নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকির মুখে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত তিন মাসে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ৩০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। আর গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দুই শর বেশি। এটি আশঙ্কাজনক। চলতি মার্চ মাসেই দেশে কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার, ভারত ও নেপাল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের প্রধান আবহাওয়াবিদ রোবায়েত কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। অতীতে এখানে অনেক ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও আশপাশে খুব বড় ভূমিকম্প হয়নি। সাধারণত একটি বড় ভূমিকম্পের এক শ-দেড় শ বছর পর আরেকটি হয়। তাই আশঙ্কা করছি, যেকোনো সময় আমাদের দেশে বড় ভূমিকম্প হতে পারে।’
ভূত্ত্বের অনেক গভীরে রয়েছে সুবিশাল কিছু পাথরের খণ্ড, যা টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এ প্লেটগুলো স্থির নয়; বরং সঞ্চরণশীল। অতি ধীরে নড়ার সময় একপর্যায়ে এগুলোর পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া, বার্মা ও এশিয়ান এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এসব প্লেটের সংযোগস্থলে অনেক বছর আগে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন থেকে এই অংশে আবার বিপুল পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে। সেই শক্তি যদি একসঙ্গে বের হয়, তাহলে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হলে এটা হবে ব্যাপক জীবনহানিকর। কারণ, ভূমিকম্পের উৎসস্থল হবে ঢাকার খুব কাছে। এ শহরের দালানকোঠা অধিকাংশ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার নিচে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও তার ক্ষয়ক্ষতি হবে সাংঘাতিক। আর কাছাকাছি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা কল্পনারও বাইরে।’
সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ঢাকা শহরের ১ শতাংশ ভবনও যদি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। আরও ৮-১০ লাখ মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তখন এত বড় উদ্ধারকাজের জন্য যথেষ্ট দক্ষ লোকবলও পাওয়া যাবে না। কোন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে, তা নিরূপণ করাও কঠিন হবে।
বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে শহরজুড়ে থাকা গ্যাসলাইন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঢাকার অনেক বহুতল ভবনই সরকারি ভবন নির্মাণ বিধিমালা যথাযথভাবে না মেনে নির্মিত। এসব ভবন শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে সক্ষম নয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির নিচে গ্যারেজ তৈরি করার প্রবণতা নিয়ে প্রকৌশলী ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যারেজগুলো ভবনের নিচে করা হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ। ৯৯ শতাংশ ভবনেই যেভাবে গ্যারেজ করা হয়, তাতে এর কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। আজকাল কিছু ভবনের ছাদে সুইমিংপুলও তৈরি করা হচ্ছে। এটিও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ভূমিকম্প সহনশীল করেও ছাদে সুইমিংপুল নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশের ভবনগুলোতে কতটা নিয়ম মেনে তা করা হচ্ছে, কে জানে?’
বিশেষজ্ঞদের তাগিদ
ভূতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আখতার বলেন, স্বল্প মেয়াদে পরিকল্পনা করলে খুব কম টাকায় ভূমিকম্পের সময় ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় এবং তা ঘটার সময় করণীয় কী তা মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। এর জন্য দরকার সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা। তবে সরকারের দায়িত্বশীলদের নজর সাধারণত থাকে কেবল উদ্ধারকাজে। কারণ সেখানে কোটি কোটি টাকা আছে, কমিশন আছে।’
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এমন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি খুবই দুর্বল পর্যায়ে রয়েছে। ভূমিকম্প সহনশীল অবকাঠামো তৈরিতে রাজউকসহ দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কাগজ-কলমে কার্যক্রম থাকলেও, বাস্তবে সক্ষমতা নেই।
সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি রয়েছে। দেশের নগর এলাকার ৪৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে প্রাণঘাতী দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের ভূমিকম্প বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য ৯টি পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ মেনে ভূমিকম্পপ্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনের সংস্কার, অগ্নিনিরাপত্তা ও ইউটিলিটি লাইন সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া, নিয়মিত ভূমিকম্পবিষয়ক মহড়া ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, জরুরি ফোন নম্বর সংরক্ষণ ও দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো, স্বেচ্ছাসেবীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ইত্যাদি। বাড়িতে পারিবারিক পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু জরুরি সরঞ্জাম যেমন টর্চ, রেডিও, শুকনো খাবার, পানি, জরুরি ওষুধ, ফার্স্ট এইড বক্স, বাঁশি ইত্যাদি হাতের কাছে তৈরি রাখা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য বা সহযোগিতার জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আঘাত থেকে রক্ষা পেতে শক্ত হেলমেট এবং ধ্বংসস্তূপ ভেঙে বের হতে বড় হাতুড়ি ও রড কাটার উপযোগী করাত রাখারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন দুর্যোগ মোকাবিলায় অভিজ্ঞজনেরা।
দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী মিয়ানমার বা তার পাশে থাইল্যান্ডের মতো বাংলাদেশেও বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন ভূমিকম্প হলে রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে নতুন করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকির মুখে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, গত তিন মাসে বাংলাদেশের আশপাশে মৃদু ও মাঝারি মাত্রার ৩০টির বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। আর গত ১৫ বছরে ছোট-বড় ভূমিকম্প হয়েছে দুই শর বেশি। এটি আশঙ্কাজনক। চলতি মার্চ মাসেই দেশে কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমার, ভারত ও নেপাল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের প্রধান আবহাওয়াবিদ রোবায়েত কবির আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। অতীতে এখানে অনেক ভূমিকম্প হয়েছে। তবে এক শ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ও আশপাশে খুব বড় ভূমিকম্প হয়নি। সাধারণত একটি বড় ভূমিকম্পের এক শ-দেড় শ বছর পর আরেকটি হয়। তাই আশঙ্কা করছি, যেকোনো সময় আমাদের দেশে বড় ভূমিকম্প হতে পারে।’
ভূত্ত্বের অনেক গভীরে রয়েছে সুবিশাল কিছু পাথরের খণ্ড, যা টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এ প্লেটগুলো স্থির নয়; বরং সঞ্চরণশীল। অতি ধীরে নড়ার সময় একপর্যায়ে এগুলোর পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশ ইন্ডিয়া, বার্মা ও এশিয়ান এই তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এসব প্লেটের সংযোগস্থলে অনেক বছর আগে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন থেকে এই অংশে আবার বিপুল পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে। সেই শক্তি যদি একসঙ্গে বের হয়, তাহলে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ওপরে ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় ভূমিকম্প হলে এটা হবে ব্যাপক জীবনহানিকর। কারণ, ভূমিকম্পের উৎসস্থল হবে ঢাকার খুব কাছে। এ শহরের দালানকোঠা অধিকাংশ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকার নিচে ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও তার ক্ষয়ক্ষতি হবে সাংঘাতিক। আর কাছাকাছি ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকার অবস্থা কী হবে, তা কল্পনারও বাইরে।’
সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ঢাকা শহরের ১ শতাংশ ভবনও যদি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। আরও ৮-১০ লাখ মানুষ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তখন এত বড় উদ্ধারকাজের জন্য যথেষ্ট দক্ষ লোকবলও পাওয়া যাবে না। কোন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে, তা নিরূপণ করাও কঠিন হবে।
বড় ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে শহরজুড়ে থাকা গ্যাসলাইন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলেও সতর্ক করে দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঢাকার অনেক বহুতল ভবনই সরকারি ভবন নির্মাণ বিধিমালা যথাযথভাবে না মেনে নির্মিত। এসব ভবন শক্তিশালী ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে সক্ষম নয়। এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ির নিচে গ্যারেজ তৈরি করার প্রবণতা নিয়ে প্রকৌশলী ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গ্যারেজগুলো ভবনের নিচে করা হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ। ৯৯ শতাংশ ভবনেই যেভাবে গ্যারেজ করা হয়, তাতে এর কাঠামো দুর্বল হয়ে যায়। আজকাল কিছু ভবনের ছাদে সুইমিংপুলও তৈরি করা হচ্ছে। এটিও ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ভূমিকম্প সহনশীল করেও ছাদে সুইমিংপুল নির্মাণ করা সম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশের ভবনগুলোতে কতটা নিয়ম মেনে তা করা হচ্ছে, কে জানে?’
বিশেষজ্ঞদের তাগিদ
ভূতত্ত্ববিদ হুমায়ুন আখতার বলেন, স্বল্প মেয়াদে পরিকল্পনা করলে খুব কম টাকায় ভূমিকম্পের সময় ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় এবং তা ঘটার সময় করণীয় কী তা মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। এর জন্য দরকার সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও সদিচ্ছা। তবে সরকারের দায়িত্বশীলদের নজর সাধারণত থাকে কেবল উদ্ধারকাজে। কারণ সেখানে কোটি কোটি টাকা আছে, কমিশন আছে।’
নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশ বড় ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে। এমন ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় প্রস্তুতি খুবই দুর্বল পর্যায়ে রয়েছে। ভূমিকম্প সহনশীল অবকাঠামো তৈরিতে রাজউকসহ দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর কাগজ-কলমে কার্যক্রম থাকলেও, বাস্তবে সক্ষমতা নেই।
সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভূমিকম্পের বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি কমিটি রয়েছে। দেশের নগর এলাকার ৪৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শ
মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে প্রাণঘাতী দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের ভূমিকম্প বিষয়ে প্রস্তুতির জন্য ৯টি পরামর্শ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয় বিল্ডিং কোড ২০২০ মেনে ভূমিকম্পপ্রতিরোধী ভবন নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরোনো ভবনের সংস্কার, অগ্নিনিরাপত্তা ও ইউটিলিটি লাইন সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া, নিয়মিত ভূমিকম্পবিষয়ক মহড়া ও সচেতনতা কার্যক্রম চালানো, জরুরি ফোন নম্বর সংরক্ষণ ও দৃশ্যমান স্থানে টাঙানো, স্বেচ্ছাসেবীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ইত্যাদি। বাড়িতে পারিবারিক পর্যায়ে প্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় কিছু জরুরি সরঞ্জাম যেমন টর্চ, রেডিও, শুকনো খাবার, পানি, জরুরি ওষুধ, ফার্স্ট এইড বক্স, বাঁশি ইত্যাদি হাতের কাছে তৈরি রাখা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য বা সহযোগিতার জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বরে (১০২) যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আঘাত থেকে রক্ষা পেতে শক্ত হেলমেট এবং ধ্বংসস্তূপ ভেঙে বের হতে বড় হাতুড়ি ও রড কাটার উপযোগী করাত রাখারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন দুর্যোগ মোকাবিলায় অভিজ্ঞজনেরা।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭২। দূষিত শহরের বাতাসের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। গতকাল বুধবার ১৫৩ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৪র্থ স্থানে ছিল ঢাকা।
১৪ ঘণ্টা আগেগঙ্গা (যা বাংলাদেশে পদ্মা নামেও পরিচিত) দক্ষিণ এশিয়ার কোটি মানুষের জীবনের অবলম্বন। কিন্তু এই অবলম্বনই ব্যাপক দ্রুত শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইতিহাসে এত দ্রুত কখনোই গঙ্গাকে শুকিয়ে যেতে দেখা যায়নি। তাঁরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বদলে যাওয়া মৌসুমি বৃষ্টি, লাগাতার পানি...
১৪ ঘণ্টা আগেদুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পাশাপাশি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নদী ও খাল দূষণমুক্ত করা কঠিন হলেও তা অসম্ভব নয়। এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং উৎস থেকে বর্জ্য ফেলার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। শুধু ড্রেজিং করে কিংবা দায় এড়িয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
১ দিন আগে