নড়িয়া প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মানা খান গ্রামে মৌসুম ছাড়াই জমিতে বোরো ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকেরা। ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি তারা। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মৌসুম ছাড়াই কৃষকেরা বোরো ধান চাষে আগ্রহ দেখালে তারা সহযোগিতা করেন।
জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বেশির ভাগ জমি বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায়। তাই কেউ চাইলেও একবারের বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারেন না। তাই এই বছর জমিতে বাঁধ দিয়ে তিন ফসলি করেছেন ভূমখাড়া ইউনিয়নের মানা খান গ্রামের কৃষকেরা।
কৃষক জয়দুল ঢালি ৪৫ জন কৃষক নিয়ে একটি দল গঠন করেন। জমিতে বর্ষার পানি যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য তারা বাঁধ নির্মাণ করেন। পরে ওই জমিতে ইরি ধান রোপণ করেন। এই বছর ১০০ একর জমিতে তারা বোরো ধান রোপণ করেন। শতাংশ প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ কেজি করে ধান পান বলে দাবি করেন কৃষকেরা।
এ বিষয়ে কৃষক মো. হাকিম দেওয়ান বলেন, ‘আমার বয়স ৭০ বছর। আমার এলাকায় এই রকম একটা চিন্তা আগে কারোর মধ্যে দেখি নাই, জয়দুল ঢালী যেমনে কষ্ট কইরা মৌসুম ছাড়াই বোরো আবাধ করেন। এটা দেইখা আমরাও চিন্তা করতাছি আবাধ করমু।’
কৃষক জয়দুল ঢালী বলেন, ‘যখন আমি আষাঢ় মাসে ধানের চারা রোপণ করা শুরু করি, তখন কারও উৎসাহ পাইনি। সবাই বলেছেন, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। এর থেকে ফলন পাওয়া যাবে না। এই কাজ আমি একা করি নাই, আমার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকও রয়েছেন। তাদের নিয়ে আমি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ শুরু করি। সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে এলাকার লোকজন অবাক হয়েছে। আশা করি আবহাওয়া ঠিক থাকলে সম্পূর্ণ ফসল ঘরে তুলতে পারুম। এই ফলন দেখে ভবিষ্যতে এই এলাকার সকল পতিত জমিই চাষের আওতায় আসবে। নিয়মিত সেচের পানি পেলে এখানে তিন ফসল করা যাবে। ধান কাটা কেবল শুরু হয়েছে। আমি ২০ শতাংশ ধান ইতিমধ্যে ঘরে তুলেছি। পুরো জমির ধান গোলায় ওঠাতে পারলেই পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বাবুল ঢালি বলেন, মানুষ চেষ্টা করলে সত্যিই সফল হতে পারে।
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) রোকনুজ্জামান বলেন, কৃষক জয়দুল ঢালীর নেতৃত্বে একটি কৃষক গ্রুপ এক ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করেছে। একটি বাঁধ নির্মাণ করে এমনটা করা সম্ভব হয়েছে। এতে যেমন তাদের নিজেদের খাদ্যের ব্যবস্থা হয়েছে, পাশাপাশি সেই খাদ্যটি জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মানা খান গ্রামে মৌসুম ছাড়াই জমিতে বোরো ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষকেরা। ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি তারা। উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, মৌসুম ছাড়াই কৃষকেরা বোরো ধান চাষে আগ্রহ দেখালে তারা সহযোগিতা করেন।
জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বেশির ভাগ জমি বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায়। তাই কেউ চাইলেও একবারের বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারেন না। তাই এই বছর জমিতে বাঁধ দিয়ে তিন ফসলি করেছেন ভূমখাড়া ইউনিয়নের মানা খান গ্রামের কৃষকেরা।
কৃষক জয়দুল ঢালি ৪৫ জন কৃষক নিয়ে একটি দল গঠন করেন। জমিতে বর্ষার পানি যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য তারা বাঁধ নির্মাণ করেন। পরে ওই জমিতে ইরি ধান রোপণ করেন। এই বছর ১০০ একর জমিতে তারা বোরো ধান রোপণ করেন। শতাংশ প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ কেজি করে ধান পান বলে দাবি করেন কৃষকেরা।
এ বিষয়ে কৃষক মো. হাকিম দেওয়ান বলেন, ‘আমার বয়স ৭০ বছর। আমার এলাকায় এই রকম একটা চিন্তা আগে কারোর মধ্যে দেখি নাই, জয়দুল ঢালী যেমনে কষ্ট কইরা মৌসুম ছাড়াই বোরো আবাধ করেন। এটা দেইখা আমরাও চিন্তা করতাছি আবাধ করমু।’
কৃষক জয়দুল ঢালী বলেন, ‘যখন আমি আষাঢ় মাসে ধানের চারা রোপণ করা শুরু করি, তখন কারও উৎসাহ পাইনি। সবাই বলেছেন, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। এর থেকে ফলন পাওয়া যাবে না। এই কাজ আমি একা করি নাই, আমার সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকও রয়েছেন। তাদের নিয়ে আমি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ শুরু করি। সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে এলাকার লোকজন অবাক হয়েছে। আশা করি আবহাওয়া ঠিক থাকলে সম্পূর্ণ ফসল ঘরে তুলতে পারুম। এই ফলন দেখে ভবিষ্যতে এই এলাকার সকল পতিত জমিই চাষের আওতায় আসবে। নিয়মিত সেচের পানি পেলে এখানে তিন ফসল করা যাবে। ধান কাটা কেবল শুরু হয়েছে। আমি ২০ শতাংশ ধান ইতিমধ্যে ঘরে তুলেছি। পুরো জমির ধান গোলায় ওঠাতে পারলেই পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বাবুল ঢালি বলেন, মানুষ চেষ্টা করলে সত্যিই সফল হতে পারে।
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) রোকনুজ্জামান বলেন, কৃষক জয়দুল ঢালীর নেতৃত্বে একটি কৃষক গ্রুপ এক ফসলি জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করেছে। একটি বাঁধ নির্মাণ করে এমনটা করা সম্ভব হয়েছে। এতে যেমন তাদের নিজেদের খাদ্যের ব্যবস্থা হয়েছে, পাশাপাশি সেই খাদ্যটি জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪