সম্পাদকীয়
দুই শিশুকন্যার সামনে মায়ের মৃত্যু কত বড় শোক হয়ে উঠতে পারে, সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কারও পক্ষে বোঝা খুব কঠিন। মিরপুরের ভাষানটেকের ডেন্টাল কলেজের সামনে মঙ্গলবার
দুপুরে যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা নিয়ে আমরা হয়তো কোনো কথা বলতে পারব, কিন্তু কোনোভাবেই সন্তানদের কাছে তাদের মাকে ফিরিয়ে দিতে পারব না। বাসের ধাক্কার পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়লেন মা এবং দুই কন্যা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মা মারা গেলেন। অসহায় দুই শিশু হলো মায়ের মৃত্যুর প্রত্যক্ষদর্শী! এত বড় শোক বহন করা সহজ কথা নয়।
যানজটে প্রায় স্থবির রাজধানী ঢাকাতে কিছু সময়ের বিরতি দিয়ে এ ধরনের শোকাবহ দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। সড়কপথে চলার ব্যাপারে আইনকানুন না মানাকে অনেকেই নিজের অহংকার বলে গণ্য করে। দীর্ঘক্ষণ লাল বাতিতে দাঁড়িয়ে থাকার পর সবুজ বাতি জ্বলে উঠলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়, তা মোটেই ট্রাফিক আইনকে শ্রদ্ধা করে না। আইন ভাঙার এই প্রতিযোগিতায় সব ধরনের যানবাহন শামিল হয়, তবে মোটরসাইকেল এবং সিএনজি অটোরিকশা স্বাধীনতা একটু বেশি নেয়। আর বাসগুলো সোজা চলতে চলতে হঠাৎ আড়াআড়ি এসে পেছনের বাহনের জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। আর এ জন্য চালক শুধু তাঁর হাতটা একটু বের করে দিয়ে সদম্ভে জানিয়ে দেন, ‘খবরদার! এগিয়েছ তো পিষে দেব!’ এই সমস্ত কিছুই চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে অসম্মান করে, কিন্তু সড়কের এই অসভ্যতা যেন সয়ে গেছে রাজধানীবাসীর। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুলগুলো খুলেছে যখন, তখন যানজটও বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। রাস্তায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অনেক চালকই মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন না, আর তার শিকার হয় সাধারণ মানুষ।
আরও একটা কথা প্রায়ই বলা হয়ে থাকে, অনেক চালকই ট্রাফিক আইন জানেন না, যে লাইসেন্স সঙ্গে নিয়ে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালান, সে লাইসেন্স স্বাভাবিক পথে পাওয়া নয়। মালিকেরা কি তা জানেন না? জানেন, কিন্তু কম বেতনে চালকদের নিয়োগ দেওয়ার লোভে এই দুই নম্বরি লাইসেন্সকে মেনে নেন। ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সম্মান করা না হলে ভুগতে হবে, এমন কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা ও তার প্রয়োগ দেখা যায় না।
তাই একজন মা তাঁর সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে লাশে পরিণত হলে সবাই শোকার্ত হয় ঠিকই, কিন্তু এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ যে ট্রাফিক আইনের প্রতি অবজ্ঞা, সেটা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা থাকে না কারও। পরিবহনমালিক, সাধারণ চালকসহ সবাই যদি অন্তত সড়কে চলার আইনগুলোকে সমীহ করতেন, তাহলে দুর্ঘটনার খবরগুলোকে অতীত করে দেওয়া যেত। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে বর্তমানের এই আগুন ভবিষ্যতেও পোড়াবে।
সমবেদনায় মেয়ে দুটো মাকে ফিরে পাবে না। কিন্তু সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কীই-বা করতে পারি আমরা?
দুই শিশুকন্যার সামনে মায়ের মৃত্যু কত বড় শোক হয়ে উঠতে পারে, সেটা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কারও পক্ষে বোঝা খুব কঠিন। মিরপুরের ভাষানটেকের ডেন্টাল কলেজের সামনে মঙ্গলবার
দুপুরে যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা নিয়ে আমরা হয়তো কোনো কথা বলতে পারব, কিন্তু কোনোভাবেই সন্তানদের কাছে তাদের মাকে ফিরিয়ে দিতে পারব না। বাসের ধাক্কার পর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়লেন মা এবং দুই কন্যা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মা মারা গেলেন। অসহায় দুই শিশু হলো মায়ের মৃত্যুর প্রত্যক্ষদর্শী! এত বড় শোক বহন করা সহজ কথা নয়।
যানজটে প্রায় স্থবির রাজধানী ঢাকাতে কিছু সময়ের বিরতি দিয়ে এ ধরনের শোকাবহ দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। সড়কপথে চলার ব্যাপারে আইনকানুন না মানাকে অনেকেই নিজের অহংকার বলে গণ্য করে। দীর্ঘক্ষণ লাল বাতিতে দাঁড়িয়ে থাকার পর সবুজ বাতি জ্বলে উঠলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়, তা মোটেই ট্রাফিক আইনকে শ্রদ্ধা করে না। আইন ভাঙার এই প্রতিযোগিতায় সব ধরনের যানবাহন শামিল হয়, তবে মোটরসাইকেল এবং সিএনজি অটোরিকশা স্বাধীনতা একটু বেশি নেয়। আর বাসগুলো সোজা চলতে চলতে হঠাৎ আড়াআড়ি এসে পেছনের বাহনের জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। আর এ জন্য চালক শুধু তাঁর হাতটা একটু বের করে দিয়ে সদম্ভে জানিয়ে দেন, ‘খবরদার! এগিয়েছ তো পিষে দেব!’ এই সমস্ত কিছুই চলছে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে অসম্মান করে, কিন্তু সড়কের এই অসভ্যতা যেন সয়ে গেছে রাজধানীবাসীর। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুলগুলো খুলেছে যখন, তখন যানজটও বেড়ে গেছে ব্যাপকভাবে। রাস্তায় এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অনেক চালকই মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন না, আর তার শিকার হয় সাধারণ মানুষ।
আরও একটা কথা প্রায়ই বলা হয়ে থাকে, অনেক চালকই ট্রাফিক আইন জানেন না, যে লাইসেন্স সঙ্গে নিয়ে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালান, সে লাইসেন্স স্বাভাবিক পথে পাওয়া নয়। মালিকেরা কি তা জানেন না? জানেন, কিন্তু কম বেতনে চালকদের নিয়োগ দেওয়ার লোভে এই দুই নম্বরি লাইসেন্সকে মেনে নেন। ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সম্মান করা না হলে ভুগতে হবে, এমন কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা ও তার প্রয়োগ দেখা যায় না।
তাই একজন মা তাঁর সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে লাশে পরিণত হলে সবাই শোকার্ত হয় ঠিকই, কিন্তু এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ যে ট্রাফিক আইনের প্রতি অবজ্ঞা, সেটা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা থাকে না কারও। পরিবহনমালিক, সাধারণ চালকসহ সবাই যদি অন্তত সড়কে চলার আইনগুলোকে সমীহ করতেন, তাহলে দুর্ঘটনার খবরগুলোকে অতীত করে দেওয়া যেত। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে বর্তমানের এই আগুন ভবিষ্যতেও পোড়াবে।
সমবেদনায় মেয়ে দুটো মাকে ফিরে পাবে না। কিন্তু সমবেদনা জানানো ছাড়া আর কীই-বা করতে পারি আমরা?
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫