Ajker Patrika

জন্মসনদ ভুলে ভরা

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২১, ১১: ৪২
জন্মসনদ ভুলে ভরা

বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা মো. রাকিব হাসান পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ২০০৮ সালের ২৫ মার্চে তিনি তাঁর জন্ম নিবন্ধন করেছিলেন। এরপর গত মাসে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) থেকে নিজের জন্ম সনদের অনলাইন কপি সংগ্রহ করেন তিনি। এতেই বাঁধে বিপত্তি।

মূল জন্ম সনদে রাকিব হাসানের বাবার নাম মো. শাহজাহান হাওলাদার থাকলেও অনলাইন কপিতে আসে মো. আমিন উদ্দিন হাওলাদারের নাম। শুধু রাকিব নয়, একই অবস্থা তাঁর স্ত্রী মারুফারও। মারুফার ডিজিটাল সনদে পিতার নাম হিসেবে এসেছে স্বামী রাকিবের নাম।

উপজেলায় অনেকের ক্ষেত্রেই ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদে এ রকম অসংগতি দেখা দিয়েছে। একই নামে একাধিক সনদ দেওয়ার পাশাপাশি তথ্যে দেখা যাচ্ছে অসংখ্য ভুল। বিশেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্র নেই এমন ১৮ বছরের নিচের শিশুকিশোরেরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে।

ভুক্তভোগী রাকিব হাসান বলেন, ‘পুরোনো জন্ম নিবন্ধনে আমার বাবার নাম ঠিক থাকলেও ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধনে ভুল নাম এসেছে। ভুল জন্ম নিবন্ধন এখন কোনো কাজেই আসছে না। সনদের ভুল সংশোধন করতে গত দুই সপ্তাহে বেশ কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি।’

দেখা গেছে, অনেকের জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন কপিতে নাম, জন্ম তারিখ, পিতা-মাতার নাম, সনদ ইস্যুর তারিখ ভুল লেখা হয়েছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন বয়সের শত শত মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির জন্য শিক্ষার্থী ও তার বাবা–মায়ের জন্ম নিবন্ধন সনদের অনলাইন কপি চাওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকের সনদ ওয়েবসাইটে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আবার কারও কারও মূল সনদের সঙ্গে অনলাইন সনদের মিল নেই। এ কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুল–কলেজে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে পারছে না।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে কোনো শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন করতে গেলেই চাওয়া হচ্ছে বাবা ও মায়ের তথ্য। অর্থাৎ বাবা ও মায়ের জন্মনিবন্ধন আগে সংশোধন করে তারপর সন্তানের জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হচ্ছে।

ফলে বেতাগী উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। সংশোধনের ক্ষেত্রে অনলাইনে আবেদন করার পর ভুক্তভোগীদের মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

উপজেলার সবুজ কানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম লাভলু বলেন, ‘অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংগ্রহ করার কারণেই ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ হয়েছে। জন্ম সনদে ভুলের কারণে শত শত শিক্ষার্থী জটিলতার মুখে পড়েছে।’

বেতাগীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুহৃদ সালেহীন এ বিষয়ে বলেন, ‘জন্ম সনদের ইন্টারনেট কপিতে ত্রুটির বিষয়টি আমার নজরেও এসেছে। নাগরিকদের ভোগান্তি লাঘবে খুব শিগগির জন্ম সনদ সংশোধন সহজী করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হরমুজ প্রণালিতে প্রবেশ করে ইউটার্ন নিল দুটি জাহাজ

ইসরায়েলে ২০ লাখ রুশভাষীর বাস, রাশিয়াকে তাঁদের কথা ভাবতে হয়: পুতিন

গুমে জড়িত ছিল ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা: গুম কমিশনের প্রতিবেদন

ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা কাতারের, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত