অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ ‘নদীমাতৃক দেশ’ হলেও বেশির ভাগ নদ-নদীর উৎপত্তি দেশের বাইরে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর ৮০ শতাংশ উৎপত্তি হয়েছে প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে; বিশেষ করে ভারত থেকে। এ কারণে পানির প্রবাহ ও প্রাপ্যতা বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছে এক জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্রুত বর্ধনশীল নগরায়ণ, কৃষিকাজ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের চাপ।
সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ভেতরে প্রবাহিত ১০টি বড় নদ-নদীর মধ্যে ৪টি এখন আর তাদের স্বাভাবিক এবং নিরাপদ পরিচালন সীমার মধ্যে নেই। এর মানে হলো, এসব নদীতে পানির প্রবাহ সেই পরিমাণেও নেই, যা নদীভিত্তিক সমাজ ও প্রকৃতির জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন। এই চার নদ-নদী হলো—পদ্মা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, গড়াই ও হালদা।
ফলে শুধু নিরাপদ খাদ্য ও পানির জোগানই নয়, এই অঞ্চলের লাখ লাখ জেলে, কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবিকাও পড়ে গেছে হুমকির মুখে। বাকি ছয়টি নদ-নদীতেও পানির প্রবাহ বিপজ্জনকভাবে কমে আসছে। এর প্রধান কারণ, উজানে বাঁধ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও কৃষিকাজের জন্য প্রচুর পানি উত্তোলন।
নদীর Safe Operating Space বা নিরাপদ পরিচালন সীমা ধারণাটি ২০০৯ সালে স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রবর্তন করেন। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা, পানির ব্যবহার ও জীববৈচিত্র্য হ্রাসসহ মোট ৯টি পরিবেশগত সীমা আছে, যেগুলো অতিক্রম করলেই তা মানবজাতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত এক হালনাগাদ গবেষণায় বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ৯টির মধ্যে ৬টি সীমা অতিক্রম করেছে পৃথিবী।
বিশ্বের বৃহত্তম ও ঘনবসতিপূর্ণ বদ্বীপগুলোর একটি বাংলাদেশ, যেখানে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বসবাস। তাই নদীগুলোর নিরাপদ পরিচালন সীমা নিয়ে এই গবেষণা খুবই প্রাসঙ্গিক। ঢাকার মতো দ্রুত বাড়তে থাকা শহরগুলোর পানি চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি খাবার, মাছ এবং সুন্দরবনের মতো বিশ্বখ্যাত জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ বনাঞ্চল পড়েছে মারাত্মক চাপে।
শীতকাল ছাড়া বছরের সব ঋতুতে গত তিন দশকে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানিপ্রবাহ ক্রমাগত কমেছে। বিশ্লেষণ বলছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক চুক্তিগুলো এই সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ। ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি থাকা সত্ত্বেও পদ্মা নদীর ‘স্বাস্থ্য ও সমাজ নির্ভরতা’ আজ চরমভাবে বিপন্ন।
এই অঞ্চলের নদীগুলো হাজার হাজার বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, পরিবেশ ও অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। শুধু মানুষই নয়, নদীর ওপর নির্ভরশীল অনেক প্রাণীও আজ হুমকির মুখে। যেমন ইলিশ মাছ, যা স্বাদ ও কোমল গঠনের জন্য জনপ্রিয় এবং দেশের মোট মাছ উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ জোগান দেয়। কিন্তু পদ্মা নদীর উজানে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় এই মাছ সেখানে এখন বিলুপ্তপ্রায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি প্রত্যাহারের ফলে গড়াই নদে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। একটি স্বাভাবিক নদীর জন্য লবণ ও মিষ্টিপানির মধ্যে ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। কিন্তু নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় এখন লবণাক্ততা উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহভাবে বেড়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মিঠাপানির মাছের খামার, কৃষি উৎপাদন এবং পদ্মার ডলফিনের মতো জলজ প্রাণীরা।
নদীর ভাটিমুখী প্রবাহ ও লবণাক্ততা বাড়ার কারণে সুন্দরবনের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। এই বন ধ্বংস হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত ও নেপালের আঞ্চলিক জলবায়ুও বিপর্যস্ত হবে। সেই সঙ্গে বনে সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ কার্বন বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও হিমালয়ের বরফ গলন আরও ত্বরান্বিত করবে।
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ সহজ নয়। জাতীয় সীমানা অতিক্রম করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা ও ন্যায্য চুক্তি প্রয়োজন, যাতে নদীগুলো তাদের নিরাপদ পরিচালন সীমার ভেতরে থাকে এবং নদীনির্ভর বাস্তুতন্ত্রগুলো টিকে থাকে।
বাংলাদেশের বদ্বীপ অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো শুধু ভারত নয়; চীন, নেপাল ও পাকিস্তানের ভেতর দিয়েও প্রবাহিত হয়। এসব দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ট্রান্সবাউন্ডারি (সীমানা পেরিয়ে যাওয়া) চুক্তিকে কঠিন করে তোলে, যদিও এর মাধ্যমেই ৭০০ মিলিয়ন মানুষের পানির চাহিদা মেটানোর পথ খুলে যেতে পারে।
তবু আশার কিছু দৃষ্টান্ত রয়েছে। যেমন কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মধ্যে হওয়া মেকং নদী চুক্তি একটি কার্যকর মডেল, যেটিকে অনুসরণ করে গঙ্গা নিয়ে ভারত ও নেপাল এবং যমুনা নিয়ে চীন ও ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় চুক্তি করা যেতে পারে।
একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে ‘করভিত্তিক পানিবণ্টন ব্যবস্থা।’ এতে যে দেশ বেশি পানি ব্যবহার করবে, সে দেশ বেশি কর দেবে এবং সেই রাজস্ব অন্য অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে ভাগ হবে। তবে এই চুক্তির ভিত্তি হওয়া উচিত নদীর ঐতিহাসিক প্রবাহ—অর্থাৎ বর্তমান বাঁধ বা ভবিষ্যতের অনুমাননির্ভর পানির প্রবাহ নয়।
অন্যদিকে বন উজাড় বন্ধ, জমির ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনা এবং জলাভূমি পুনরুদ্ধার করলে বন্যা ও খরার মতো জলবায়ু সংকটে টিকে থাকার ক্ষমতা বাড়বে এবং বাংলাদেশ বদ্বীপ অঞ্চলে পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সবশেষে বলা যায়, নদীর জন্য নিরাপদ পরিচালন সীমা নিশ্চিত করা মানেই আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎকেও নিরাপদ করা।
তথ্যসূত্র: ইংল্যান্ডের ইনস্টিটিউট ফিজিকসের আইওপি সায়েন্স জার্নাল
বাংলাদেশ ‘নদীমাতৃক দেশ’ হলেও বেশির ভাগ নদ-নদীর উৎপত্তি দেশের বাইরে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীগুলোর ৮০ শতাংশ উৎপত্তি হয়েছে প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে; বিশেষ করে ভারত থেকে। এ কারণে পানির প্রবাহ ও প্রাপ্যতা বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছে এক জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দ্রুত বর্ধনশীল নগরায়ণ, কৃষিকাজ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের চাপ।
সাম্প্রতিক এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশের ভেতরে প্রবাহিত ১০টি বড় নদ-নদীর মধ্যে ৪টি এখন আর তাদের স্বাভাবিক এবং নিরাপদ পরিচালন সীমার মধ্যে নেই। এর মানে হলো, এসব নদীতে পানির প্রবাহ সেই পরিমাণেও নেই, যা নদীভিত্তিক সমাজ ও প্রকৃতির জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন। এই চার নদ-নদী হলো—পদ্মা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, গড়াই ও হালদা।
ফলে শুধু নিরাপদ খাদ্য ও পানির জোগানই নয়, এই অঞ্চলের লাখ লাখ জেলে, কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবিকাও পড়ে গেছে হুমকির মুখে। বাকি ছয়টি নদ-নদীতেও পানির প্রবাহ বিপজ্জনকভাবে কমে আসছে। এর প্রধান কারণ, উজানে বাঁধ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও কৃষিকাজের জন্য প্রচুর পানি উত্তোলন।
নদীর Safe Operating Space বা নিরাপদ পরিচালন সীমা ধারণাটি ২০০৯ সালে স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা প্রবর্তন করেন। এতে বলা হয়, বৈশ্বিক উষ্ণতা, পানির ব্যবহার ও জীববৈচিত্র্য হ্রাসসহ মোট ৯টি পরিবেশগত সীমা আছে, যেগুলো অতিক্রম করলেই তা মানবজাতির জন্য বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত এক হালনাগাদ গবেষণায় বলা হয়েছে, এরই মধ্যে ৯টির মধ্যে ৬টি সীমা অতিক্রম করেছে পৃথিবী।
বিশ্বের বৃহত্তম ও ঘনবসতিপূর্ণ বদ্বীপগুলোর একটি বাংলাদেশ, যেখানে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বসবাস। তাই নদীগুলোর নিরাপদ পরিচালন সীমা নিয়ে এই গবেষণা খুবই প্রাসঙ্গিক। ঢাকার মতো দ্রুত বাড়তে থাকা শহরগুলোর পানি চাহিদা যেমন বেড়েছে, তেমনি খাবার, মাছ এবং সুন্দরবনের মতো বিশ্বখ্যাত জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ বনাঞ্চল পড়েছে মারাত্মক চাপে।
শীতকাল ছাড়া বছরের সব ঋতুতে গত তিন দশকে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানিপ্রবাহ ক্রমাগত কমেছে। বিশ্লেষণ বলছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক চুক্তিগুলো এই সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ। ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি থাকা সত্ত্বেও পদ্মা নদীর ‘স্বাস্থ্য ও সমাজ নির্ভরতা’ আজ চরমভাবে বিপন্ন।
এই অঞ্চলের নদীগুলো হাজার হাজার বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি, পরিবেশ ও অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে। শুধু মানুষই নয়, নদীর ওপর নির্ভরশীল অনেক প্রাণীও আজ হুমকির মুখে। যেমন ইলিশ মাছ, যা স্বাদ ও কোমল গঠনের জন্য জনপ্রিয় এবং দেশের মোট মাছ উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ জোগান দেয়। কিন্তু পদ্মা নদীর উজানে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় এই মাছ সেখানে এখন বিলুপ্তপ্রায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি প্রত্যাহারের ফলে গড়াই নদে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। একটি স্বাভাবিক নদীর জন্য লবণ ও মিষ্টিপানির মধ্যে ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। কিন্তু নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় এখন লবণাক্ততা উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহভাবে বেড়েছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মিঠাপানির মাছের খামার, কৃষি উৎপাদন এবং পদ্মার ডলফিনের মতো জলজ প্রাণীরা।
নদীর ভাটিমুখী প্রবাহ ও লবণাক্ততা বাড়ার কারণে সুন্দরবনের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। এই বন ধ্বংস হলে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত ও নেপালের আঞ্চলিক জলবায়ুও বিপর্যস্ত হবে। সেই সঙ্গে বনে সংরক্ষিত বিপুল পরিমাণ কার্বন বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও হিমালয়ের বরফ গলন আরও ত্বরান্বিত করবে।
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ সহজ নয়। জাতীয় সীমানা অতিক্রম করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং টেকসই নদী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তা ও ন্যায্য চুক্তি প্রয়োজন, যাতে নদীগুলো তাদের নিরাপদ পরিচালন সীমার ভেতরে থাকে এবং নদীনির্ভর বাস্তুতন্ত্রগুলো টিকে থাকে।
বাংলাদেশের বদ্বীপ অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো শুধু ভারত নয়; চীন, নেপাল ও পাকিস্তানের ভেতর দিয়েও প্রবাহিত হয়। এসব দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ট্রান্সবাউন্ডারি (সীমানা পেরিয়ে যাওয়া) চুক্তিকে কঠিন করে তোলে, যদিও এর মাধ্যমেই ৭০০ মিলিয়ন মানুষের পানির চাহিদা মেটানোর পথ খুলে যেতে পারে।
তবু আশার কিছু দৃষ্টান্ত রয়েছে। যেমন কম্বোডিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মধ্যে হওয়া মেকং নদী চুক্তি একটি কার্যকর মডেল, যেটিকে অনুসরণ করে গঙ্গা নিয়ে ভারত ও নেপাল এবং যমুনা নিয়ে চীন ও ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় চুক্তি করা যেতে পারে।
একটি সম্ভাব্য সমাধান হতে পারে ‘করভিত্তিক পানিবণ্টন ব্যবস্থা।’ এতে যে দেশ বেশি পানি ব্যবহার করবে, সে দেশ বেশি কর দেবে এবং সেই রাজস্ব অন্য অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে ভাগ হবে। তবে এই চুক্তির ভিত্তি হওয়া উচিত নদীর ঐতিহাসিক প্রবাহ—অর্থাৎ বর্তমান বাঁধ বা ভবিষ্যতের অনুমাননির্ভর পানির প্রবাহ নয়।
অন্যদিকে বন উজাড় বন্ধ, জমির ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনা এবং জলাভূমি পুনরুদ্ধার করলে বন্যা ও খরার মতো জলবায়ু সংকটে টিকে থাকার ক্ষমতা বাড়বে এবং বাংলাদেশ বদ্বীপ অঞ্চলে পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সবশেষে বলা যায়, নদীর জন্য নিরাপদ পরিচালন সীমা নিশ্চিত করা মানেই আমাদের সমাজের ভবিষ্যৎকেও নিরাপদ করা।
তথ্যসূত্র: ইংল্যান্ডের ইনস্টিটিউট ফিজিকসের আইওপি সায়েন্স জার্নাল
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে
১১ ঘণ্টা আগেআজ শুক্রবার, বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৯৩, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৫। গতকাল বৃহস্পতিবার ১১৯ বায়ুমান নিয়ে ৮ম স্থানে ছিল ঢাকা।
১৮ ঘণ্টা আগেঢাকার আকাশ আজ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেবিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির তুলনায় এশিয়া দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি জলবায়ু ঝুঁকি সূচক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন দশকে বন্যা, তাপপ্রবাহ ও খরার মতো চরম আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে এশিয়া অঞ্চলের আর্থিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার...
২ দিন আগে