আরিফুল হক তারেক, মুলাদী (বরিশাল)
মুলাদীতে পাট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। পাট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করায় কম দামে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে সোনালি ফসল পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেক কৃষক। তবে পাট ব্যবসায়ীদের দাবি, মিলমালিকেরা দাম কমিয়ে দেওয়ায় তাঁদের কৃষকদের থেকে কম দামে কিনতে হয়।
জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন কৃষকেরা। এসব জমিতে ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে কৃষকদের আগে থেকেই দুশ্চিন্তা ছিল। এরপরও দো-ফসলি জমিতে অনেকটা বাধ্য হয়েই পাট চাষ করেছেন অনেকে।
চলতি মৌসুমের শুরুতে পাট ব্যবসায়ীরা ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা দরে প্রতি মণ পাট কিনেছিলেন। হঠাৎ করেই দাম কমিয়ে ১৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে পাটের দাম নির্ধারণ করেন। বৃষ্টি কিংবা বৈরী আবহাওয়ায় পাট কিছুটা ভিজা থাকাসহ নানা টালবাহানায় দাম কমিয়ে দেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছর ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। এ বছর পাট চাষের জমি বেড়ে ৬ হাজার ৪৫০ হেক্টর হয়েছে। তবে পাটের দাম নির্ধারণের বিষয়টি ব্যবসায়ী ও মিলমালিকদের ওপর নির্ভর করে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম।
উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক শাহ আলম সরদার বলেন, ‘আমন ধান ওঠানোর পর প্রায় ১ একর জমিতে পাট চাষ করেছেন। এর মধ্যে ২০ শতাংশ জমির পাটের হিসাব করে দেখেছেন বীজ কেনা, জমি চাষ, সার প্রয়োগ এবং পাট কাটা ও পরিষ্কার করার মজুরি বাবদ প্রায় ৪ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়েছে। ওই ২০ শতাংশ জমির পাট বিক্রি করে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫০ এবং পাটখড়ি বিক্রি করে ৪৮০ টাকা।’
চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের আরেক কৃষক বাবুল ব্যাপারী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা জোটবদ্ধ হয়ে কৃষকদের ঠকিয়ে কম দামে পাট কিনে অতিরিক্ত লাভ করছেন। তাদের কাছে কৃষকেরা অনেকটা অসহায়।’
মুলাদী পৌরসভার চরডিক্রি গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম নয়ন মিয়া বলেন, ‘গত বছর পাইকারদের কাছে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা দরে পাট কিনেছিলাম; কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তাঁরা পাটের দাম কমিয়ে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেন। ফলে গত বছর অনেক পাট বিক্রি করতে পারিনি। এ বছরও দাম না পাওয়ায় ওই পাট নিয়ে বিপদে পড়েছি।’
এ ব্যাপারে খাসেরহাট বন্দরের পাট ব্যবসায়ী সোহেল ফকির বলেন, ‘পাটের দাম মিলমালিকদের ওপর নির্ভর করে। মিলমালিকেরা দাম কমিয়ে দিলে বাধ্য হয়েই কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পাট কিনতে হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়ে কৃষক কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে পাট কিনবেন না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পাট খাতে সরকারি কোনো সহযোগিতা কিংবা ভর্তুকি দেওয়া হয় না। কৃষি কার্যালয় থেকে কৃষকদের চাষাবাদ ও ভালো ফলন পেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি সরকারিভাবে পাটচাষিদের সহযোগিতা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় তা হলে তালিকা করে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।’
মুলাদীতে পাট ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। পাট বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। পাট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করায় কম দামে পাট বিক্রি করতে হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে সোনালি ফসল পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেক কৃষক। তবে পাট ব্যবসায়ীদের দাবি, মিলমালিকেরা দাম কমিয়ে দেওয়ায় তাঁদের কৃষকদের থেকে কম দামে কিনতে হয়।
জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন কৃষকেরা। এসব জমিতে ফলনও মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে পাটের কাঙ্ক্ষিত দাম নিয়ে কৃষকদের আগে থেকেই দুশ্চিন্তা ছিল। এরপরও দো-ফসলি জমিতে অনেকটা বাধ্য হয়েই পাট চাষ করেছেন অনেকে।
চলতি মৌসুমের শুরুতে পাট ব্যবসায়ীরা ২৫০০ থেকে ২৮০০ টাকা দরে প্রতি মণ পাট কিনেছিলেন। হঠাৎ করেই দাম কমিয়ে ১৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা দরে পাটের দাম নির্ধারণ করেন। বৃষ্টি কিংবা বৈরী আবহাওয়ায় পাট কিছুটা ভিজা থাকাসহ নানা টালবাহানায় দাম কমিয়ে দেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, গত বছর ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছিলেন কৃষকেরা। এ বছর পাট চাষের জমি বেড়ে ৬ হাজার ৪৫০ হেক্টর হয়েছে। তবে পাটের দাম নির্ধারণের বিষয়টি ব্যবসায়ী ও মিলমালিকদের ওপর নির্ভর করে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম।
উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক শাহ আলম সরদার বলেন, ‘আমন ধান ওঠানোর পর প্রায় ১ একর জমিতে পাট চাষ করেছেন। এর মধ্যে ২০ শতাংশ জমির পাটের হিসাব করে দেখেছেন বীজ কেনা, জমি চাষ, সার প্রয়োগ এবং পাট কাটা ও পরিষ্কার করার মজুরি বাবদ প্রায় ৪ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়েছে। ওই ২০ শতাংশ জমির পাট বিক্রি করে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৫০ এবং পাটখড়ি বিক্রি করে ৪৮০ টাকা।’
চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের আরেক কৃষক বাবুল ব্যাপারী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা জোটবদ্ধ হয়ে কৃষকদের ঠকিয়ে কম দামে পাট কিনে অতিরিক্ত লাভ করছেন। তাদের কাছে কৃষকেরা অনেকটা অসহায়।’
মুলাদী পৌরসভার চরডিক্রি গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাইনুল ইসলাম নয়ন মিয়া বলেন, ‘গত বছর পাইকারদের কাছে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ টাকা দরে পাট কিনেছিলাম; কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তাঁরা পাটের দাম কমিয়ে ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেন। ফলে গত বছর অনেক পাট বিক্রি করতে পারিনি। এ বছরও দাম না পাওয়ায় ওই পাট নিয়ে বিপদে পড়েছি।’
এ ব্যাপারে খাসেরহাট বন্দরের পাট ব্যবসায়ী সোহেল ফকির বলেন, ‘পাটের দাম মিলমালিকদের ওপর নির্ভর করে। মিলমালিকেরা দাম কমিয়ে দিলে বাধ্য হয়েই কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পাট কিনতে হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়ে কৃষক কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বেশি দামে পাট কিনবেন না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘পাট খাতে সরকারি কোনো সহযোগিতা কিংবা ভর্তুকি দেওয়া হয় না। কৃষি কার্যালয় থেকে কৃষকদের চাষাবাদ ও ভালো ফলন পেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি সরকারিভাবে পাটচাষিদের সহযোগিতা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এবং অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় তা হলে তালিকা করে কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫