Ajker Patrika

ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, খুঁজছেন আশ্রয়স্থল

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
ভাঙনে দিশেহারা মানুষ, খুঁজছেন আশ্রয়স্থল

‘আগুনে পুড়লে তাও বসতভিটা থেকে যায়; কিন্তু যমুনার ভাঙনে কিছুই থাকে না। আমি যমুনার একাধিক ভাঙনের মুখে পড়েছি। এখন ক্ষতিগ্রস্ত। জালালপুর, পাকুরতলা, আরকান্দি, ঘাটাবাড়ি, কৈজুড়ী, পাঁচিল এলাকায় যমুনার ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ। এই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ হওয়ার কথা। কাজও শুরু হয়েছিল; কিন্তু মাঝপথে ঠিকাদার চলে যাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে।’ কথাগুলো বলছিলেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের যমুনার ভাঙনে জমিজমা হারানো খোরশেদ আলম মাস্টার।

তিনি এখন আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের জমিতে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বেলিরচর থেকে এনায়েতপুর স্পার বাঁধ এবং এনায়েতপুর স্পার বাঁধ থেকে শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচিল পর্যন্ত নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত চৌহালী উপজেলার চাঁদপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর গ্রাম। এই দুটি এলাকায় প্রতিনিয়ত যমুনার গর্ভে বিলীন হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতভিটা, ফসলি জমি, গাছপালা। সহায়-সম্বল হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ছেন ভাঙনকবলিত মানুষ। এসব মানুষ একটু আশ্রয়ের জন্য অন্যের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।

চাঁদপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা ও চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, চাঁদপুর গ্রামে ১০টি মৌজার লোকের বসবাস।

নদীভাঙনে বেশ কয়েকটি গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে দেওয়ানতলা, গাবেরপাড়া, তেবাড়িয়া, শংকরহাটি, মৌহালী, উল্লাপাড়া, বিনদহ, মহেশপুর, শাহপুর, রামজীবনপুর, বারবালা, বোয়ালকান্দি, কোনাবাড়ি। উল্লিখিত গ্রাম নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। এসব গ্রামের মানুষ চাঁদপুর গ্রামে আশ্রয় নিয়েছেন। এখানেও ভাঙন শুরু হয়েছে।

এখন এসব মানুষ যাবেন কোথায়। তাই ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। চলতি বছরে যমুনা নদীতে দফায় দফায় পানি বৃদ্ধির কারণে বাঁধ নির্মাণকাজে বিঘ্ন ঘটছে। পানির জন্য কাজ করা যাচ্ছে না। এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শাহজাদপুর উপজেলার পাঁচিল পর্যন্ত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। কাজও চলছে। প্রায় সাড়ে ৬ শ কোটি টাকার এই বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হলে এ এলাকায় আর ভাঙন থাকবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানের চীনা জে-১০ দিয়ে ভারতের রাফাল যুদ্ধবিমান ধ্বংস, যুক্তরাষ্ট্রের কড়া নজরে এই টক্কর

একটি দলের ওপর ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব: মাহফুজ আলম

গতকাল রাতে ৪৮টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের

অহনার দাবি, নিজের দোষ ঢাকতে ডাবল টাইমিংয়ের কথা বলেছেন শামীম

পাকিস্তানে হামলায় ভারত এক দিনেই হারিয়েছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি রুপির সামরিক সরঞ্জাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত