Ajker Patrika

ময়লার গন্ধে সড়কে চলা দায়

মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১২: ৪০
ময়লার গন্ধে সড়কে চলা দায়

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে প্রতিদিনই ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ময়লার স্তূপ থেকে চরম দুর্গন্ধের সৃষ্টি হওয়ায় মহাসড়কে চলাচল করা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মহাসড়কের ওই জায়গাটুকুতে দাঁড়াতেই চান না কেউ। দুর্গন্ধ এতটাই তীব্র যে মুখে রুমাল অথবা কাপড় চেপে ধরলেও রক্ষা পাওয়া যায় না।

গতকাল রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের মণ্ডল তেল পাম্প স্টেশন থেকে মোল্লাতেঘরিয়া মোড়ের মাঝখানে কয়েকটি স্থানে নিয়মিত ফেলা হচ্ছে পৌর এলাকার ময়লা। এসব জায়গায় ময়লা না ফেলার নির্দেশনা দিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগ থেকে সাইনবোর্ড লাগানো হলেও তা মানছেন না কেউ। দূর-দূরান্ত থেকে বস্তায় ভরে সড়কের পাশে ময়লা ফেলে রেখে যাচ্ছে মানুষ। এমনকি মরা পশুও ফেলে রাখা হচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পৌরসভার গাড়িতে করেও মাঝেমধ্যে এখানে ময়লা ফেলে চলে যেতে দেখা যায়। জমানো বর্জ্যের কারণে বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হচ্ছে মহাসড়কও। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে ফেলা এই বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ চলাচলকারী যাত্রী ও স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। তা ছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা ছাড়াও মহাসড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় বিশাল এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে ময়লার স্তূপ। দেখলে মনে হয় ময়লার ভাগাড়।

স্থানীয়রা আরও জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ এসব বর্জ্য অপসারণে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না। ময়লা-আবর্জনার পচা উৎকট গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ। দুর্গন্ধের কারণে এদিক দিয়ে কেউ হেঁটে যেতে চান না। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করে ময়লা গড়িয়ে পাশের খালেই ফেলছে সড়ক বিভাগ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। আবর্জনা ফেলে স্থানটি নোংরা করে ফেলা হচ্ছে। কোনো সুস্থ মানুষ এই জায়গা দিয়ে গেলে অসুস্থ হয়ে যাবেন।’

কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভা একসময় এখানে ময়লা ফেলত। তবে বেশ কিছুদিন ধরে পৌরসভা আর এখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে না। পৌরসভার আবর্জনা এখন সাইবেরিয়া বিলের মধ্যে পৌরসভার নির্ধারিত ভাগাড়ে ফেলা হয়। ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য সাইনবোর্ড টাঙানো থাকলেও পাবলিক, কল-কারখানা, হাসপাতাল-ক্লিনিক এমনকি চামড়া কারখানার ময়লা-আবর্জনা এখানে ফেলা হচ্ছে।’

ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পৌরসভার পানি নিষ্কাশন খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেন ভরাট হয়ে রাস্তায় পানি জমে যাচ্ছে। তিনি অবিলম্বে মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘমল্লারের জবাবের পর ডাকসু ও বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে যা লিখলেন শশী থারুর

জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস, বিপক্ষে ভোট দিল যারা

উপদেষ্টা পরিষদের ভেতরে মাহফুজকে হত্যার মৌন সম্মতি তৈরি করা হয়েছে: নাহিদ

রপ্তানিতে দ্বিতীয় থেকে ১০ নম্বরে নামল চিংড়ি

২০ শতাংশ অতিরিক্ত ভোটার কারা, প্রশ্ন অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত