Ajker Patrika

ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ১২
ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে পৌর শিশুপার্ক ও গো-হাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম রক্ষার্থে তিনটি করে ছয়টি আবেদন দেখিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের ইজারা দুটি পাইয়ে দেওয়া হয় বলে ঠিকাদারদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইজারাদারেরা দ্রুত ইজারা দুটি বাতিল করে পুনঃদরপত্র আহ্বানের দাবি জানিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ইজারা কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকেলে দরপত্র খোলা হলে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌর গো-হাট শাহাদাৎ হোসেন মঞ্জু নামের এক ঠিকাদারকে এবং পৌর শিশুপার্কটি মাকছুদুল আলম নামের ঠিকাদারকে ইজারা দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ দরদাতাকে প্রতিষ্ঠান দুটি ইজারা দেওয়ার কথা থাকলেও এ দুজন কত টাকায় ইজারা পেয়েছেন, তা জানাতে পারেননি ইজারা কমিটির সদস্যসচিব।

সেদিন বিকেলে পৌরসভার ইজারা দুটির দরপত্র খোলা হলেও সন্ধ্যা নাগাদ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জমা দেওয়া দরপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট পৌরসভায় নেওয়া হয়নি বলে পৌরসভার হিসাবরক্ষক মো. মঞ্জু জানান। এ নিয়েও স্থানীয় ঠিকাদারদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

পৌরসভার আহ্বান করা দরপত্র নোটিশ সূত্রে জানা যায়, মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর পৌর শিশুপার্ক ও গো-হাটের নতুন ইজারা নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে পৌর শিশু পার্কটি আগামী ১ বছরের জন্য ১৫ লাখ ৬ হাজার ৭৫০ টাকা এবং পৌর গো-হাট ১৯ লাখ ২৩ হাজার ২৫০ টাকা ইজারামূল্য ধার্য করা হয়। শিডিউল ফরম কেনা এবং জমাদানের শেষ সময় ছিল ২০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের সামনে ২১ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় টেন্ডার বাক্স খোলার কথা ছিল। তখন সর্বোচ্চ দুজন দরদাতাকে ইজারা দুটি দেওয়ার কথা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুজন ঠিকাদার অভিযোগ করেন, অনেক আবেদনকারীকেই দরপত্র কিনতে বাধা দেওয়া হয়। কেউ কেউ দরপত্র কেনার সুযোগ পেলেও জমা দিতে দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া নিয়ম রক্ষার্থে ছয়জন ঠিকাদার দেখানো হলেও আগেই ইজারা ভাগ করে নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় তিনজন ব্যক্তি জানান, মেয়র আবু তাহের দায়িত্বে থাকাকালেও ইজারা দুটি আত্মীয়করণ করা হয়। কিন্তু বর্তমান নতুন মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া দায়িত্ব নেওয়ার পরও পরিস্থিতি বদলায়নি।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সচিব আলাউদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দরপত্র আহ্বানের পর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চারটি এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভার হিসাব শাখা থেকে ১০টিসহ ১৪টি শিডিউল বিক্রি হয়েছে। তবে সবাই জমা দিয়েছেন কিনা তাঁর জানা নেই।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ইজারা কমিটির সদস্যসচিব ও প্রকৌশলী আবুল বাসার প্রথমে জানান, নিয়ম অনুযায়ী দরপত্রগুলো খোলা হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা দুজনকে দুটি ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ দরদাতা কত টাকার বিনিময়ে ইজারা নিয়েছেন তা তিনি জানাতে পারেননি।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, সর্বোচ্চ দুজন দরদাতাকে ইজারা দুটি দেওয়া হয়েছে। যারা ইজারা নিতে পারেননি তাঁরা এখন মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত