সম্পাদকীয়
ইলিশ নিয়ে সেরা হচ্ছে গোপাল ভাঁড়ের গল্প। এই যুগে যেমন, সেই যুগেও তেমনি হাতে ইলিশ ঝুলিয়ে আনলে কৌতূহলী মানুষ পথেই ইলিশের দাম জিজ্ঞেস করে। ‘কত দিয়ে কিনলেন?’ ঠিক যেন কোরবানির গরুর মতো। পথ দিয়ে কোরবানির গরু নিয়ে চলতে গেলে কারণে-অকারণে দাম জানার আগ্রহ আমাদের শরীরের রক্তে যেন মিশে আছে। স্মৃতি থেকে গোপাল ভাঁড়ের ইলিশ কেনার গল্পটা বলি। একবার গোপালকে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বললেন, ‘তুমি বাজার থেকে দুটো ইলিশ মাছ নিয়ে আসবে এবং এমন কিছু করবে, যেন পথে কেউ তার দাম জিজ্ঞেস না করে।’
বাজি রাখলেন মহারাজ। অন্য কেউ হলে সভয়ে এড়িয়ে যেত ব্যাপারটা। কিন্তু গোপাল তো আপাত নিরীহভাবে কত ঘটনারই না জন্ম দিয়েছেন! ফলে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র দেরি করলেন না গোপাল। এবং তারপর বাজার থেকে বিশাল আকারের দুটো ইলিশ কিনলেন। কানকোয় রশি ঝুলিয়ে রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করলেন তিনি। এবং কী বিস্ময়কর ব্যাপার! একজন মানুষও তাঁর কাছে ইলিশ মাছের দাম জানতে চাইল না।
কী করেছিলেন গোপাল? খুব সূক্ষ্ম কোনো কাজ করেননি। পরনের কাপড়টা খুলে মাথায় বেঁধেছিলেন শুধু। তাতে প্রায় দিগম্বর একজন মানুষের হাতে দুটো ইলিশ দেখেও কেউ আর তাকে ইলিশের দাম জিজ্ঞেস করার কথা ভাবতে পারেনি। পোশাকহীন গোপালই তখন দেখার বিষয়।
গল্পটা বলা হলো গত বুধবার ইলিশ নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপের কথা মনে রেখে। সেখানে সরকারদলীয় একজন সংসদ সদস্য সোৎসাহে বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ কেজি ওজনের অসংখ্য ইলিশ তিনি জোগাড় করে দিতে পারেন। আর তার বিপরীতে জেলেদের প্রতিনিধিরা বলছেন, নদীতে ইলিশ না থাকায় তাদের জীবিকায় টান পড়েছে।
গোপাল ভাঁড়ের গল্পটা জাতীয় সংলাপের কাঠামোয় বসিয়ে নিলে কী হয়, তা দেখা যাক। বাজারে ইলিশের কমতি নেই এবং তা সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে—এটা প্রমাণ করতে হলে গোপাল ভাঁড়ের এই গল্পটার সাহায্যই নিতে হবে। অর্থাৎ, এমন কোনো কথা ভাবতে হবে, যখন ইলিশ বাদ দিয়ে অন্যদিকে নজর চলে যায়। ইলিশের দাম বহু আগেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কেউ কেউ টুকরো হিসেবে ইলিশ কেনা যায় কি না, সে কথাও ভাবতে শুরু করেছেন। আস্ত ইলিশ কিনতে গেলে ট্যাকে টান পড়ে বেশির ভাগ মানুষেরই। সুতরাং ইলিশ খেয়ে হাতে ও মুখে তার গন্ধ ছড়িয়ে তা নিয়ে গর্ব করার মতো মানুষ এই দেশে খুব বেশি আছে, সে কথা বলা যাবে না।
আগেকার দিন হলে বলা যেত, ইলিশ এখন শুধুই রাজদরবারের খাবার। কিন্তু রাজতন্ত্র নেই বলে সে কথা তো বলা যাবে না। শুধু গরিব মানুষ গোপাল ভাঁড়ের গল্পটা শোনার সময় একটু হাসার চেষ্টা করুক। এবং চাইলে গল্পের ইলিশকেও উধাও করে দিক। গল্পে থাকুক শুধু দিগম্বর গোপাল।
ইলিশ নিয়ে সেরা হচ্ছে গোপাল ভাঁড়ের গল্প। এই যুগে যেমন, সেই যুগেও তেমনি হাতে ইলিশ ঝুলিয়ে আনলে কৌতূহলী মানুষ পথেই ইলিশের দাম জিজ্ঞেস করে। ‘কত দিয়ে কিনলেন?’ ঠিক যেন কোরবানির গরুর মতো। পথ দিয়ে কোরবানির গরু নিয়ে চলতে গেলে কারণে-অকারণে দাম জানার আগ্রহ আমাদের শরীরের রক্তে যেন মিশে আছে। স্মৃতি থেকে গোপাল ভাঁড়ের ইলিশ কেনার গল্পটা বলি। একবার গোপালকে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র বললেন, ‘তুমি বাজার থেকে দুটো ইলিশ মাছ নিয়ে আসবে এবং এমন কিছু করবে, যেন পথে কেউ তার দাম জিজ্ঞেস না করে।’
বাজি রাখলেন মহারাজ। অন্য কেউ হলে সভয়ে এড়িয়ে যেত ব্যাপারটা। কিন্তু গোপাল তো আপাত নিরীহভাবে কত ঘটনারই না জন্ম দিয়েছেন! ফলে এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে বিন্দুমাত্র দেরি করলেন না গোপাল। এবং তারপর বাজার থেকে বিশাল আকারের দুটো ইলিশ কিনলেন। কানকোয় রশি ঝুলিয়ে রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে যাত্রা শুরু করলেন তিনি। এবং কী বিস্ময়কর ব্যাপার! একজন মানুষও তাঁর কাছে ইলিশ মাছের দাম জানতে চাইল না।
কী করেছিলেন গোপাল? খুব সূক্ষ্ম কোনো কাজ করেননি। পরনের কাপড়টা খুলে মাথায় বেঁধেছিলেন শুধু। তাতে প্রায় দিগম্বর একজন মানুষের হাতে দুটো ইলিশ দেখেও কেউ আর তাকে ইলিশের দাম জিজ্ঞেস করার কথা ভাবতে পারেনি। পোশাকহীন গোপালই তখন দেখার বিষয়।
গল্পটা বলা হলো গত বুধবার ইলিশ নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’বিষয়ক জাতীয় সংলাপের কথা মনে রেখে। সেখানে সরকারদলীয় একজন সংসদ সদস্য সোৎসাহে বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ কেজি ওজনের অসংখ্য ইলিশ তিনি জোগাড় করে দিতে পারেন। আর তার বিপরীতে জেলেদের প্রতিনিধিরা বলছেন, নদীতে ইলিশ না থাকায় তাদের জীবিকায় টান পড়েছে।
গোপাল ভাঁড়ের গল্পটা জাতীয় সংলাপের কাঠামোয় বসিয়ে নিলে কী হয়, তা দেখা যাক। বাজারে ইলিশের কমতি নেই এবং তা সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে—এটা প্রমাণ করতে হলে গোপাল ভাঁড়ের এই গল্পটার সাহায্যই নিতে হবে। অর্থাৎ, এমন কোনো কথা ভাবতে হবে, যখন ইলিশ বাদ দিয়ে অন্যদিকে নজর চলে যায়। ইলিশের দাম বহু আগেই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। কেউ কেউ টুকরো হিসেবে ইলিশ কেনা যায় কি না, সে কথাও ভাবতে শুরু করেছেন। আস্ত ইলিশ কিনতে গেলে ট্যাকে টান পড়ে বেশির ভাগ মানুষেরই। সুতরাং ইলিশ খেয়ে হাতে ও মুখে তার গন্ধ ছড়িয়ে তা নিয়ে গর্ব করার মতো মানুষ এই দেশে খুব বেশি আছে, সে কথা বলা যাবে না।
আগেকার দিন হলে বলা যেত, ইলিশ এখন শুধুই রাজদরবারের খাবার। কিন্তু রাজতন্ত্র নেই বলে সে কথা তো বলা যাবে না। শুধু গরিব মানুষ গোপাল ভাঁড়ের গল্পটা শোনার সময় একটু হাসার চেষ্টা করুক। এবং চাইলে গল্পের ইলিশকেও উধাও করে দিক। গল্পে থাকুক শুধু দিগম্বর গোপাল।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫