Ajker Patrika

বাক্‌রুদ্ধ মিরাজ, সামনে এখন শুধুই অন্ধকার

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ১৪: ০৮
বাক্‌রুদ্ধ মিরাজ, সামনে এখন শুধুই অন্ধকার

ভাড়ায় রিকশা চালাতেন ভোলার লালমোহন উপজেলার যুবক মিরাজ হোসেন। দুই মাস আগে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এক লাখ টাকা দিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা কেনেন। অনেক স্বপ্ন ছিল এই রিকশা ঘিরে। কিন্তু গত বুধবার রাতে যাত্রী সেজে চোখে মলম লাগিয়ে তাঁর রিকশাটি নিয়ে যান দুই ব্যক্তি। আর উপার্জনের একমাত্র সম্বল হারিয়ে মিরাজ দু-চোখে এখন অন্ধকার দেখছেন।

জানা যায়, লালমোহনের চৌরাস্তার মোড় থেকে দেবিরচর বাজারে যাওয়ার কথা বলে দুই ব্যক্তি রিকশাতে ওঠেন। পথিমধ্যে পেছন থেকে চালক মিরাজের চোখে মলম লাগিয়ে রিকশাটি নিয়ে যায় তারা। এ সময় মিরাজের কাছে থাকা ২০০ টাকা ও একটি মোবাইল নিয়ে যায় ওই মলম পার্টির সদস্যরা। ঘটনার পরে রাতেই থানায় একটি অভিযোগ করেন রিকশাচালক মিরাজ। মিরাজ উপজেলা চরভূতা ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তারাগঞ্জ গ্রামের মো. সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।

রিকশা ফিরে পাওয়ার আশায় গতকাল লালমোহন থানা প্রাঙ্গণে বসে ছিলেন মিরাজ। চেহারায় রাজ্যের বিষন্নতা। তখনই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। বলেন, ‘পরিবারে বাবা-মাসহ আমরা ৫ সদস্য রয়েছি। বড় ভাই বিয়ে করে এখন আর আমাদের খোঁজ নেন না। সেই ১৭ বছর বয়স থেকে রিকশা চালিয়ে সংসারের হাল ধরি। অনেক বছর ভাড়ায় চালালেও দুই মাস আগে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে একটি রিকশা কিনি। সেই রিকশা নিয়ে গেছে মলম পার্টি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত