Ajker Patrika

শঙ্কা কাটিয়ে স্বস্তির ভোট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নাসিরনগর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ৩৫
শঙ্কা কাটিয়ে স্বস্তির ভোট

কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ছিল ভোটারদের উপচে পড়া ভিড়। তবে পুরুষ ভোটার চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

নাসিরনগরে এই ১৩টি ইউপি নির্বাচনে ভোটাররা নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ছিল একটি অজানা আতঙ্ক। আবার প্রার্থীদের মধ্যেও ছিল শঙ্কা। এ ছাড়া হাওরবেষ্টিত ও দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা হওয়ায় সংঘাতের আশঙ্কাও ছিল। ফলে ভোটার ও প্রার্থীদের শঙ্কা দূর করে কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই শেষ হলো নাসিরনগরের ১৩ ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন।

গতকাল সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বিশেষত, নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট প্রদান করেছেন ভোটাররা। উপজেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

ভোট দেওয়া নিয়ে তুল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার সুশীল দাস বলেন, ‘এভাবে ভোট দিতে পারব, কোনো দিন ভাবতেও পারিনি। নিজের পছন্দমতো প্রার্থীতে ভোট দিয়ে এসেছি।’

হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটার তাসলিমা বেগম বলেন, ‘সকালেও আতঙ্কে ছিলাম নিজের ভোট দিতে পারব কি না। কিন্তু কেন্দ্রে গিয়ে দেখি ভিন্ন চিত্র। যাঁর যাঁর ভোট তিনি নিজে দিতে পেরেছেন। খুবই ভালো লাগছে, নিজের ভোটটি পছন্দ মতো প্রার্থীকে দেওয়া গেছে।’

প্রার্থীরাও জানান, ভোটাররা যাঁর যাঁর ভোট দিতে পেরেছেন। নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী পুতুল রানী দাস বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, এটা একটি ভোট উৎসব। সবাই আনন্দের সঙ্গে যার যার ভোটকেন্দ্র ভোট দিয়ে আসছে, খুবই ভালো লাগছে।’ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘কারও কোনো অভিযোগ নেই এই ভোটগ্রহণ নিয়ে। আমারও কোনো অভিযোগ নাই।’ ভোট সুষ্ঠু-সুন্দর হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, উপজেলার ১৩ ইউপির ১১৭টি ওয়ার্ডের ১২৫টি কেন্দ্রের ৬৩১টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নির্দলীয় প্রার্থীসহ ৬০ জন, সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ১৬৫ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৯৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। উপজেলাটিতে ১৩ ইউপিতে ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার ২৬৫ জন।

নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তবে উপজেলার কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত