Ajker Patrika

নির্বাচন ঘিরে কেমন হতে পারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

এ কে এম শহীদুল হক
আপডেট : ৩০ জুন ২০২২, ১১: ৩৮
নির্বাচন ঘিরে কেমন হতে পারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি প্রায় দেড় বছর। এরই মধ্যে দেশে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও বিদেশি কূটনীতিকেরা কথা বলছেন; মতামত ব্যক্ত করছেন। সবারই দাবি—সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামায়াতে ইসলামী, অন্যান্য শরিক দল এবং কিছু বাম ঘরানার ছোট ছোট দল আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি সামনে এনেছে। তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত একাধিক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমেরিকা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায়। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দাবি, তাঁরা গণতন্ত্রকে পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে গণ্য করেন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজপথ উত্তপ্ত হতে থাকবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায়ের লক্ষ্যে হরতাল, ঘেরাও, অবরোধ, মানববন্ধন ইত্যাদি কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। বিরোধী দলগুলো সহিংস পথেও আন্দোলন চালাতে পারে। অপরপক্ষে সরকারি দলও রাজপথ ছাড়বে না। তারা একের পর এক পাল্টা কর্মসূচি দেবে।

সরকারি দল আওয়ামী লীগ সংবিধান পরিপন্থী কোনো দাবি মানবে না। তাদের মতে, সব গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। বাংলাদেশেও সেভাবে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে। বাংলাদেশে কেয়ারটেকার পদ্ধতি ছিল। কেয়ারটেকার সরকারের তিক্ত অভিজ্ঞতা জনগণ পেয়েছে। দেশের উচ্চ আদালত কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছেন। সেই কেয়ারটেকার সরকার সংবিধানে পুনর্বহাল কোনোক্রমেই সম্ভব নয়।এ রকম বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

২০০৯ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়ায় দলটির কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসি হয়েছে। দলটি ও তাদের অনুসারীরা এই বিচারকে প্রহসন বলে দাবি করে আসছে। তারা ফাঁসিতে মৃত্যু হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের ‘শহীদ’ আখ্যা দিচ্ছে। জামায়াতের অনুসারীরা রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী গঠন করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হয়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ এ দেশের মুক্তিকামী জনতার ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছিল। রাজনৈতিকভাবে জামায়াতে ইসলামী যে ভুল করেছিল, তা তারা কখনো স্বীকার করেনি। এ জন্য তারা অনুতপ্ত না হয়ে, জাতির কাছে ক্ষমা না চেয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

নাজুক অবস্থায় থাকলেও জামায়াত গোপনে ও সতর্কভাবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জিইয়ে রেখেছে। নির্বাচনের আগে তারা সর্বশক্তি নিয়ে রাজপথে থাকার চেষ্টা করবে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে যেতে পারে, তাদের টার্গেট করে আক্রমণও করতে পারে। আন্দোলনের নামে হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ করে তারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটাতে পারে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে জামায়াত ও তাদের অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা নানা মিথ্যাচার করে, জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলতে চেষ্টা করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করতে পারে।

বিরোধী দলগুলো যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন আদায়ের জন্য লবিস্ট নিয়োগ দিয়ে তাদের পক্ষে বক্তব্য, বিবৃতি আদায়ের চেষ্টা করবে। বিদেশিদের গণতন্ত্রের বুলি বিরোধী দলগুলোকে অনুপ্রেরণা দিয়ে আন্দোলনে শক্তি জোগাতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আদায়ের চেষ্টা চলতে পারে।

ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করে তাঁর পতনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে নির্মম ও বর্বরোচিতভাবে সপরিবারে হত্যা করেছে। এর আগে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পাটের গুদামে অগ্নিসংযোগ, চাল কিনে তা পানিতে ডুবিয়ে ধ্বংস করে খাদ্যাভাব সৃষ্টিসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারা করেনি। তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে, জননিরাপত্তা ও খাদ্যনিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকার ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে মিথ্যাচার করে, গুজব ছড়িয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে, বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সেই একই কায়দায় এবারও তারা ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের জন্য দেশি-বিদেশি মহলবিশেষের সহায়তা নিয়ে দেশের মধ্যে অরাজকতা সৃষ্টি করে এর সুযোগ নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হতে পারে।

২০১৫ সালে নাগরিক ঐক্যের এক ‘অতিবিপ্লবী’ নেতা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর ফোনালাপের একটি অডিও টেপ ফাঁস হয়েছিল। ফোনালাপে ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারলে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাঁর কথোপকথনে কোনো কোনো সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কিছু করার ইঙ্গিত ছিল। সেই নেতা এখনো সরকারের বিরুদ্ধে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে যেসব কথা বলেন, তাতে বোঝা যায় তিনি যেকোনো কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারেন। তিনি যে দলের নেতা, সেই দলের জনসমর্থন কতটুকু আছে, তার মূল্যায়ন জনগণই করবে। তবে তাঁরা যে কথার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে পারেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও রাজপথ ছাড়বে না। তারা পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে রাজনীতির মাঠে থাকতে চেষ্টা করবে। ফলে সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকবে, যাতে দুই পক্ষের তো বটেই, সাধারণ জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও হতাহত হওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।

ইসলামি দলগুলোর অধিকাংশই আওয়ামী লীগবিরোধী। তারা বুঝে হোক, বা না বুঝে হোক আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে। হেফাজতে ইসলাম ২০১৩ সালের মে মাসে যে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল, তা মানুষ ভোলেনি। ৫ মের পরও হেফাজতিরা কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় অরাজকতা সৃষ্টি করেছে। এসব কারণে হেফাজতের কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও নীতিবর্জিত নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে; কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। তাই হেফাজত ও সরকারবিরোধী মহল আওয়ামী লীগ আলেম-ওলামাবিরোধী বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আসলে সরকার তো আলেম-ওলামার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আলেম-ওলামা তো আইনের ঊর্ধ্বে নন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামাদের উসকে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা সামনেও হতে পারে।

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল বেশ জোরেশোরেই। জঙ্গিরা বোমা বা আইইডি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি মসজিদ, ঈদগাহ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে নাশকতা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করে। বাংলাদেশ পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলমান থাকায় জঙ্গিরা আর কোনো নাশকতা বা হত্যাকাণ্ড ঘটানোর সুযোগ পায়নি। জঙ্গিদের সাংগঠনিক শক্তি ভেঙে দেওয়া হলেও তাদের আদর্শে বিশ্বাসী ও  সমর্থক এখনো সমাজে আছে। সাধারণ জঙ্গিরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। সুযোগ পেলে আবার চাঙা হবে। নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলা নানা কর্মকাণ্ডের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত হয়ে পড়লে জঙ্গিরা আবার সংগঠিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারে। বিরোধী দলগুলোর কেউ কেউ পরোক্ষভাবে বা নেপথ্যে থেকে তাদের ইন্ধনও দিতে পারে বা তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য তাদের ব্যবহারও করতে পারে। তবে বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।

বিএনপি নির্বাচনে না এসে নির্বাচন প্রতিহতের কর্মসূচি দিলে ২০১৪ সালের মতো সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ভোটকেন্দ্র তথা স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসা ভবনে হামলা চালাতে পারে, যেখানে সাধারণ মানুষ হতাহত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকবে।

ষড়যন্ত্রকারীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে বিশ্ববাসীর সহানুভূতি পাওয়ার প্রয়াসও চালাতে পারে। উগ্র বিরোধী দলগুলো তাদের মাদক পাচার, নাশকতা ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে পারে।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে, বিশেষ করে পুলিশ বাহিনী সে পরিস্থিতির উন্নয়নে ব্যতিব্যস্ত থাকে। এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক পাচারে সক্রিয় হয়। জঙ্গিরাও সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পায়। এ সময়টিতেই তারা যুবকদের দলে ভেড়ায়। এই বিপথগামী যুবকেরা যেকোনো অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করে না। তাদের ভাড়া করে কুচক্রী মহল যেকোনো অঘটন ঘটাতে পারে।

বিশ্বের প্রায় সব দেশই কোভিড-১৯ মহামারির ধকল কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় আঘাত করেছে। খাদ্যশস্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করায় নিত্যপণ্যসহ প্রায় সব পণ্যের দাম বিশ্বব্যাপী বেড়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার জন্য কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিকে পুঁজি করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন কলকারখানায়, বিশেষ করে পোশাক খাত ও ইউটিলিটি সেবাদাতা সংস্থার শ্রমিক-কর্মচারীরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করতে পারেন। তারা এ খাতগুলোকে অশান্ত করে উৎপাদন ব্যাহতের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সামনের দিনগুলো খুবই ঘটনাবহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের অতিসতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। গতানুগতিক পুলিশিং না করে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের প্রতি অধিক জোর দিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও কেবল গতানুগতিক কর্মধারার মধ্যে আটকে না থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে গোয়েন্দা নজরদারি করতে হবে। এ জন্য সুন্দর সমন্বয় অত্যাবশ্যক।  

সরকারি দলকেও প্রো-অ্যাকটিভ দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণকে নিয়ে মাঠে থাকতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে হবে। অতীতের মতো তারা যেন ঘরের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে না যায়। নিজেরা যেন বিরোধী দলের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়ায়। তাদের অবশ্যই সব সময় বিরোধী দলের সঙ্গে রাজপথে মুখোমুখি অবস্থানকে এড়িয়ে চলতে হবে। দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজের প্রতিও চোখ-কান খোলা রেখে নিজেদের দায়িত্বে ও কৌশলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী 
বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তার আহ্বান থাকবে।

এ কে এম শহীদুল হক, সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...