Ajker Patrika

কাউন্সিলরের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ

আল আমিন ভূঁইয়া, বাড্ডা
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯: ২১
কাউন্সিলরের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ

মহান বিজয় দিবসে এলাকায় বড় আয়োজন হবে। আলোচনা সভা ও জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতারা। এমন কথা বলে নেতাদের নাম দিয়ে কার্ড ছাপিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে বাড্ডার সদ্য গঠিত বাগানবাড়ি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় বাড়ির মালিক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সেলিমকে প্রধান অতিথি এবং স্থানীয় প্রভাবশালী সরকারদলীয় বিভিন্ন নেতাদের বিশেষ অতিথি করে কার্ড দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছেন বাবুল মিয়া ও তাঁর সহযোগীরা।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে রসুলবাগ-বাগানবাড়ি এলাকার এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সেলিম এবং স্থানীয় নেতাদের নাম দেখে ভয়ে অনেকেই চাঁদার টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে লোকজন দোকানে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে।’

বাগানবাড়ির আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘চাঁদাবাজদের ভাবসাবে মনে হয় তাঁরা জমানো টাকা নিতে এসেছে। আমাদের কাছ থেকে এভাবে টাকা নেওয়াটা অন্যায়। যদি কেউ খুশি মনে কিছু দেয়। সেটা ভিন্ন কথা।’ চাঁদাবাজদের ভয়ে ও ঝামেলা এড়াতে পুলিশের কাছেও অভিযোগ করছেন না বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাড্ডার স্বাধীনতা সরণি, রসুলবাগ-বাগানবাড়ি এলাকায় চাঁদাবাজির নেপথ্যে বাগানবাড়ি শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল মিয়ার পাশাপাশি তাঁর কতিপয় সহযোগীর নাম উঠে এসেছে। এঁদের মধ্যে অন্যতম শাহাবুদ্দিন শাবু, রঞ্জু, রতন, সামির, খলিল, সোহেল, নাঈম, শয়ন ও রাহাত মিয়া।

বাবুল মিয়ার এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের পদবঞ্চিতরা। তাঁদের অভিযোগ, বাবুল মিয়া নিজের স্বার্থে দলীয় নেতাদের বাদ দিয়ে সুবিধাবাদীদের নিয়ে কমিটি গঠন করেছে। চাঁদাবাজির মতো ঘটনা এরই বহিঃপ্রকাশ।

অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে অনুষ্ঠানের আয়োজক বাগানবাড়ি শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্ড দিয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি বা আমার কোনো কর্মী চাঁদাবাজি করছেন না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ও বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মোতালিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুষ্ঠানের জন্য আমরা নিজেরাই অর্থায়ন করছি। দলীয় নেতা-কর্মীদের বাইরে কারও কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া নিষেধ রয়েছে, তারপরও যদি কেউ এমন করে থাকে তবে তার তদন্ত করে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সেলিম বলেন, ‘বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের নাম করে চাঁদাবাজির অভিযোগ আমিও পেয়েছি। এ বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। দলের হোক অথবা অন্য কেউ হোক, কোনো চাঁদাবাজের সঙ্গে আমি নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত