চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
দুস্থ ও অসচ্ছল পরিবারের সুবিধার্থে ২০১৬ সালে চালের কেজি ১০ টাকা দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হয়। গত বছর এই কর্মসূচির কার্ডের তালিকা সংশোধনে নির্দেশনা দেয় খাদ্য অধিদপ্তর। গত সেপ্টেম্বর মাসে চাল বিতরণের আগে সংশোধিত তালিকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও চারঘাটে এখনো কার্যকর হয়নি।
জানা যায়, চারঘাটে শুরু থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ধরা পড়ে। ২০২০ সালে উপজেলা কমিটির উদ্যোগে অযোগ্য কিছু নাম কাটা গেলেও অনেক সচ্ছল ব্যক্তির নাম থেকে যায় তালিকায়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে এ সুবিধা চালু হওয়ার পর অনেক উপকারভোগী মারা গেছেন। ওই সময় গরিব থাকলেও এ পাঁচ বছরে আবার অনেকের সচ্ছলতা ফিরেছে। তালিকায় ভুয়া বা ধনীদের নামও থাকতে পারে। এসব নাম বাদ দিয়ে সঠিক তালিকা প্রস্তুতের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আসে। ওই অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বরে ইউপি চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হয়। এরপর আরও দুই-তিন দফা চিঠি পাঠানো হয়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পর ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনজন চেয়ারম্যান কিছু কার্ড সংশোধনের তালিকা করেছেন।
আরও জানা গেছে, চারঘাট সদর ইউনিয়নের ১ হাজার ৫০ উপকারভোগীর মধ্যে ১৬টি, ভায়াললক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১ হাজার ২৯০ কার্ডের মধ্যে ৯টি ও ইউসুফপুরের ১ হাজার ৪৮০টি কার্ডের মধ্যে ১৪টি কার্ডের সংশোধনের জন্য তালিকা জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা। অথচ শলুয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৪০০টি, সরদহ ইউনিয়নের ১ হাজার ৩টি এবং নিমপাড়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৭৫টি কার্ডের একটিরও সংশোধনী তালিকা জমা পড়েনি।
এ বিষয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারম্যানদের বারবার তাগাদা দিলেও তাঁরা তালিকা জমা দেয় না। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ উপজেলা খাদ্য কমিটির মিটিং শেষে ইউনিয়নের সচিবদের আবারও তালিকা প্রণয়নের কথা জানানো হয়েছে।
তবে উল্টো কথা বলছেন চেয়ারম্যানেরা। নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি নবাগত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। কিন্তু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা সংশোধন করা যায় কিনা এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। অনেক সুবিধাভোগী মারা গেছেন বলেও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। কিন্তু তালিকা সংশোধনের ব্যাপারে কিছুই করতে পারিনি। কারণ এমন নির্দেশনা আমি পাইনি।’
এদিকে সব ইউনিয়নে তালিকা সংশোধন না হলেও এই মাসে (মার্চে) বিতরণের জন্য খাদ্য গুদাম থেকে চাল তুলছেন পরিবেশকেরা। চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে কেউ কেউ পুরোনো তালিকায় চাল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মলিউজ্জামান বলেন, ‘কেউ মারা গেলে কিংবা একাধিক সরকারি সুবিধাভোগী হলে তালিকা সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে। আমরা চিঠি দিলেও মাত্র তিন ইউনিয়নের তালিকা হাতে পেয়েছি। বাকিদের বারবার জানালেও সংশোধনী তালিকা পাঠায়নি।’
দুস্থ ও অসচ্ছল পরিবারের সুবিধার্থে ২০১৬ সালে চালের কেজি ১০ টাকা দরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হয়। গত বছর এই কর্মসূচির কার্ডের তালিকা সংশোধনে নির্দেশনা দেয় খাদ্য অধিদপ্তর। গত সেপ্টেম্বর মাসে চাল বিতরণের আগে সংশোধিত তালিকা জমা দেওয়ার কথা থাকলেও চারঘাটে এখনো কার্যকর হয়নি।
জানা যায়, চারঘাটে শুরু থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম ধরা পড়ে। ২০২০ সালে উপজেলা কমিটির উদ্যোগে অযোগ্য কিছু নাম কাটা গেলেও অনেক সচ্ছল ব্যক্তির নাম থেকে যায় তালিকায়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে এ সুবিধা চালু হওয়ার পর অনেক উপকারভোগী মারা গেছেন। ওই সময় গরিব থাকলেও এ পাঁচ বছরে আবার অনেকের সচ্ছলতা ফিরেছে। তালিকায় ভুয়া বা ধনীদের নামও থাকতে পারে। এসব নাম বাদ দিয়ে সঠিক তালিকা প্রস্তুতের জন্য গত বছরের মাঝামাঝি মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আসে। ওই অনুযায়ী ২ সেপ্টেম্বরে ইউপি চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হয়। এরপর আরও দুই-তিন দফা চিঠি পাঠানো হয়েছে। বারবার তাগাদা দেওয়ার পর ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিনজন চেয়ারম্যান কিছু কার্ড সংশোধনের তালিকা করেছেন।
আরও জানা গেছে, চারঘাট সদর ইউনিয়নের ১ হাজার ৫০ উপকারভোগীর মধ্যে ১৬টি, ভায়াললক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১ হাজার ২৯০ কার্ডের মধ্যে ৯টি ও ইউসুফপুরের ১ হাজার ৪৮০টি কার্ডের মধ্যে ১৪টি কার্ডের সংশোধনের জন্য তালিকা জমা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা। অথচ শলুয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৪০০টি, সরদহ ইউনিয়নের ১ হাজার ৩টি এবং নিমপাড়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৭৫টি কার্ডের একটিরও সংশোধনী তালিকা জমা পড়েনি।
এ বিষয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, চেয়ারম্যানদের বারবার তাগাদা দিলেও তাঁরা তালিকা জমা দেয় না। সর্বশেষ গত ৯ মার্চ উপজেলা খাদ্য কমিটির মিটিং শেষে ইউনিয়নের সচিবদের আবারও তালিকা প্রণয়নের কথা জানানো হয়েছে।
তবে উল্টো কথা বলছেন চেয়ারম্যানেরা। নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি নবাগত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। কিন্তু খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা সংশোধন করা যায় কিনা এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। অনেক সুবিধাভোগী মারা গেছেন বলেও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। কিন্তু তালিকা সংশোধনের ব্যাপারে কিছুই করতে পারিনি। কারণ এমন নির্দেশনা আমি পাইনি।’
এদিকে সব ইউনিয়নে তালিকা সংশোধন না হলেও এই মাসে (মার্চে) বিতরণের জন্য খাদ্য গুদাম থেকে চাল তুলছেন পরিবেশকেরা। চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে কেউ কেউ পুরোনো তালিকায় চাল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির উপজেলা কমিটির সদস্যসচিব ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মলিউজ্জামান বলেন, ‘কেউ মারা গেলে কিংবা একাধিক সরকারি সুবিধাভোগী হলে তালিকা সংশোধনের জন্য বলা হয়েছে। আমরা চিঠি দিলেও মাত্র তিন ইউনিয়নের তালিকা হাতে পেয়েছি। বাকিদের বারবার জানালেও সংশোধনী তালিকা পাঠায়নি।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৬ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫