতিদিন। খাগড়াছড়ি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা বাইকে দীঘিনালা পৌঁছানো যায়। খাগড়াছড়িতে রাত যাপনের জন্য আছে হোটেল গাইরিং, ইকোছড়ি ইন, মাউনটেইন ইন, অরণ্য বিলাস, হোটেল আল আমিন ইত্যাদি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫