ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ধান কাটা ও মাড়াই করার সময়ে কর্মসৃজন কর্মসূচি চালু হওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেখা দিয়েছে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট। এই সুযোগে বৃদ্ধি পেয়েছে মজুরি। ফলে খেতের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, আগের বছর প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে শ্রমিকেরা নিয়েছেন ২ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এবার তাঁরা সেই ধান কাটতে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা নিচ্ছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ীর ৬ ইউনিয়নে মোট ২ হাজার ৩৬০ জন সুবিধাভোগী শ্রমিক কর্মসৃজন প্রকল্পে সম্পৃক্ত আছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন কর্মসূচি চালু করা হয়। যার ফলে শ্রমিক না পেয়ে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল সময়মতো ঘরে তুলতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, অনেক কৃষকের পাকা ধান খেতে পড়ে আছে। অনেকের খেত পানিতে অর্ধেক ডুবে গেছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। নানা চেষ্টা করে পাওয়া গেলেও মজুরি অনেক বেশি।
ঘোগারকুটি গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, ‘আমার গ্রামে যারা ধান কাটার কাজ করতেন, তাঁদের অনেকেই এখন মাটি কাটার কাজ করছেন। শ্রমিকের অভাবে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারছি না। খেতের পাকা ধান খেতেই ঝরে যাচ্ছে।’
পূর্ব ধনিরাম গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি এবার ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ধান পেকে গেছে। কাটার শ্রমিক পাচ্ছেন না। বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা করে দিতে চাচ্ছেন তবুও শ্রমিক মিলছে না। তাঁর প্রশ্ন-শ্রমিকের অভাবে যদি পাকা ধান খেতেই নষ্ট হয়ে যায়, এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে?
সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, ধান কাটা মৌসুমের শুরুতে বিঘাপ্রতি ২ হাজার টাকার বিনিময়ে শ্রমিকেরা কাজ করতেন। কিন্তু মাটি কাটা কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকে প্রতি বিঘার ধান ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে কেটে নিতে হচ্ছে। কোনো কোনো সময় টাকা বেশি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব শ্রমিক ধান কাটার কাজ করতেন তাঁরা সড়কে মাটি কাটার কাজ করছেন। ধান কাটার ভরা মৌসুমে এই কাজ সাময়িক বন্ধের দাবি জানান তাঁরা।
এই গ্রামের গফুর মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আক্কাস আলী, একরামুল হকসহ কর্মসৃজন কর্মসূচির কয়েকজন সুবিধাভোগী বলেন, তাঁরা এ প্রকল্পের মাটি কেটে দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি পান। তবে এখন যারা ধান কাটার কাজ করছেন তাঁরা দিনে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় করছেন। ধান কাটার কাজ আর সপ্তাহখানেক থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গৃহীত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি সারা দেশে একযোগে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ধান কাটার জন্য কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ধান কাটা ও মাড়াই করার সময়ে কর্মসৃজন কর্মসূচি চালু হওয়ায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দেখা দিয়েছে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট। এই সুযোগে বৃদ্ধি পেয়েছে মজুরি। ফলে খেতের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, আগের বছর প্রতি বিঘা জমির ধান কাটতে শ্রমিকেরা নিয়েছেন ২ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। এবার তাঁরা সেই ধান কাটতে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা নিচ্ছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ীর ৬ ইউনিয়নে মোট ২ হাজার ৩৬০ জন সুবিধাভোগী শ্রমিক কর্মসৃজন প্রকল্পে সম্পৃক্ত আছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন কর্মসূচি চালু করা হয়। যার ফলে শ্রমিক না পেয়ে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল সময়মতো ঘরে তুলতে না পারায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, অনেক কৃষকের পাকা ধান খেতে পড়ে আছে। অনেকের খেত পানিতে অর্ধেক ডুবে গেছে। শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। নানা চেষ্টা করে পাওয়া গেলেও মজুরি অনেক বেশি।
ঘোগারকুটি গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, ‘আমার গ্রামে যারা ধান কাটার কাজ করতেন, তাঁদের অনেকেই এখন মাটি কাটার কাজ করছেন। শ্রমিকের অভাবে ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে আসতে পারছি না। খেতের পাকা ধান খেতেই ঝরে যাচ্ছে।’
পূর্ব ধনিরাম গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি এবার ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ধান পেকে গেছে। কাটার শ্রমিক পাচ্ছেন না। বিঘা প্রতি ৬ হাজার টাকা করে দিতে চাচ্ছেন তবুও শ্রমিক মিলছে না। তাঁর প্রশ্ন-শ্রমিকের অভাবে যদি পাকা ধান খেতেই নষ্ট হয়ে যায়, এর থেকে কষ্টের আর কী হতে পারে?
সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা গ্রামের কৃষক আব্দুল আউয়াল ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, ধান কাটা মৌসুমের শুরুতে বিঘাপ্রতি ২ হাজার টাকার বিনিময়ে শ্রমিকেরা কাজ করতেন। কিন্তু মাটি কাটা কর্মসূচি চালু হওয়ার পর থেকে প্রতি বিঘার ধান ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে কেটে নিতে হচ্ছে। কোনো কোনো সময় টাকা বেশি দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যেসব শ্রমিক ধান কাটার কাজ করতেন তাঁরা সড়কে মাটি কাটার কাজ করছেন। ধান কাটার ভরা মৌসুমে এই কাজ সাময়িক বন্ধের দাবি জানান তাঁরা।
এই গ্রামের গফুর মিয়া, হেলাল উদ্দিন, আক্কাস আলী, একরামুল হকসহ কর্মসৃজন কর্মসূচির কয়েকজন সুবিধাভোগী বলেন, তাঁরা এ প্রকল্পের মাটি কেটে দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি পান। তবে এখন যারা ধান কাটার কাজ করছেন তাঁরা দিনে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা আয় করছেন। ধান কাটার কাজ আর সপ্তাহখানেক থাকবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গৃহীত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি সারা দেশে একযোগে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ধান কাটার জন্য কার্যক্রম বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১৪ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫