Ajker Patrika

সিলেটে বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি, কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত

সিলেট, গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুন ২০২৪, ২১: ২৯
সিলেটে বিপৎসীমার ওপরে নদীর পানি, কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করেছে। 

ভারতের পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। ডুবে গেছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনস্বার্থে ও নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক বার্তায় এ ঘোষণা দেন উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম। 

পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের কয়েকটি উপজেলা। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির এ অবস্থা দেখা দেয়। সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ড ও জেলার ১৩টি উপজেলার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। 

ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ। ছবি: আজকের পত্রিকাসিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে (সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের দিন যেখানে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। 

সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩০০ জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আর জেলার ১৩টি উপজেলার ১১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮৩টি ইউনিয়নের ৮৬৪টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। যেখানে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৩ হাজার ৬২৪ জন। 

এর মধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৯৮ হাজার ৪০০ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সবগুলোতেই মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। উপজেলার পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৬ জন মানুষ রয়েছেন, আর ৮৬টি গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের ১ হাজার ৭৫০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট থেকে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত সব সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। উপজেলার গোয়াইনঘাট-সারিঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং, গোয়াইনঘাট-ফতেহপুর-সিলেট সদর ও গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোর আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। 

সরেজমিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবগুলোই পানিতে নিমজ্জিত। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মানুষের বাড়িঘর। যাঁদের ঘরে বেশি পানি উঠেছে, তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ওই উপজেলার ৭৮ হাজার ১১৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। সকালের দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে পানি উঠলেও বিকেলের দিকে নেমে যায়। তবে উপজেলার অন্যান্য আঞ্চলিক সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে রাস্তার দুই ধারে পানি রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলাজুড়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে মানুষজন ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। প্রবাসে থাকা লোকজন বাড়িতে যোগাযোগ করতে না পেরে ফেসবুকে পোস্ট করে এলাকার খবরাখবর জানার চেষ্টা করছেন। 

উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের বাসিন্দা বুরহান উদ্দিন বলেন, ‘পানি যেভাবে কাল থেকে বাড়তেছে, না জানি ’২২-এর বন্যা চলে আসে কি না। এই আতঙ্ক উপজেলার সব মানুষের মাঝে। বাড়ির উঠোনে পানি উঠে গেছে। অর্ধহাত বাড়লেই ঘরে ঢুকে যাবে। আপাতত পানি স্থির দেখা যাচ্ছে। যদি না পানি বাড়ে, তাহলে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না।’ 

আমিনুর রহমান নামে কোম্পানীগঞ্জের এক সৌদিপ্রবাসী ফেসবুকে লিখেন, ‘বর্তমানে আমাদের ৬ নম্বর দক্ষিণ রনিখাইয়ের বন্যার পানির কী অবস্থা, কারও জানা থাকলে প্লিজ একটু জানান?’ 

উপজেলার টুকের বাজারের কুটিরশিল্প ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, ‘সকালে আমার দোকানে পানি উঠে। ঘুমে থেকে উঠেই দৌড়ে দোকানে আসি। পরে মালামাল ওপরে তুলি। পানি সকালে দোকানের মধ্যে থাকলেও বিকেলে নেমে গেছে। পানি কমলেই বেঁচে যাই।’ 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেটে গতকাল সোমবার বেলা ৩টায় সিলেটের ৪টি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বেলা ৩টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২২ সেমি ও সিলেট পয়েন্টে ২৭ সেমি, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ৪৭ সেমি ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেমি, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ৩৩ সেমি, সারি-গোয়াইনের গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ২৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বাকি নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। 

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা খুবই খারাপ। ওই সব উপজেলায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। বন্যার্ত মানুষের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সভা রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম আমরা তখন জানাতে পারব।’ 

বন্যা পরিস্থিতিতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন। ছবি: আজকের পত্রিকা এদিকে ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ পৌর শহর। বন্যাকবলিত জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জসহ অন্তত পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ। আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে তাঁরা। অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে বন্যার্তরা। 

নেত্রকোনায় বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্রধান চারটি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে কলমাকান্দার উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

আজ বেলা ৩টায় জেলার কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এর আগে আজ সকাল ৯টায় উপদাখালী নদীর একই স্থানে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। 

তবে লোকালয়ে এখনো পানি না ঢুকলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার প্রধান চার নদী—উপদাখালী, কংশ, সোমেশ্বরী ও ধনু নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানিও জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। এ ছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি বেড়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বিজয়পুর পয়েন্টে ৪ দশমিক ৪ মিটার নিচ দিয়ে বইছে। 

জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি ঢোকেনি। তেমনভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর নেই। তবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় তা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। 

আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মনু-খোয়াই ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। 

আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা, ঝালুখালি, পুরাতন-সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলার নদীবিধৌত আরও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলার কুশিয়ারা নদীবিধৌত নিমাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিদায় নিয়েছে মৌসুমি বায়ু, বৃষ্টি কমবে কি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে যে কারণে বৃষ্টি হয়ে থাকে সেই মৌসুমি বায়ু এই অঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তাই সে কারণে আজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ বুধবার সকাল ৭ টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ থাকতে পারে আংশিক মেঘলা। এই অঞ্চলে উত্তর অথবা উত্তর পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে মৌসুমি বায়ু এ দেশের ওপর দিয়ে বিদায় নিলেও দেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।

আজকে সারা দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় দূষণ বেড়েই চলেছে, সর্বোচ্চ দূষণের শহর লাহোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ৪৮
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকার বাতাসে দূষণ বেড়ে গেছে। সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৬১, যা গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় ছিল ১৬০।

বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকা আজ ষষ্ঠ স্থানে, গতকাল ছিল পঞ্চম।

গতকালের মতো আজও বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৪। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, ভারতের কলকাতা ও ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৯১, ১৮৫, ১৬৪ ও ১৬৩।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার বায়ুমান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে, দূষণে শীর্ষে লাহোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার বাতাসে দূষণ বেড়ে গেছে। গতকাল কিছুটা কমলেও আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে আছে। গতকাল বাতাসের দূষণের মাত্রা শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে ছিল।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সোমবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৬০, যা গতকাল রোববার ১১টা ১৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ছিল ১১৮। বায়ুদূষণের তালিকায় আজ ৫ম স্থানে, গতকাল ছিল ১৩তম স্থানে।

গতকালের মতো আজও বায়ুদূষণের শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির বায়ুমান আজ ২০১। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের দিল্লি, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ ও ইতালির মিলানো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৯১, ১৭৪ ও ১৬৮।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার ওপর বয়ে যেতে পারে উত্তরের হাওয়া, বৃষ্টি হবে কি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৩৪
ঢাকার ওপর বয়ে যেতে পারে উত্তরের হাওয়া, বৃষ্টি হবে কি

অক্টোবরের শুরু থেকে প্রায় প্রতিদিন মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব অঞ্চল বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় দক্ষিণের বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে কোথাও ভারী, কোথাওবা ছিল মাঝারি মাত্রা বৃষ্টি। তবে মৌসুমি বায়ু দুর্বল হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি কমে এসেছে। প্রকৃতি হয়ে গেছে শুষ্ক।

আজ সোমবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ ঢাকাসহ আশপাশের এলাকা শুষ্ক থাকতে পারে। এর সঙ্গে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় নেই।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে বাতাস বয়ে যেত। তবে দিক পরিবর্তন হয়ে আজ থেকে উত্তর অথবা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে বাতাস বয়ে যেতে পারে। যার গতিবেগ হতে পারে ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে মৌসুমি বায়ু।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশে মে মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টি হয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে। অক্টোবরের শেষ দিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেওয়ার পর প্রভাব পড়ে শীতের। কমতে থাকে তাপমাত্রা। বৃষ্টির পরিমাণ কমে আবহাওয়া হয়ে যায় শুষ্ক।

এদিকে শীতের প্রভাব রাজধানী ঢাকায় তেমন না পড়লেও দেশের উত্তরাঞ্চলে পড়তে শুরু করেছে। গতকাল রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকা আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাকে’ জুলাই ফাউন্ডেশনে পাইপ দিয়ে মারধর, ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভারতের হারে বাংলাদেশের বিদায়, হামজার হতাশা

এবার দলগুলো পেল চূড়ান্ত জুলাই সনদ ও স্বাক্ষরের আমন্ত্রণপত্র

সেনা কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাবজেল’ ঘোষণার যৌক্তিকতা কী, টিআইবির প্রশ্ন

ভাবিকে হত্যার ১০ বছর পরে ভাতিজিকে পিটিয়ে হত্যা করলেন হাবিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত