মানবর্দ্ধন পাল
শৈশবে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের একটি মজার ছড়া পড়েছিলাম: ‘এক পয়সার তৈল/কীসে খরচ হৈল?/… তোমার দাড়ি, আমার পায়,/আরো দিছি ছেলের গায়।/ছেলেমেয়ের বিয়ে হল/সাত রাত গান হল/কোন অভাগী ঘরে গেল/বাকি তেলটুক নিয়ে গেল।’ এক পয়সার তেলের এমন মহিমা ও কার্যকারিতা বোধকরি আর হয় না! দীন-দরিদ্র সাধারণ মানুষের মধ্যে না থাকলেও সম্ভ্রান্তদের মধ্যে তেলের সুলভতা ও সুপ্রাপ্যতা নিশ্চয়ই এককালে সুজলা-সুফলা বাংলায় ছিল। সেকালের কৃষিসমাজে ধানের পরেই সরিষার পর্যাপ্ত আবাদের কথা জানা যায়।
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর ‘তৈল’ প্রবন্ধটি পড়েননি, এমন শিক্ষিত বাঙালি কমই আছেন। এই শ্রেণিবিভক্ত পুঁজিবাদী যুগে এবং মুক্তবাজার অর্থনীতিতে তেলের যে কত রকম অর্থ ও ব্যবহার আছে, তা আমরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারি ত্রিবেদীর সেই প্রবন্ধ থেকে। সঠিক সময় ও স্থানে তেল ঢালতে পারলে যেকোনো অসাধ্য কাজ সাধন করা যায়। তেলের গুণে শুধু ব্যঞ্জন সুস্বাদু হয় না, যেকোনো বন্ধুর ও দুর্গম পথ সুগম ও পিচ্ছিল হয়। বৈধ-অবৈধ কার্যোদ্ধার, পেছনের দরজা বা ফাঁড়ি পথ দিয়ে দুষ্কর্ম সাধনের সহজ উপায়—সবই সম্ভব তেলের গুণে।
তেল নিয়ে বাঙালির রসিকতা কম নয়। এ বিষয়ে বাংলা ভাষায় প্রবাদ-প্রবচনেরও কমতি নেই। রুক্ষ চুল আমাদের নজরে পড়ে না! কিন্তু আমরা তেলা মাথায় তেল ঢালি, ন্যাড়া মাথায় ঘোল ঢালি। কাঁঠাল গাছে থাকতেই গোঁফে তেল মেখে আত্মপ্রসাদ লাভ করি। আমরা পরের ধনে পোদ্দারি যেমন করি, তেমনি কইয়ের তেলে কইও ভাজি। তেলের এই দুর্মূল্যের বাজারে আমরা কারণে-অকারণে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠি। আর নিজের চরকায় তেল না দিলেও অন্যকে উপদেশ দিতে আমাদের জুড়ি নেই! তৈলাক্ত বাঁশের অঙ্ক কষতে আমরা পারি বা না পারি, তৈলাক্ত কথামালা এবং তৈলমর্দনের প্রতিযোগিতায় আমাদের পরাজিত করতে পারে—এমন কেউ নেই। এ কথা বাজি ধরেই বলা যায়।
ছয় মাস আগেও সয়াবিনসহ যেসব ভোজ্যতেলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১০০ টাকার নিচে, তা এখন দ্বিগুণের বেশি। নিম্নবিত্ত তো বটেই, লিমিটেড ইনকামের মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনেও এখন উঠেছে নাভিশ্বাস। তারা লোকলজ্জায় না দাঁড়াতে পারছে টিসিবির লাইনে, না কিনতে পারছে খোলাবাজার থেকে ভোজ্যতেল। হুড়োহুড়ি, ধস্তাধস্তি, ঝগড়াঝাঁটি করতে করতেই চোখের পলকে শেষ হয়ে যায় নামকাওয়াস্তে টিসিবির মহার্ঘ পণ্য! আমরা সাধারণ মানুষ বাজার অর্থনীতির কারসাজি বুঝি না, বুঝি না বিশ্ববাজারের টানাপোড়েন, আমদানিনীতির জটিলতা ও শুল্কতত্ত্বের কারিগরি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলাফলে পাম অয়েল উৎপাদন কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় খরার ফলে সয়াবিন বীজের উৎপাদনে কী পরিমাণ ঘাটতি হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও মূল্য। সেসব হিসাবনিকাশ আমাদের মতো ছাপোষা মানুষের মগজে ঢোকে না! আর আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খোঁজ নিয়েই বা লাভ কী? কথায় বলে ‘মিষ্টান্ন মিতরে জনাঃ’। ভান্ডারে কী আছে তা জেনে আমাদের লাভ নেই। আমরা হাতেহাতে, পাতেপাতে সহজলভ্যভাবে পেতে চাই। এ জন্য চাই সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সময়ানুগ সঠিক সিদ্ধান্ত। অতিলোভী, মুনাফাখোর, মজুতদার ব্যবসায়ীদের কালো হাতের কারসাজি থেকে আমরা মুক্তি চাই। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো প্রতি লিটার সয়াবিনে এক লাফে চল্লিশ টাকা বাড়ানো কোনোভাবেই যুক্তিসংগত হতে পারে না। তার ওপর আছে অতিলোভী মুনাফাখোরদের বাড়তি মূল্যের খড়্গ। আগামীর ভোটের রাজনীতিতে এর ফল সুখদায়ক হবে কি না, তা-ও ভাবতে হবে। অভাবের তাড়নায় জনগণের সংসার-তরণি ডুবে গেলে ভোটের সময় মা ভবানী যে কোথায় থাকবেন, তার নিশ্চয়তা কি নৌকার মাঝিমাল্লারা দিতে পারেন?
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ১৯৭৪ সালে এ দেশে দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে খাদ্যশস্যের অপ্রাপ্যতাকে সংকটের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেননি; বরং মজুতদারি ও বণ্টনব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন। এবার ভোজ্যতেলের সংকটের ক্ষেত্রেও সে রকম ঘটনা দায়ী কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একার পক্ষে সীমিত সাধ্যে তা সম্ভব নয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকেই এ ব্যাপারে বাগাড়ম্বর না করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানুষের খাদ্য গ্রহণের চারটি প্রধান পদ্ধতি—কাঁচা খাওয়া, পুড়ে খাওয়া, সেদ্ধ করে খাওয়া এবং ভেজে খাওয়া। শেষেরটি আধুনিক ও তেলযুক্ত। কিন্তু অন্য তিনটি প্রাচীন ও তেলমুক্ত। একমাত্র ভেজে খেতেই তেল আবশ্যক। অন্যত্র তেল আবশ্যক নয়। পুষ্টিবিদ, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্যগবেষকেরা মিলে যদি বিনা তেলে রান্নার রেসিপি আবিষ্কার ও প্রচলন করতে পারেন, তবে এই সংকটে বাঙালির প্রাণ ও স্বাস্থ্য দুই-ই বাঁচবে। তাতে আমাদের রসনা নেচে না উঠলেও প্রাণসত্তা নিশ্চয়ই গান গাইবে। কারণ পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন, ভোজ্যতেলের অধিক ব্যবহার রসনাকে পরিতৃপ্ত করলেও দেহযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। গত শতকের সত্তরের দশকে একজন আমেরিকান ডাক্তারের একটি বইয়ের অনুবাদ পড়েছিলাম, ‘প্রিটিকিনি প্রোগ্রাম’। তাতে তিনি মানবদেহের জন্য আদর্শ খাদ্য হিসেবে তেলবিহীন সেদ্ধ খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। শস্যদানা, মাছ-মাংস, সবজি হালকা মসলা ও লবণ দিয়ে একসঙ্গে সেদ্ধ করা খাবারই মানবদেহের জন্য সবচেয়ে উপকারী। আমরা ভাতের বদলে আলু খাওয়ার পরামর্শ পেয়েছি, বেগুনির বদলে কুমড়ি ও পেঁপেনি খাওয়ার পরামর্শ পেয়েছি। এখন চাই তেলবিহীন রান্নার পরামর্শ ও রেসিপি। বিনা সুতার মালা যদি আমরা অনায়াসে গাঁথতে পারি, তবে বিনা তেলে রান্নাও আমরা নিশ্চয়ই সহজে করতে পারব। তাতে এই ভোজ্যতেলের সংকটে অন্তত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবন ও স্বাস্থ্য দুই-ই বাঁচবে। সমাধান হবে ভোজ্যতেলের সংকটও।
শৈশবে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের একটি মজার ছড়া পড়েছিলাম: ‘এক পয়সার তৈল/কীসে খরচ হৈল?/… তোমার দাড়ি, আমার পায়,/আরো দিছি ছেলের গায়।/ছেলেমেয়ের বিয়ে হল/সাত রাত গান হল/কোন অভাগী ঘরে গেল/বাকি তেলটুক নিয়ে গেল।’ এক পয়সার তেলের এমন মহিমা ও কার্যকারিতা বোধকরি আর হয় না! দীন-দরিদ্র সাধারণ মানুষের মধ্যে না থাকলেও সম্ভ্রান্তদের মধ্যে তেলের সুলভতা ও সুপ্রাপ্যতা নিশ্চয়ই এককালে সুজলা-সুফলা বাংলায় ছিল। সেকালের কৃষিসমাজে ধানের পরেই সরিষার পর্যাপ্ত আবাদের কথা জানা যায়।
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর ‘তৈল’ প্রবন্ধটি পড়েননি, এমন শিক্ষিত বাঙালি কমই আছেন। এই শ্রেণিবিভক্ত পুঁজিবাদী যুগে এবং মুক্তবাজার অর্থনীতিতে তেলের যে কত রকম অর্থ ও ব্যবহার আছে, তা আমরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারি ত্রিবেদীর সেই প্রবন্ধ থেকে। সঠিক সময় ও স্থানে তেল ঢালতে পারলে যেকোনো অসাধ্য কাজ সাধন করা যায়। তেলের গুণে শুধু ব্যঞ্জন সুস্বাদু হয় না, যেকোনো বন্ধুর ও দুর্গম পথ সুগম ও পিচ্ছিল হয়। বৈধ-অবৈধ কার্যোদ্ধার, পেছনের দরজা বা ফাঁড়ি পথ দিয়ে দুষ্কর্ম সাধনের সহজ উপায়—সবই সম্ভব তেলের গুণে।
তেল নিয়ে বাঙালির রসিকতা কম নয়। এ বিষয়ে বাংলা ভাষায় প্রবাদ-প্রবচনেরও কমতি নেই। রুক্ষ চুল আমাদের নজরে পড়ে না! কিন্তু আমরা তেলা মাথায় তেল ঢালি, ন্যাড়া মাথায় ঘোল ঢালি। কাঁঠাল গাছে থাকতেই গোঁফে তেল মেখে আত্মপ্রসাদ লাভ করি। আমরা পরের ধনে পোদ্দারি যেমন করি, তেমনি কইয়ের তেলে কইও ভাজি। তেলের এই দুর্মূল্যের বাজারে আমরা কারণে-অকারণে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠি। আর নিজের চরকায় তেল না দিলেও অন্যকে উপদেশ দিতে আমাদের জুড়ি নেই! তৈলাক্ত বাঁশের অঙ্ক কষতে আমরা পারি বা না পারি, তৈলাক্ত কথামালা এবং তৈলমর্দনের প্রতিযোগিতায় আমাদের পরাজিত করতে পারে—এমন কেউ নেই। এ কথা বাজি ধরেই বলা যায়।
ছয় মাস আগেও সয়াবিনসহ যেসব ভোজ্যতেলের দাম ছিল লিটারপ্রতি ১০০ টাকার নিচে, তা এখন দ্বিগুণের বেশি। নিম্নবিত্ত তো বটেই, লিমিটেড ইনকামের মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনেও এখন উঠেছে নাভিশ্বাস। তারা লোকলজ্জায় না দাঁড়াতে পারছে টিসিবির লাইনে, না কিনতে পারছে খোলাবাজার থেকে ভোজ্যতেল। হুড়োহুড়ি, ধস্তাধস্তি, ঝগড়াঝাঁটি করতে করতেই চোখের পলকে শেষ হয়ে যায় নামকাওয়াস্তে টিসিবির মহার্ঘ পণ্য! আমরা সাধারণ মানুষ বাজার অর্থনীতির কারসাজি বুঝি না, বুঝি না বিশ্ববাজারের টানাপোড়েন, আমদানিনীতির জটিলতা ও শুল্কতত্ত্বের কারিগরি। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলাফলে পাম অয়েল উৎপাদন কী পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনায় খরার ফলে সয়াবিন বীজের উৎপাদনে কী পরিমাণ ঘাটতি হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও মূল্য। সেসব হিসাবনিকাশ আমাদের মতো ছাপোষা মানুষের মগজে ঢোকে না! আর আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খোঁজ নিয়েই বা লাভ কী? কথায় বলে ‘মিষ্টান্ন মিতরে জনাঃ’। ভান্ডারে কী আছে তা জেনে আমাদের লাভ নেই। আমরা হাতেহাতে, পাতেপাতে সহজলভ্যভাবে পেতে চাই। এ জন্য চাই সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সময়ানুগ সঠিক সিদ্ধান্ত। অতিলোভী, মুনাফাখোর, মজুতদার ব্যবসায়ীদের কালো হাতের কারসাজি থেকে আমরা মুক্তি চাই। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো প্রতি লিটার সয়াবিনে এক লাফে চল্লিশ টাকা বাড়ানো কোনোভাবেই যুক্তিসংগত হতে পারে না। তার ওপর আছে অতিলোভী মুনাফাখোরদের বাড়তি মূল্যের খড়্গ। আগামীর ভোটের রাজনীতিতে এর ফল সুখদায়ক হবে কি না, তা-ও ভাবতে হবে। অভাবের তাড়নায় জনগণের সংসার-তরণি ডুবে গেলে ভোটের সময় মা ভবানী যে কোথায় থাকবেন, তার নিশ্চয়তা কি নৌকার মাঝিমাল্লারা দিতে পারেন?
নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ১৯৭৪ সালে এ দেশে দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে খাদ্যশস্যের অপ্রাপ্যতাকে সংকটের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেননি; বরং মজুতদারি ও বণ্টনব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন। এবার ভোজ্যতেলের সংকটের ক্ষেত্রেও সে রকম ঘটনা দায়ী কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একার পক্ষে সীমিত সাধ্যে তা সম্ভব নয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকেই এ ব্যাপারে বাগাড়ম্বর না করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানুষের খাদ্য গ্রহণের চারটি প্রধান পদ্ধতি—কাঁচা খাওয়া, পুড়ে খাওয়া, সেদ্ধ করে খাওয়া এবং ভেজে খাওয়া। শেষেরটি আধুনিক ও তেলযুক্ত। কিন্তু অন্য তিনটি প্রাচীন ও তেলমুক্ত। একমাত্র ভেজে খেতেই তেল আবশ্যক। অন্যত্র তেল আবশ্যক নয়। পুষ্টিবিদ, রন্ধনশিল্পী ও খাদ্যগবেষকেরা মিলে যদি বিনা তেলে রান্নার রেসিপি আবিষ্কার ও প্রচলন করতে পারেন, তবে এই সংকটে বাঙালির প্রাণ ও স্বাস্থ্য দুই-ই বাঁচবে। তাতে আমাদের রসনা নেচে না উঠলেও প্রাণসত্তা নিশ্চয়ই গান গাইবে। কারণ পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন, ভোজ্যতেলের অধিক ব্যবহার রসনাকে পরিতৃপ্ত করলেও দেহযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। গত শতকের সত্তরের দশকে একজন আমেরিকান ডাক্তারের একটি বইয়ের অনুবাদ পড়েছিলাম, ‘প্রিটিকিনি প্রোগ্রাম’। তাতে তিনি মানবদেহের জন্য আদর্শ খাদ্য হিসেবে তেলবিহীন সেদ্ধ খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। শস্যদানা, মাছ-মাংস, সবজি হালকা মসলা ও লবণ দিয়ে একসঙ্গে সেদ্ধ করা খাবারই মানবদেহের জন্য সবচেয়ে উপকারী। আমরা ভাতের বদলে আলু খাওয়ার পরামর্শ পেয়েছি, বেগুনির বদলে কুমড়ি ও পেঁপেনি খাওয়ার পরামর্শ পেয়েছি। এখন চাই তেলবিহীন রান্নার পরামর্শ ও রেসিপি। বিনা সুতার মালা যদি আমরা অনায়াসে গাঁথতে পারি, তবে বিনা তেলে রান্নাও আমরা নিশ্চয়ই সহজে করতে পারব। তাতে এই ভোজ্যতেলের সংকটে অন্তত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবন ও স্বাস্থ্য দুই-ই বাঁচবে। সমাধান হবে ভোজ্যতেলের সংকটও।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪