Ajker Patrika

নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান

সম্পাদকীয়
নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে নানা তৎপরতা। ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার কৌশল নির্ধারণে ব্যস্ত আছে বড়-ছোট সব দলই। সব দলের সব তৎপরতা প্রকাশ্যে বা সবার চোখের সামনে চলছে তা অবশ্যই নয়। কিছু তৎপরতা আছে লোকচোখের আড়ালে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন দল। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা এই দলের আশা পরের মেয়াদেও জনরায় নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দল আবারও ক্ষমতায় ফিরবে বলে আশাবাদ প্রকাশে সামান্য দ্বিধাও প্রকাশ করছেন না। রোববার লন্ডনে এক নাগরিক সংবর্ধনা সভায়ও তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াতের ওপর আস্থা রাখবে না। কারণ, জনগণ জেনে গেছে, ‘তারা ভোট চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা এবং তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।’

আবার আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি মনে করছে, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকার সময় শেষ হয়ে এসেছে এবং প্রবল এক গণ-আন্দোলনের মুখে সরকারের পতন হবে। অর্থাৎ, নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন নয়, গণ-অভ্যুত্থানে সরকারের পতন আশা করছে বিএনপি ও তার মিত্ররা।

বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নীতি নিয়েছে। সোমবার বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে মিলিত হয়েও বিএনপির নেতারা বলেছেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।  
বিএনপির দাবি সরকার যে মানবে না, সেটা স্পষ্ট করেই বলেছে। সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করার মতো জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলা বিএনপির পক্ষে সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে রয়েছে। তবে আগের দুটি নির্বাচন যেভাবে হয়েছে, আগামী নির্বাচন সেভাবে করা সরকারের পক্ষেও সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

বিএনপি মনে করছে, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলির সঙ্গে বৈঠকেও বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচন যুক্তরাজ্যের মতো অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে চায়। এই লক্ষ্যে সরকার সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

সবার অংশগ্রহণ না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে না এলে সরকার কীভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সবাই আন্তরিক হলে শেষ মুহূর্তে একটি উপায় নিশ্চয়ই বের হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রোববার বলেছেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিলে দলটিকে নির্বাচনকালীন সরকারে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। বিএনপি এ ব্যাপারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেও এই প্রস্তাবের মধ্যে কেউ কেউ নতুন উপাদান লক্ষ করছেন। দেখা যাক, অচলায়তন ভাঙে কি না!

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাইপলাইনে জ্বালানি পরিবহন: ৩৪ হাজার লিটার ঘাটতি যমুনার প্রথম পার্সেলে

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

চিকিৎসক হওয়ার আগেই শীর্ষ সবার শীর্ষে

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত