ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
মাগুরায় অনেক কৃষক আমন ধান ঘরে তুলেছেন। এবার ধানের দামে মোটামুটি সন্তুষ্টও তাঁরা। তবে কৃষক বেশি খুশি বিচেলি (খড়) বিক্রি করে। জানা গেছে, এক মণ ধানের যে দাম তার থেকে খড়ের দাম দ্বিগুণ।
মাগুরা সদরের জগদল ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘৩ একর জমিতে আমন ধান লাগাইছি। প্রতি একরে ৪০ মণ ধান উৎপাদনে ১২০ মণ আমন ফসল ঘরে তুলেছি। মাঠে এখনো কিছু ধান রয়েছে। এই সপ্তাহে তা ঘরে আসবে। ধানের দাম এখন মোটা আমন মণপ্রতি ১০৫০ টাকা। এই দাম থাকলে আমাদের উৎপাদন খরচ উঠে লাভ থাকবে। তবে ধানের দাম থেকে এবার খড়ের দাম বেশি। এক মণ ধানে যে পরিমাণ খড় হয় তা প্রতি গোছা ১৮ থেকে ২২ টাকা বিক্রি করি। বাজারে ১০০ গোছার (এক মণ) দাম পড়ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। যে কারণে এখনই ধান বাজারে আনার আগ্রহ নেই কৃষকের। খড় বিক্রিতেই বেশি ব্যস্ত তাঁরা।’
আবালপুর গ্রামের জমির উদ্দিন জানান, খড় গত বছর প্রতি এক শ গোছা ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। তখন ধানের দাম ১ হাজার থেকে প্রকার ভেদে ১ হাজার ৪০০ টাকাও মণ বিক্রি হয়েছে। এ বছর তিনি আমন ধান বিক্রি করেছেন ১ হাজার টাকা মণ তবে খড় বিক্রি করেছেন দ্বিগুণ দামে। তাই ধান আপাতত বাড়িতে রেখেছেন। খড়ে চাহিদা বেশি থাকাই এটা আপাতত বিক্রি করছেন।
খড় বেশি কেনেন যাঁদের গরুর খামার আছে। কিংবা ব্যক্তিগতভাবে যাঁরা গরু পালন করেন তাঁদের। খামারি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গরু পালন করতে শীত মৌসুমে ঘাসের সংকট হয়। তাই যে গরু থেকে দুধ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোকে খড় ও ভুসি এবং তেলের খৈল মিশিয়ে খাওয়ালে দুধ বেশি পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, ‘আমার মতো অনেক খামারিই খড় এই আমন মৌসুমে কিনে রাখেন। লাখ টাকার খড় কিনে সারা বছর গরুকে খাওয়াতে হয়। ধানের থেকে তাই এর দাম বেশি হয় অনেক সময়। তবে এটা সুবিধামতো দামে রাখা উচিত। নইলে খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’
আরেক খামারি আসিব হোসেন জানান, বাড়িতে গরুর জন্য খড় কেনা থেকে ধান কিনে রাখা ভালো। ধান যেখানে হাজার টাকা মণ, সেখানে এক ভ্যান (১০০ গোছা) খড় কিনতে ভ্যান ভাড়াসহ দিতে হচ্ছে ধানের দ্বিগুণ দাম। খামারিরা টিকে থাকবেন কি করে।
মাগুরা জেলার নতুন বাজার, রাঘবদাত্রুউড় ধনপাড়া, শজিৎপুরসহ বিভিন্ন হাট–বাজারে ভ্যানে করে খড় বিক্রি করতে দেখা গেছে বেশ কিছু কৃষককে। তাঁরা সবাই বলছেন, ধান উৎপাদনে যে খরচ তা পোষাতে শুধু ধান বিক্রি করে হয় না। এ জন্য খড় বিক্রি করে তাঁরা কিছুটা লাভবান হন।
মাগুরা কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছর আমন ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এ বছর ৬১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আমন ধানের আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে।
মাগুরায় অনেক কৃষক আমন ধান ঘরে তুলেছেন। এবার ধানের দামে মোটামুটি সন্তুষ্টও তাঁরা। তবে কৃষক বেশি খুশি বিচেলি (খড়) বিক্রি করে। জানা গেছে, এক মণ ধানের যে দাম তার থেকে খড়ের দাম দ্বিগুণ।
মাগুরা সদরের জগদল ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘৩ একর জমিতে আমন ধান লাগাইছি। প্রতি একরে ৪০ মণ ধান উৎপাদনে ১২০ মণ আমন ফসল ঘরে তুলেছি। মাঠে এখনো কিছু ধান রয়েছে। এই সপ্তাহে তা ঘরে আসবে। ধানের দাম এখন মোটা আমন মণপ্রতি ১০৫০ টাকা। এই দাম থাকলে আমাদের উৎপাদন খরচ উঠে লাভ থাকবে। তবে ধানের দাম থেকে এবার খড়ের দাম বেশি। এক মণ ধানে যে পরিমাণ খড় হয় তা প্রতি গোছা ১৮ থেকে ২২ টাকা বিক্রি করি। বাজারে ১০০ গোছার (এক মণ) দাম পড়ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা। যে কারণে এখনই ধান বাজারে আনার আগ্রহ নেই কৃষকের। খড় বিক্রিতেই বেশি ব্যস্ত তাঁরা।’
আবালপুর গ্রামের জমির উদ্দিন জানান, খড় গত বছর প্রতি এক শ গোছা ৮৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হয়েছে। তখন ধানের দাম ১ হাজার থেকে প্রকার ভেদে ১ হাজার ৪০০ টাকাও মণ বিক্রি হয়েছে। এ বছর তিনি আমন ধান বিক্রি করেছেন ১ হাজার টাকা মণ তবে খড় বিক্রি করেছেন দ্বিগুণ দামে। তাই ধান আপাতত বাড়িতে রেখেছেন। খড়ে চাহিদা বেশি থাকাই এটা আপাতত বিক্রি করছেন।
খড় বেশি কেনেন যাঁদের গরুর খামার আছে। কিংবা ব্যক্তিগতভাবে যাঁরা গরু পালন করেন তাঁদের। খামারি রবিউল ইসলাম বলেন, ‘গরু পালন করতে শীত মৌসুমে ঘাসের সংকট হয়। তাই যে গরু থেকে দুধ পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোকে খড় ও ভুসি এবং তেলের খৈল মিশিয়ে খাওয়ালে দুধ বেশি পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, ‘আমার মতো অনেক খামারিই খড় এই আমন মৌসুমে কিনে রাখেন। লাখ টাকার খড় কিনে সারা বছর গরুকে খাওয়াতে হয়। ধানের থেকে তাই এর দাম বেশি হয় অনেক সময়। তবে এটা সুবিধামতো দামে রাখা উচিত। নইলে খামারিরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’
আরেক খামারি আসিব হোসেন জানান, বাড়িতে গরুর জন্য খড় কেনা থেকে ধান কিনে রাখা ভালো। ধান যেখানে হাজার টাকা মণ, সেখানে এক ভ্যান (১০০ গোছা) খড় কিনতে ভ্যান ভাড়াসহ দিতে হচ্ছে ধানের দ্বিগুণ দাম। খামারিরা টিকে থাকবেন কি করে।
মাগুরা জেলার নতুন বাজার, রাঘবদাত্রুউড় ধনপাড়া, শজিৎপুরসহ বিভিন্ন হাট–বাজারে ভ্যানে করে খড় বিক্রি করতে দেখা গেছে বেশ কিছু কৃষককে। তাঁরা সবাই বলছেন, ধান উৎপাদনে যে খরচ তা পোষাতে শুধু ধান বিক্রি করে হয় না। এ জন্য খড় বিক্রি করে তাঁরা কিছুটা লাভবান হন।
মাগুরা কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছর আমন ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এ বছর ৬১ হাজার ৪৫৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আমন ধানের আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫