
সাম্প্রতিক বছরগুলো এমনকি মাসগুলোতে গোটা পৃথিবীর বুকে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে। এতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবও বাড়ছে। ২০২৩ সালেও এমন আরও ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক বন্যা, খরা, দাবানলের সৃষ্টি হবে কিংবা এগুলোর প্রভাব আরও বাড়বে। তেমনি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে জলবায়ু কূটনীতি।
জলবায়ুর পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে গড় তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে। তবে এল নিনো আর লা নিনার মতো জলবায়ুর বিভিন্ন প্রাকৃতিক নিয়ামকও বড় প্রভাব রাখছে পরিবেশে। মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেশি বৃষ্টির সৃষ্টি করে এল নিনো তেমনি অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম দেয় খরার। অপর দিকে পূর্ব আফ্রিকায় খরা এবং পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি বৃষ্টির কারণ লা নিনা।
অস্বাভাবিক হলেও বর্তমান লা নিনার তৃতীয় বছর অতিক্রম করেছে, যেটা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। এই শতকে প্রথমবারের মতো টানা তিন বছর এটা চলল। ২০২২ সালের শেষ দিকে পূর্ব আফ্রিকায় কম বৃষ্টিপাত ২০২৩ সালে এ অঞ্চলে খাবারের দুষ্প্রাপ্যতা আরও বাড়াত পারে।
উষ্ণতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে লা নিনা আর এল নিনো। লা নিনার প্রভাব বিস্তার করা বছরগুলোতে গড়ের চেয়ে একটু শীতল থাকে আবহাওয়া। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বদলে গিয়ে ২০২৩ সালে লা নিনা ও এল নিনো মোটামুটি সাম্যাবস্থা থাকলে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আর এল নিনো প্রভাব বিস্তার করলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির উষ্ণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলবে। এতে আবহাওয়ার আরও রুদ্রমূর্তি দেখা যেতে পারে।
প্রকৃতির এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ও এর ক্ষতি এড়াতে এবং পৃথিবীব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই জলবায়ু নিয়ে বিশ্বের দেশগুলোর আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্য। ২০২২ সালের নভেম্বরে মিসরীয় শহর শার্ম আল শেখে এর শেষ পর্ব হয়। তবে কপ২৭ সম্মেলনে জলবায়ু কূটনীতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়া জ্বালানি ও খাদ্যসংকট। জলবায়ু রাজনীতিকে সাধারণত অন্যান্য ভূ-রাজনীতি থেকে আলাদা করে দেখা হলেও হঠাৎ করেই যেন এগুলো এক সুরে বাধা হয়ে গেল। যেমন জ্বালানি নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে হঠাৎ কয়লার ব্যবহার বেড়ে গেছে।
ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের লরেন্স টুবিয়ানা বলেন, মানুষের মধ্যে জমে থাকা দুশ্চিন্তার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে যুদ্ধ এবং আগের চুক্তিগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও বদলে দিয়েছে।
জলবায়ু বিষয়ে পরের আলোচনা হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ স্থান নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে। আরব আমিরাতের জলবায়ুবিষয়ক মুখপাত্র সুলতান বিন আহমেদ আল জাবের সে দেশের একজন মন্ত্রী। আরব আমিরাতের সরকার মালিকানাধীন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির প্রধানও তিনি। সুলতান বিন আহমেদ আল জাবের জনসমক্ষে এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন আলোচনায় কার্বনশূন্য অর্থনীতিতে তেল ও গ্যাস ভূমিকা রাখা অব্যাহত রাখবে বলে তাঁর বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন। পৃথিবীব্যাপী জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
একদিকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হলেও কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি ও ট্রেনকে বিদ্যুতায়িত করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে। আকাশপথে পরিবহন ও নৌপরিবহনের ক্ষেত্রে কার্বনমুক্তকরণ কঠিনতর হবে। সে ক্ষেত্রে কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে নিঃসরিত কার্বনের সঙ্গে অন্য এলাকায় ভারসাম্য আনাটা মন্দের ভালো হতে পারে।
অপর দিকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫-২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার দ্রুত কমানো জরুরি। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে জীবাশ্ম জ্বালানির নতুন কোনো উন্নয়ন না করার কথা বলেছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি। সে ক্ষেত্রে মোটের ওপর আরব আমিরাতে জলবায়ু সম্মেলন জ্বালানির রূপান্তরে তেল কোম্পানিগুলোর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে বড় তর্কের জন্ম দেবে। শুধু তাই নয়, সমস্যার একটি অংশ না হয়েও তেল কোম্পানিগুলো সমাধানের একটি নিয়ামক হতে পারবে কি না, তা-ও দেখার বিষয়।
দ্য ইকোনমিস্ট থেকে অনুবাদ করেছেন ইশতিয়াক হাসান

সাম্প্রতিক বছরগুলো এমনকি মাসগুলোতে গোটা পৃথিবীর বুকে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে। এতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবও বাড়ছে। ২০২৩ সালেও এমন আরও ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক বন্যা, খরা, দাবানলের সৃষ্টি হবে কিংবা এগুলোর প্রভাব আরও বাড়বে। তেমনি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে জলবায়ু কূটনীতি।
জলবায়ুর পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে গড় তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে। তবে এল নিনো আর লা নিনার মতো জলবায়ুর বিভিন্ন প্রাকৃতিক নিয়ামকও বড় প্রভাব রাখছে পরিবেশে। মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেশি বৃষ্টির সৃষ্টি করে এল নিনো তেমনি অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম দেয় খরার। অপর দিকে পূর্ব আফ্রিকায় খরা এবং পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি বৃষ্টির কারণ লা নিনা।
অস্বাভাবিক হলেও বর্তমান লা নিনার তৃতীয় বছর অতিক্রম করেছে, যেটা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। এই শতকে প্রথমবারের মতো টানা তিন বছর এটা চলল। ২০২২ সালের শেষ দিকে পূর্ব আফ্রিকায় কম বৃষ্টিপাত ২০২৩ সালে এ অঞ্চলে খাবারের দুষ্প্রাপ্যতা আরও বাড়াত পারে।
উষ্ণতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে লা নিনা আর এল নিনো। লা নিনার প্রভাব বিস্তার করা বছরগুলোতে গড়ের চেয়ে একটু শীতল থাকে আবহাওয়া। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বদলে গিয়ে ২০২৩ সালে লা নিনা ও এল নিনো মোটামুটি সাম্যাবস্থা থাকলে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আর এল নিনো প্রভাব বিস্তার করলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির উষ্ণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলবে। এতে আবহাওয়ার আরও রুদ্রমূর্তি দেখা যেতে পারে।
প্রকৃতির এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ও এর ক্ষতি এড়াতে এবং পৃথিবীব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই জলবায়ু নিয়ে বিশ্বের দেশগুলোর আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্য। ২০২২ সালের নভেম্বরে মিসরীয় শহর শার্ম আল শেখে এর শেষ পর্ব হয়। তবে কপ২৭ সম্মেলনে জলবায়ু কূটনীতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়া জ্বালানি ও খাদ্যসংকট। জলবায়ু রাজনীতিকে সাধারণত অন্যান্য ভূ-রাজনীতি থেকে আলাদা করে দেখা হলেও হঠাৎ করেই যেন এগুলো এক সুরে বাধা হয়ে গেল। যেমন জ্বালানি নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে হঠাৎ কয়লার ব্যবহার বেড়ে গেছে।
ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের লরেন্স টুবিয়ানা বলেন, মানুষের মধ্যে জমে থাকা দুশ্চিন্তার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে যুদ্ধ এবং আগের চুক্তিগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও বদলে দিয়েছে।
জলবায়ু বিষয়ে পরের আলোচনা হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ স্থান নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে। আরব আমিরাতের জলবায়ুবিষয়ক মুখপাত্র সুলতান বিন আহমেদ আল জাবের সে দেশের একজন মন্ত্রী। আরব আমিরাতের সরকার মালিকানাধীন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির প্রধানও তিনি। সুলতান বিন আহমেদ আল জাবের জনসমক্ষে এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন আলোচনায় কার্বনশূন্য অর্থনীতিতে তেল ও গ্যাস ভূমিকা রাখা অব্যাহত রাখবে বলে তাঁর বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন। পৃথিবীব্যাপী জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
একদিকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হলেও কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি ও ট্রেনকে বিদ্যুতায়িত করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে। আকাশপথে পরিবহন ও নৌপরিবহনের ক্ষেত্রে কার্বনমুক্তকরণ কঠিনতর হবে। সে ক্ষেত্রে কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে নিঃসরিত কার্বনের সঙ্গে অন্য এলাকায় ভারসাম্য আনাটা মন্দের ভালো হতে পারে।
অপর দিকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫-২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার দ্রুত কমানো জরুরি। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে জীবাশ্ম জ্বালানির নতুন কোনো উন্নয়ন না করার কথা বলেছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি। সে ক্ষেত্রে মোটের ওপর আরব আমিরাতে জলবায়ু সম্মেলন জ্বালানির রূপান্তরে তেল কোম্পানিগুলোর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে বড় তর্কের জন্ম দেবে। শুধু তাই নয়, সমস্যার একটি অংশ না হয়েও তেল কোম্পানিগুলো সমাধানের একটি নিয়ামক হতে পারবে কি না, তা-ও দেখার বিষয়।
দ্য ইকোনমিস্ট থেকে অনুবাদ করেছেন ইশতিয়াক হাসান

সাম্প্রতিক বছরগুলো এমনকি মাসগুলোতে গোটা পৃথিবীর বুকে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে। এতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবও বাড়ছে। ২০২৩ সালেও এমন আরও ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক বন্যা, খরা, দাবানলের সৃষ্টি হবে কিংবা এগুলোর প্রভাব আরও বাড়বে। তেমনি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে জলবায়ু কূটনীতি।
জলবায়ুর পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে গড় তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে। তবে এল নিনো আর লা নিনার মতো জলবায়ুর বিভিন্ন প্রাকৃতিক নিয়ামকও বড় প্রভাব রাখছে পরিবেশে। মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেশি বৃষ্টির সৃষ্টি করে এল নিনো তেমনি অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম দেয় খরার। অপর দিকে পূর্ব আফ্রিকায় খরা এবং পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি বৃষ্টির কারণ লা নিনা।
অস্বাভাবিক হলেও বর্তমান লা নিনার তৃতীয় বছর অতিক্রম করেছে, যেটা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। এই শতকে প্রথমবারের মতো টানা তিন বছর এটা চলল। ২০২২ সালের শেষ দিকে পূর্ব আফ্রিকায় কম বৃষ্টিপাত ২০২৩ সালে এ অঞ্চলে খাবারের দুষ্প্রাপ্যতা আরও বাড়াত পারে।
উষ্ণতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে লা নিনা আর এল নিনো। লা নিনার প্রভাব বিস্তার করা বছরগুলোতে গড়ের চেয়ে একটু শীতল থাকে আবহাওয়া। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বদলে গিয়ে ২০২৩ সালে লা নিনা ও এল নিনো মোটামুটি সাম্যাবস্থা থাকলে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আর এল নিনো প্রভাব বিস্তার করলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির উষ্ণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলবে। এতে আবহাওয়ার আরও রুদ্রমূর্তি দেখা যেতে পারে।
প্রকৃতির এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ও এর ক্ষতি এড়াতে এবং পৃথিবীব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই জলবায়ু নিয়ে বিশ্বের দেশগুলোর আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্য। ২০২২ সালের নভেম্বরে মিসরীয় শহর শার্ম আল শেখে এর শেষ পর্ব হয়। তবে কপ২৭ সম্মেলনে জলবায়ু কূটনীতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়া জ্বালানি ও খাদ্যসংকট। জলবায়ু রাজনীতিকে সাধারণত অন্যান্য ভূ-রাজনীতি থেকে আলাদা করে দেখা হলেও হঠাৎ করেই যেন এগুলো এক সুরে বাধা হয়ে গেল। যেমন জ্বালানি নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে হঠাৎ কয়লার ব্যবহার বেড়ে গেছে।
ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের লরেন্স টুবিয়ানা বলেন, মানুষের মধ্যে জমে থাকা দুশ্চিন্তার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে যুদ্ধ এবং আগের চুক্তিগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও বদলে দিয়েছে।
জলবায়ু বিষয়ে পরের আলোচনা হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ স্থান নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে। আরব আমিরাতের জলবায়ুবিষয়ক মুখপাত্র সুলতান বিন আহমেদ আল জাবের সে দেশের একজন মন্ত্রী। আরব আমিরাতের সরকার মালিকানাধীন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির প্রধানও তিনি। সুলতান বিন আহমেদ আল জাবের জনসমক্ষে এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন আলোচনায় কার্বনশূন্য অর্থনীতিতে তেল ও গ্যাস ভূমিকা রাখা অব্যাহত রাখবে বলে তাঁর বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন। পৃথিবীব্যাপী জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
একদিকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হলেও কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি ও ট্রেনকে বিদ্যুতায়িত করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে। আকাশপথে পরিবহন ও নৌপরিবহনের ক্ষেত্রে কার্বনমুক্তকরণ কঠিনতর হবে। সে ক্ষেত্রে কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে নিঃসরিত কার্বনের সঙ্গে অন্য এলাকায় ভারসাম্য আনাটা মন্দের ভালো হতে পারে।
অপর দিকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫-২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার দ্রুত কমানো জরুরি। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে জীবাশ্ম জ্বালানির নতুন কোনো উন্নয়ন না করার কথা বলেছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি। সে ক্ষেত্রে মোটের ওপর আরব আমিরাতে জলবায়ু সম্মেলন জ্বালানির রূপান্তরে তেল কোম্পানিগুলোর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে বড় তর্কের জন্ম দেবে। শুধু তাই নয়, সমস্যার একটি অংশ না হয়েও তেল কোম্পানিগুলো সমাধানের একটি নিয়ামক হতে পারবে কি না, তা-ও দেখার বিষয়।
দ্য ইকোনমিস্ট থেকে অনুবাদ করেছেন ইশতিয়াক হাসান

সাম্প্রতিক বছরগুলো এমনকি মাসগুলোতে গোটা পৃথিবীর বুকে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে। এতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবও বাড়ছে। ২০২৩ সালেও এমন আরও ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক বন্যা, খরা, দাবানলের সৃষ্টি হবে কিংবা এগুলোর প্রভাব আরও বাড়বে। তেমনি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে জলবায়ু কূটনীতি।
জলবায়ুর পরিবর্তন ধারাবাহিকভাবে গড় তাপমাত্রা বাড়াচ্ছে। তবে এল নিনো আর লা নিনার মতো জলবায়ুর বিভিন্ন প্রাকৃতিক নিয়ামকও বড় প্রভাব রাখছে পরিবেশে। মধ্য ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেশি বৃষ্টির সৃষ্টি করে এল নিনো তেমনি অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম দেয় খরার। অপর দিকে পূর্ব আফ্রিকায় খরা এবং পশ্চিম আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় বেশি বৃষ্টির কারণ লা নিনা।
অস্বাভাবিক হলেও বর্তমান লা নিনার তৃতীয় বছর অতিক্রম করেছে, যেটা শুরু হয়েছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে। এই শতকে প্রথমবারের মতো টানা তিন বছর এটা চলল। ২০২২ সালের শেষ দিকে পূর্ব আফ্রিকায় কম বৃষ্টিপাত ২০২৩ সালে এ অঞ্চলে খাবারের দুষ্প্রাপ্যতা আরও বাড়াত পারে।
উষ্ণতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে লা নিনা আর এল নিনো। লা নিনার প্রভাব বিস্তার করা বছরগুলোতে গড়ের চেয়ে একটু শীতল থাকে আবহাওয়া। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বদলে গিয়ে ২০২৩ সালে লা নিনা ও এল নিনো মোটামুটি সাম্যাবস্থা থাকলে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আর এল নিনো প্রভাব বিস্তার করলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির উষ্ণতা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলবে। এতে আবহাওয়ার আরও রুদ্রমূর্তি দেখা যেতে পারে।
প্রকৃতির এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ ও এর ক্ষতি এড়াতে এবং পৃথিবীব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই জলবায়ু নিয়ে বিশ্বের দেশগুলোর আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্য। ২০২২ সালের নভেম্বরে মিসরীয় শহর শার্ম আল শেখে এর শেষ পর্ব হয়। তবে কপ২৭ সম্মেলনে জলবায়ু কূটনীতির ওপর প্রভাব বিস্তার করে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়া জ্বালানি ও খাদ্যসংকট। জলবায়ু রাজনীতিকে সাধারণত অন্যান্য ভূ-রাজনীতি থেকে আলাদা করে দেখা হলেও হঠাৎ করেই যেন এগুলো এক সুরে বাধা হয়ে গেল। যেমন জ্বালানি নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে হঠাৎ কয়লার ব্যবহার বেড়ে গেছে।
ইউরোপিয়ান ক্লাইমেট ফাউন্ডেশনের লরেন্স টুবিয়ানা বলেন, মানুষের মধ্যে জমে থাকা দুশ্চিন্তার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে যুদ্ধ এবং আগের চুক্তিগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনাও বদলে দিয়েছে।
জলবায়ু বিষয়ে পরের আলোচনা হবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ স্থান নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক উঠতেই পারে। আরব আমিরাতের জলবায়ুবিষয়ক মুখপাত্র সুলতান বিন আহমেদ আল জাবের সে দেশের একজন মন্ত্রী। আরব আমিরাতের সরকার মালিকানাধীন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির প্রধানও তিনি। সুলতান বিন আহমেদ আল জাবের জনসমক্ষে এবং ব্যক্তিগত বিভিন্ন আলোচনায় কার্বনশূন্য অর্থনীতিতে তেল ও গ্যাস ভূমিকা রাখা অব্যাহত রাখবে বলে তাঁর বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন। পৃথিবীব্যাপী জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
একদিকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হলেও কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি ও ট্রেনকে বিদ্যুতায়িত করা অপেক্ষাকৃত সহজ হবে। আকাশপথে পরিবহন ও নৌপরিবহনের ক্ষেত্রে কার্বনমুক্তকরণ কঠিনতর হবে। সে ক্ষেত্রে কিছু জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে নিঃসরিত কার্বনের সঙ্গে অন্য এলাকায় ভারসাম্য আনাটা মন্দের ভালো হতে পারে।
অপর দিকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫-২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার দ্রুত কমানো জরুরি। কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে জীবাশ্ম জ্বালানির নতুন কোনো উন্নয়ন না করার কথা বলেছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি। সে ক্ষেত্রে মোটের ওপর আরব আমিরাতে জলবায়ু সম্মেলন জ্বালানির রূপান্তরে তেল কোম্পানিগুলোর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে বড় তর্কের জন্ম দেবে। শুধু তাই নয়, সমস্যার একটি অংশ না হয়েও তেল কোম্পানিগুলো সমাধানের একটি নিয়ামক হতে পারবে কি না, তা-ও দেখার বিষয়।
দ্য ইকোনমিস্ট থেকে অনুবাদ করেছেন ইশতিয়াক হাসান

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগে
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
২ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৫৪। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেচারাম দেউরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ পল্লবী, শান্তা ফোরাম, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫০৭। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (১৯১), পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), ভারতের কলকাতা (১৮১) ও মুম্বাই (১৬৫)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৫৪। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেচারাম দেউরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ পল্লবী, শান্তা ফোরাম, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫০৭। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (১৯১), পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), ভারতের কলকাতা (১৮১) ও মুম্বাই (১৬৫)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

এবছরও চ্যালেঞ্জ জলবায়ু কূটনীতি, সঙ্গে থাকবে লা নিনার প্রভাব। সাম্প্রতিক বছরগুলো এমনকি মাসগুলোতে গোটা পৃথিবীর বুকে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে। এতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাবও বাড়ছে। ২০২৩ সালেও এমন আরও ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগে
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
২ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকালবেলা রাজধানী ঢাকার আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। তাপমাত্রাও গতকাল শনিবারের চেয়ে বেড়েছে। আগের দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ থেকে সামান্য বেড়ে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকালবেলা রাজধানী ঢাকার আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। তাপমাত্রাও গতকাল শনিবারের চেয়ে বেড়েছে। আগের দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ থেকে সামান্য বেড়ে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

এবছরও চ্যালেঞ্জ জলবায়ু কূটনীতি, সঙ্গে থাকবে লা নিনার প্রভাব। সাম্প্রতিক বছরগুলো এমনকি মাসগুলোতে গোটা পৃথিবীর বুকে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে। এতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাবও বাড়ছে। ২০২৩ সালেও এমন আরও ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
৬ ঘণ্টা আগে
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
২ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

এবছরও চ্যালেঞ্জ জলবায়ু কূটনীতি, সঙ্গে থাকবে লা নিনার প্রভাব। সাম্প্রতিক বছরগুলো এমনকি মাসগুলোতে গোটা পৃথিবীর বুকে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে। এতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাবও বাড়ছে। ২০২৩ সালেও এমন আরও ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

এবছরও চ্যালেঞ্জ জলবায়ু কূটনীতি, সঙ্গে থাকবে লা নিনার প্রভাব। সাম্প্রতিক বছরগুলো এমনকি মাসগুলোতে গোটা পৃথিবীর বুকে আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা বেশ কিছু ক্ষতচিহ্ন এঁকে গেছে। এতে বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের প্রভাবও বাড়ছে। ২০২৩ সালেও এমন আরও ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৩
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
৬ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগে
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
২ দিন আগে