Ajker Patrika

গুলশানে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ে উচ্চ শব্দ, নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি
প্রতীকী ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি

রাজধানীর গুলশান ২ আবাসিক এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ চলাকালে শব্দমাত্রা নির্ধারিত পরিমাপের বেশি পাওয়ায় নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সেখানে শব্দের মাত্রা ৫৫ ডেসিবেলের বেশি (৯০ দশমিক ৩) রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজারকে সন্ধ্যা ৭টার পর শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র ব্যবহার না করতে সতর্ক করা হয়।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। এতে বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকটি অভিযান পরিচালনার কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরের টিকাটুলী এলাকায় কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। স্মোক অপাসিটি মিটার দ্বারা পাঁচটি ডিজেলচালিত বাস/কোচের গ্যাস নিঃসরণ পরিমাপ করা হয়। এর মধ্যে একটি বাস মানমাত্রার অধিক ধোঁয়া নির্গমন করায় সেটি থেকে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী সচিব খায়রুন্নাহার। প্রসিকিউশনের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মনিরউদ্দিন আহাম্মদ। অভিযানে পুলিশের সদস্য এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া মানিকগঞ্জে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল-মুনতাসির মামুন মনির নেতৃত্বে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জায়গীর উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় শব্দদূষণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চারটি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করে মোট ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয় এবং ১০টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রসিকিউশনের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মনোয়ারুল ইসলাম।

জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় শব্দ এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

উল্লেখ্য, পরিবেশ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী যেকোনো শহরের আবাসিক এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দের মাত্রা থাকবে ৪৫ ডেসিবেল; দিনে ৫৫ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৬০ ও রাতে ৭০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, হাসপাতাল এলাকার ১০০ মিটার পর্যন্ত ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে আইনে উল্লেখ করা আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত