বিজয়নগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে একটি রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে অনিয়মের অভিযোগ এনে কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দীন আহমেদ।
জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর থেকে হরষপুর পর্যন্ত এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হরষপুর থেকে পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক হওয়ায় হাজারো মানুষের চলাচল এ রাস্তা দিয়ে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি (মির্জাপুর থেকে হরষপুর পর্যন্ত) সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। কাজটি করছে ‘মেসার্স রাঙামাটি রিপন’ (জেবি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দরপত্র পেয়ে ১২ আগস্ট কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
সংস্কার শুরুর পর থেকে সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সংস্কারে যেসব মালামাল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের। এতে রাস্তার বিভিন্ন অংশে পিচ ঢালাইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই উঠে যাচ্ছে। এ ছাড়া পিচ, ইটের খোয়া ও বিটুমিনের সঠিক ব্যবহার হয়নি বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।
হরষপুর বাজারের ব্যবসায়ী কাজী শরিফ উদ্দীন বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন রাস্তাটি বেহাল ছিল। যদিও সংস্কার শুরু হয়েছে, কিন্তু এভাবে কাজ করলে কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রাস্তাটি সঠিকভাবে নির্মাণের দাবি জানানো হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু মৃণাল চৌধুরী জানান, উপজেলার সম্মুখ দিয়ে চলে যাওয়া মির্জাপুর-হরষপুর রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এ রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষের যাতায়াত। হরষপুর রেলস্টেশনেও এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয়, তাই রাস্তাটি সঠিকভাবে কাজ করা জরুরি।
মির্জাপুর মোড়ের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মিরাস উদ্দীন জানান, এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বেশি। এমন নিম্নমানের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক।
রহিম নামের এক ট্রাকচালক বলেন, রাস্তাটি দিয়ে ভারী যানবাহনের চলাচল। এভাবে কাজ হলে কয়েক দিনও যাবে না, রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিজয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ঢালাইয়ের হটমিক্স প্লেন্ট মিশ্রণে ত্রুটি হওয়ায় মালামাল অধিক পুড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পিচ ঢালাই উঠে গেছে। কাজে অনিয়ম হওয়ায় সরেজমিনে দেখে আপাতত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমি আজও (বৃহস্পতিবার) রাস্তা পরিদর্শন করে এসেছি। বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আমাকে জানিয়েছেন মিক্সিং বার্ন বেশি হওয়ায় মালামাল অধিক পুড়ে গেছে। তাই রাস্তার বিভিন্ন অংশে পিচ উঠে যাচ্ছে। সংস্কারকাজ সঠিকভাবে করার নির্দেশ দিয়েছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে একটি রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে অনিয়মের অভিযোগ এনে কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দীন আহমেদ।
জানা গেছে, উপজেলার মির্জাপুর থেকে হরষপুর পর্যন্ত এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হরষপুর থেকে পাহাড়পুর, বিষ্ণুপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক হওয়ায় হাজারো মানুষের চলাচল এ রাস্তা দিয়ে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অধীনে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি (মির্জাপুর থেকে হরষপুর পর্যন্ত) সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ টাকা। কাজটি করছে ‘মেসার্স রাঙামাটি রিপন’ (জেবি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দরপত্র পেয়ে ১২ আগস্ট কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
সংস্কার শুরুর পর থেকে সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, সংস্কারে যেসব মালামাল ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের। এতে রাস্তার বিভিন্ন অংশে পিচ ঢালাইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই উঠে যাচ্ছে। এ ছাড়া পিচ, ইটের খোয়া ও বিটুমিনের সঠিক ব্যবহার হয়নি বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।
হরষপুর বাজারের ব্যবসায়ী কাজী শরিফ উদ্দীন বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে মালামাল নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন রাস্তাটি বেহাল ছিল। যদিও সংস্কার শুরু হয়েছে, কিন্তু এভাবে কাজ করলে কয়েক দিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রাস্তাটি সঠিকভাবে নির্মাণের দাবি জানানো হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু মৃণাল চৌধুরী জানান, উপজেলার সম্মুখ দিয়ে চলে যাওয়া মির্জাপুর-হরষপুর রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এ রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষের যাতায়াত। হরষপুর রেলস্টেশনেও এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয়, তাই রাস্তাটি সঠিকভাবে কাজ করা জরুরি।
মির্জাপুর মোড়ের সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মিরাস উদ্দীন জানান, এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বেশি। এমন নিম্নমানের কাজ অত্যন্ত দুঃখজনক।
রহিম নামের এক ট্রাকচালক বলেন, রাস্তাটি দিয়ে ভারী যানবাহনের চলাচল। এভাবে কাজ হলে কয়েক দিনও যাবে না, রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিজয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ঢালাইয়ের হটমিক্স প্লেন্ট মিশ্রণে ত্রুটি হওয়ায় মালামাল অধিক পুড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় পিচ ঢালাই উঠে গেছে। কাজে অনিয়ম হওয়ায় সরেজমিনে দেখে আপাতত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ ইরফান উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমি আজও (বৃহস্পতিবার) রাস্তা পরিদর্শন করে এসেছি। বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার আমাকে জানিয়েছেন মিক্সিং বার্ন বেশি হওয়ায় মালামাল অধিক পুড়ে গেছে। তাই রাস্তার বিভিন্ন অংশে পিচ উঠে যাচ্ছে। সংস্কারকাজ সঠিকভাবে করার নির্দেশ দিয়েছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪