Ajker Patrika

সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ৩২
সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর সদরের গোডাউন মোড় থেকে নুরনগর পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, নির্মাণকাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করায় বছর না ঘুরতেই এ সড়ক আবার ভাঙনের মুখে পড়বে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের শুরুতে অতি নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হলেও কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এ নিয়ে স্থানীয়রা আপত্তি জানালেও ঠিকাদার তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করছেন না।

মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা ফজল হোসেন ও আবদুর রহিম জানান, সড়কের দুই পাশের বর্ধিত অংশে যে খোয়া ফেলা হচ্ছে তার ওপর দিয়ে হালকা যানবাহন গেলেই ধুলা হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তার দুই ধারে ব্যবহার করা ইট এতই নিম্নমানের ব্যবহারের আগেই ভেঙে যাচ্ছে। এভাবে যেনতেনভাবে সংস্কার করা হলে বছর না ঘুরতেই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি আবারও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে।

জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগের তত্ত্বাবধানে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কারের কাজ অনেক দিন আগেই শুরু হয়েছে। ৩ হাজার ৮০০ মিটার এ সড়ক সংস্কার কাজের সময়সীমা ছয় মাস থাকলেও সেটি এখন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২–৩ মাসের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করার কথা। খুলনার এটিসি ও এসআরটি নামের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজটি পরিচালনা করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গোডাউন মোড় থেকে সোয়ালিয়া সেতু পর্যন্ত ইতিমধ্যে এজিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। সড়কের বর্ধিত অংশে খোয়া ফেলে রোলিংয়ের কাজ চলছে। এ ছাড়া গোডাউন মোড় থেকে যাদবপুর মোড় পর্যন্ত সড়ক সমান করে রোলিংয়ের কাজও এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা যাবদপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানসহ কয়েকজন পথচারী অভিযোগ করেন, ভাটার তিন নম্বর ইট নিয়ে রাস্তার দুই পাশের এজিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। আর ভাটার পরিত্যক্ত ইটের খোয়া দিয়ে বর্ধিত অংশ ভরাট চলছে।

আশরাফ হোসেনের অভিযোগ, নিম্নমানের ইট দিয়ে এজিং করায় সড়ক টেকসই হবে না। সড়কের পাশে জলাধার থাকা কয়েকটি অংশে ভাঙন রোধের পিলার দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পিলার ছাড়াই এজিং করায় সড়ক এখনি ধসে যাচ্ছে।

উপকরণের মানের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মরত শ্রমিকেরা জানান, ইট ভালো না হলেও খারাপ না। তা ছাড়া ঠিকাদারের সরবরাহ করা ইট পাথর এবং পরামর্শে তাঁদের কাজ করতে হয়।

নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধান মিস্ত্রি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘একটি রাস্তা সারা জীবন যাবে না কি! আপনাদের কিছু বলার থাকলে ঠিকাদারকে বলেন।’

কাজের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান মালিক সোহেল বলেন, এজিংয়ের কাজে কোনো নিম্নমানের ইট দেওয়া হচ্ছে না। তবে বাইরে থেকে ইট ভেঙে প্রস্তুতকৃত খোয়া নিয়ে আসায় কিছু ধুলা আসছে সাথে। আর তা ছাড়া কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে জানতে শ্যামনগর উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান সোহাগকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, গত রোববার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মানিক হোসেন বিষয়টি সরেজমিনে দেখেছেন। ঠিকাদারকে কর্মস্থলের পাশে ইট এনে ভাঙার নির্দেশনা দিয়েছেন এ মানসম্পন্ন কাজ করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকেরা পাচ্ছেন গেজেটেড মর্যাদা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত