আজিনুর রহমান আজিম, পাটগ্রাম (লালমনিরহাট)
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার বেংকান্দা এলাকায় ধরলা নদীতে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে রাবার ড্যাম। নির্মাণের ৯ বছরেও এটি দিয়ে সেচসুবিধা পাননি কৃষকেরা।
২০১৩ সালে ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫৪ মিটার প্রস্থের রাবার ড্যামটি নির্মাণ করা হয়। উপজেলার নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের ৬৫০ হেক্টর কৃষিজমি সেচের আওতায় আনা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার এইচএমঅ্যান্ডআর (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৮ টাকায় কাজটি করে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন চাষিদের মাঝে স্বল্প টাকায় রাবার ড্যাম প্রকল্প এলাকার চার কিলোমিটারের মধ্যে সেচসুবিধা পৌঁছাতে সরকার ৬০০ মিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্লুইসগেট, পানির পাম্প, আরসিসি নালা ৫০০ মিটার, পাম্প হাউস এবং চলাচলের জন্য সেতু নির্মাণ করে। এতে প্রতিবছর ধান উৎপন্ন ও আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ২২ হাজার মেট্রিক টন।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাবার ড্যামটি সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া, পরিকল্পনা প্রয়োগে অদক্ষতা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নির্মাণের পর থেকে কখনোই সেচযন্ত্র চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের এ প্রকল্পটি। প্রতিবছরে দু-একবার এমনিতেই রাবার ড্যাম ফোলানো হয়। টাকা ব্যয়ে এটি একটি যাত্রা দেখার মতো করে রাখা হয়েছে।
এদিকে রাবার ড্যাম প্রকল্প পরিচালনায় ২০১৩ সালে ‘ধরলা নদী রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড’ গঠন করা হয়। সমিতিতে ৪০৮ জন কৃষক সদস্য হয়েছেন। কার্যক্রম না থাকায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে সমিতিটি।
পাটগ্রাম পৌরসভার বেংকান্দা গ্রামের বর্গাচাষি সহির আলী (৫৫) বলেন, ‘প্রায় ৯ বছর হলো রাবার ড্যাম করা হয়েছে। এটি করে কোনো লাভ হয়নি। এক দিনও ধানখেতে পানি দেওয়া যায়নি। এটি চালু হলে আমাদের মতো দরিদ্র কৃষকদের অনেক উপকার হতো।’
বেংকান্দা গ্রামের কৃষাণী ইসমত আরা বলেন, ‘রাবার ড্যামের পানি ফসলের খেতে নিতে নদীর তীরের বাড়িগুলোর পাশ দিয়ে কোনো নালা বা ড্রেন করা হয়নি। রাবার ফোলালে আমাদের বাড়িতে পানি ওঠার কথা। কোনো দিন পানি ওঠেনি বা তুলতেও দেখেনি।’
ধরলা নদী রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রহমান বাবুল চৈতু বলেন, ‘রাবার ড্যামটি সচল করতে জেলা, উপজেলা ও ঢাকার একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। নদীর কিছু অংশে শাসনের প্রয়োজন আছে। জমির পাশ দিয়ে নালা করে অথবা পাইপ লাইন বসিয়ে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি সরবরাহ করতে হবে।
সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে এসে অনেক কথা বলে, চলে যাওয়ার পর সবই ভুলে যায়।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল আলম বলেন, ‘রাবার ড্যাম প্রকল্পের মাধ্যমে ফসলের খেতে সেচসুবিধা দিতে স্থানীয় লোকজনের অসহযোগিতায় দায়ী। তাঁরা রাবার ফোলাতে নিষেধ করে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার বেংকান্দা এলাকায় ধরলা নদীতে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে রাবার ড্যাম। নির্মাণের ৯ বছরেও এটি দিয়ে সেচসুবিধা পাননি কৃষকেরা।
২০১৩ সালে ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫৪ মিটার প্রস্থের রাবার ড্যামটি নির্মাণ করা হয়। উপজেলার নদীর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের ৬৫০ হেক্টর কৃষিজমি সেচের আওতায় আনা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার এইচএমঅ্যান্ডআর (জেভি) নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৮৫৮ টাকায় কাজটি করে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতাধীন চাষিদের মাঝে স্বল্প টাকায় রাবার ড্যাম প্রকল্প এলাকার চার কিলোমিটারের মধ্যে সেচসুবিধা পৌঁছাতে সরকার ৬০০ মিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, স্লুইসগেট, পানির পাম্প, আরসিসি নালা ৫০০ মিটার, পাম্প হাউস এবং চলাচলের জন্য সেতু নির্মাণ করে। এতে প্রতিবছর ধান উৎপন্ন ও আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ২২ হাজার মেট্রিক টন।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাবার ড্যামটি সচল রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া, পরিকল্পনা প্রয়োগে অদক্ষতা ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নির্মাণের পর থেকে কখনোই সেচযন্ত্র চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে ভেস্তে যাচ্ছে সরকারের এ প্রকল্পটি। প্রতিবছরে দু-একবার এমনিতেই রাবার ড্যাম ফোলানো হয়। টাকা ব্যয়ে এটি একটি যাত্রা দেখার মতো করে রাখা হয়েছে।
এদিকে রাবার ড্যাম প্রকল্প পরিচালনায় ২০১৩ সালে ‘ধরলা নদী রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড’ গঠন করা হয়। সমিতিতে ৪০৮ জন কৃষক সদস্য হয়েছেন। কার্যক্রম না থাকায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে সমিতিটি।
পাটগ্রাম পৌরসভার বেংকান্দা গ্রামের বর্গাচাষি সহির আলী (৫৫) বলেন, ‘প্রায় ৯ বছর হলো রাবার ড্যাম করা হয়েছে। এটি করে কোনো লাভ হয়নি। এক দিনও ধানখেতে পানি দেওয়া যায়নি। এটি চালু হলে আমাদের মতো দরিদ্র কৃষকদের অনেক উপকার হতো।’
বেংকান্দা গ্রামের কৃষাণী ইসমত আরা বলেন, ‘রাবার ড্যামের পানি ফসলের খেতে নিতে নদীর তীরের বাড়িগুলোর পাশ দিয়ে কোনো নালা বা ড্রেন করা হয়নি। রাবার ফোলালে আমাদের বাড়িতে পানি ওঠার কথা। কোনো দিন পানি ওঠেনি বা তুলতেও দেখেনি।’
ধরলা নদী রাবার ড্যাম পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রহমান বাবুল চৈতু বলেন, ‘রাবার ড্যামটি সচল করতে জেলা, উপজেলা ও ঢাকার একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। নদীর কিছু অংশে শাসনের প্রয়োজন আছে। জমির পাশ দিয়ে নালা করে অথবা পাইপ লাইন বসিয়ে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি সরবরাহ করতে হবে।
সর্বোপরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এখানে এসে অনেক কথা বলে, চলে যাওয়ার পর সবই ভুলে যায়।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব-উল আলম বলেন, ‘রাবার ড্যাম প্রকল্পের মাধ্যমে ফসলের খেতে সেচসুবিধা দিতে স্থানীয় লোকজনের অসহযোগিতায় দায়ী। তাঁরা রাবার ফোলাতে নিষেধ করে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চালু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
২ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫