ইউপি সদস্যের দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় ইউপি সদস্য তৈয়বুর রহমানের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান শাল্লা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন।

উল্লেখ শাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য তৈয়বুর রহমানের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন মো. খোরশেদ আলম। গত বছর ৩০ জুন এই অভিযোগ দেন তিনি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর কবির খানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এক বছর তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। এই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয় শাল্লা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা খোরশেদ আলমের দেওয়া অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ইউপি সদস্য তৈয়বুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি অনিয়ম করেছেন। আত্মীয়দের মাঝে বিতরণ করেছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর কবির খান বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তিনিই বিষয়টি দেখবেন।’

এদিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘শুনেছি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তবে আমাকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। আরও দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমারও কিছু হবে না।’