Ajker Patrika

সরিষায় লাভের আশা কৃষকের

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৫১
সরিষায় লাভের আশা কৃষকের

আবহাওয়া ভালো হওয়ায় গাইবান্ধায় এ বছর সরিষার আবাদ বেড়েছে। দিগন্তজোড়া মাঠে এখন শুধুই সরিষা। কিছুদিন পর শুরু হবে ফসল তোলা ও মাড়াইয়ের কাজ। এতে বাজারদর ভালো থাকলে আর্থিকভাবে লাভের আশা করছেন কৃষক।

জানা যায়, জেলার গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাদুল্যাপুর, সাঘাটা, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জসহ সাত উপজেলার মাঠে এখন শুধুই সরিষার আবাদ। সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সারের সহায়তা পাওয়ায় কৃষকেরা এবার বেশি জমিতেই সরিষার চাষ করেন। এক ফসলি নিচু পতিত জমিতে পানি নেমে যাওয়ার পরপরই সরিষার আবাদ করেন তাঁরা। এ ছাড়া আমন ধান কাটার পর বোরো চাষের আগপর্যন্ত ফাঁকা পড়ে থাকা জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে অনেকে এর চাষ করেন।

কৃষি অফিস জানায়, বেশি ফলন পেতে কৃষকেরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উচ্চফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৫, ১৭, ১৮ ও টরি-৭ এবং বিনা-৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ জাতের সরিষা আবাদ করেন। ঝামেলামুক্ত এবং অল্প খরচেই সরিষার আবাদ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছরই জেলায় সরিষার চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় জাতের সরিষা বিঘাপ্রতি ৩ থেকে সাড়ে ৩ মণ ও উচ্চফলনশীল ৫ থেকে ৬ মণ পর্যন্ত উৎপাদিত হয়।

চাষি বকুল মিয়া বলেন, ‘উৎপাদিত সরিষায় নিজেদের ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাবে। এ ফসল বিক্রি করে পারিবারিক দায়দেনা মেটানোর পাশাপাশি বোরো আবাদের খরচ মেটানোও যাবে।’

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজা ই মাহামুদ বলেন, এ বছর ১১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হরা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। স্থানীয় জাতের পরিবর্তে কৃষকদের উচ্চফলনশীল সরিষা আবাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে। এতে করে ফসলের পাশাপাশি চাষিরা আর্থিকভাবেও লাভবান হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত