Ajker Patrika

রাত হলেই আশ্রয়ণের ঘরে ঢিল আতঙ্ক

বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২২, ১৩: ১৭
রাত হলেই আশ্রয়ণের ঘরে ঢিল আতঙ্ক

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে উঠে আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। দুর্বৃত্তরা রাতে ঘরে ঢিল ছোড়ে। এমন অবস্থায় আতঙ্কে ঘুমাতে পারেন না এসব ঘরে বসবাসরত সদস্যরা।

এ অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সদরের ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের রঘু চৌধুরী পাড়া গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে। ওই পাড়ায় গৃহহীন দশটি পরিবার বসবাস করছে।

তাদের অভিযোগ, রাতে ঘরে ইট ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা। বসবাসের শুরু থেকেই ঢিল ছুড়ত, সম্প্রতি এর মাত্রা বেড়ে গেছে।

এদিকে ঢিল ছোড়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা আতঙ্কে ঘুমোতে পারেন না। বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কায় রয়েছেন তাঁরা। উপহারের ঘরে ওঠার পর থেকেই এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ওই এলাকায় ১০টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। শুরুতে সুবিধাভোগীরা ঘর পেয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও বসবাসের কিছুদিন পর থেকেই হতাশ হয়ে পড়েন।

শুরুতে মাটির ঢিল মেরে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করলে সম্প্রতি রাতে ইটের টুকরো ছোড়ে। এ অবস্থায় ভয় ও আতঙ্কে রয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ভুক্তভোগী আলফাতুন বিবি বলেন, ‘আমাদের দিনের পর দিন এই অত্যাচারে সহ্য করতে হইতাছে। আমরা নিরাশ্রয় হয়ে এখানে বসবাস করতাছি। যাওয়ার কোনো জায়গাজমি নাই।’

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী লিপি আক্তার বলেন, ‘একসঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টি ইটের টুকরো ছুড়ে মারে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় আমার ছোট বাচ্চারা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। আবার কেউ ভয়ে চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। এরপর ভয়ে আর রাতে ঘুমাতেও পারে না।’

আরেক ভুক্তভোগী কৃষক তাহের মিয়া জানান, এসব ঘটনা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও তাঁরা কোনো উদ্যোগ নেননি। পরে সে সময়ের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানাকে জানালে তিনি পরিদর্শনে আসেন। এরপর কিছুদিন ঢিল ছোড়া বন্ধ ছিল।

এ অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সদরের ২ নম্বর উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে রাতের আঁধারে ঢিল ছুড়ে মারার বিষয়টি জেনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমাকে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত