Ajker Patrika

গাছ কাটায় সড়কে ভাঙন

ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
গাছ কাটায় সড়কে ভাঙন

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় দুটি সড়কে লাগানো কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলেছে বন বিভাগ। এতে নষ্ট হয়েছে সড়ক দুটির সৌন্দর্য এবং ভেঙে যাচ্ছে সড়কের বিভিন্ন অংশ। গাছ কেটে নেওয়ার এক বছর পার হলেও নতুন করে গাছ লাগানো হয়নি। জানা গেছে, উপজেলার শাহবাজার থেকে গেটের বাজারগামী এবং শাহবাজার থেকে হাজীর বাজারগামী সড়কে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ও উপজেলা বন বিভাগের উদ্যোগে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কের দুই পাশে ২০০৫ সালে লাগানো হয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। গাছ লাগানোর পরে সবুজে আচ্ছাদিত হয়ে সৌন্দর্য বাড়ে সড়ক দুটিতে। নদী অববাহিকায় হওয়ার সড়কে লাগানো গাছগুলো ভাঙন রোধেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছিল।

সড়ক দুটিতে গিয়ে দেখা গেছে, এখন সবই অতীত। প্রকল্পের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। ফলে নেই আর সড়কের আগের সৌন্দর্য। সড়কের দুই পাশে পড়ে আছে কেটে নেওয়া গাছের মুড়ো। গাছ কাটার ফলে সড়কের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে সড়কে ভাঙন। স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুল হক, দুলাল হোসেন ও ছাইদুল হক বলেন, ‘সড়কের দুই পাশে গাছগুলো থাকায় আমরা শীতল ছায়ার মধ্য দিয়ে পথ চলতাম। পাশাপাশি গাছগুলো সড়কের ভাঙনরোধে বেশ উপকারে আসত। এখন গাছগুলো কেটে ফেলায় প্রখর রোদে আমাদের পথ চলতে হচ্ছে। সড়কের অনেক স্থানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত সড়কে নতুন করে গাছ লাগানো হোক।’

সুজাউদ্দৌলাহ নামের স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘সড়কের দুই পাশে গাছগুলো শুধু ছায়াই দেয়নি। সড়কের সীমানাও ঠিক রাখত। এখন আশপাশের জমির মালিকেরা ইচ্ছা হলেই রাস্তা কাটবে। গাছগুলো কাটতে না কাটতেই সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে নতুন করে গাছ লাগানো উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।’

সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের উপকারভোগী স্থানীয় শাহজাহান আলী বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় দরপত্র আহ্বান করে গাছগুলো বিক্রি করা হয়েছে। গাছ কেটে নেওয়ার এক বছর পার হলেও আমরা উপকারভোগীরা এখনো একটি টাকাও পাইনি। ফলে আমাদের এলাকার অনেকেরই সামাজিক বনায়নের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। আমরা টাকা পেলে সড়ক দুটিতে নতুন করে বনায়নের বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে গাছ লাগাব।’

সড়ক দুটিতে নতুন কর গাছ লাগানোর বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা নবির উদ্দিন জানিয়েছেন, বনায়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তাঁদের প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার পরে সড়ক দুটিতে নতুন করে গাছ লাগানোর বিষয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত