Ajker Patrika

মৌসুম ছাড়াই বোরো ধানে কৃষকের মুখে হাসি

নড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১২: ১৩
মৌসুম ছাড়াই বোরো ধানে  কৃষকের মুখে হাসি

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মানা খান গ্রামে মৌসুম ছাড়াই জমিতে বোরো ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকেরা। ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি তারা। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মৌসুম ছাড়াই কৃষকেরা বোরো ধান চাষে আগ্রহ দেখালে তারা সহযোগিতা করেন।

জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বেশির ভাগ জমি বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায়। তাই কেউ চাইলেও একবারের বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারেন না। তাই এই বছর জমিতে বাঁধ দিয়ে তিন ফসলি করেছেন ভূমখাড়া ইউনিয়নের মানা খান গ্রামের কৃষকেরা।

কৃষক জয়দুল ঢালি ৪৫ জন কৃষক নিয়ে একটি দল গঠন করেন। জমিতে বর্ষার পানি যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য তারা বাঁধ নির্মাণ করেন। পরে ওই জমিতে ইরি ধান রোপণ করেন। এই বছর ১০০ একর জমিতে তারা বোরো ধান রোপণ করেন। শতাংশ প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ কেজি করে ধান পান বলে দাবি করেন কৃষকেরা।

এ বিষয়ে কৃষক মো. হাকিম দেওয়ান বলেন, ‘আমার বয়স ৭০ বছর। আমার এলাকায় এই রকম একটা চিন্তা আগে কারোর মধ্যে দেখি নাই, জয়দুল ঢালী যেমনে কষ্ট কইরা মৌসুম ছাড়াই বোরো আবাধ করেন। এটা দেইখা আমরাও চিন্তা করতাছি আবাধ করমু।’

ধান হাতে কৃষক ও স্থানীয়দের হাসিমাখা মুখকৃষক জয়দুল ঢালী বলেন, ‘যখন আমি আষাঢ় মাসে ধানের চারা রোপণ করা শুরু করি, তখন কারও উৎসাহ পাইনি। সবাই বলেছেন, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। এর থেকে ফলন পাওয়া যাবে না। এই কাজ আমি একা করি নাই, আমার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকও রয়েছেন। তাদের নিয়ে আমি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ শুরু করি। সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে এলাকার লোকজন অবাক হয়েছে। আশা করি আবহাওয়া ঠিক থাকলে সম্পূর্ণ ফসল ঘরে তুলতে পারুম। এই ফলন দেখে ভবিষ্যতে এই এলাকার সকল পতিত জমিই চাষের আওতায় আসবে। নিয়মিত সেচের পানি পেলে এখানে তিন ফসল করা যাবে। ধান কাটা কেবল শুরু হয়েছে। আমি ২০ শতাংশ ধান ইতিমধ্যে ঘরে তুলেছি। পুরো জমির ধান গোলায় ওঠাতে পারলেই পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বাবুল ঢালি বলেন, মানুষ চেষ্টা করলে সত্যিই সফল হতে পারে।

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) রোকনুজ্জামান বলেন, কৃষক জয়দুল ঢালীর নেতৃত্বে একটি কৃষক গ্রুপ এক ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করেছে। একটি বাঁধ নির্মাণ করে এমনটা করা সম্ভব হয়েছে। এতে যেমন তাদের নিজেদের খাদ্যের ব্যবস্থা হয়েছে, পাশাপাশি সেই খাদ্যটি জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাকা দিয়ে নারীর চাবুকের ঘা খাচ্ছিলেন পুরুষ, দুজন গ্রেপ্তার

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

প্রবাসীর রেমিট্যান্সের অর্থ আত্মসাৎ, নারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

কোটি টাকা ‘ভর্তুকি’র জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ যা পেল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত