অনলাইন ডেস্ক
কাঁচাবাজারে আজ ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ। এক মাস আগেই সরকার এই ঘোষণা দিয়েছিল। নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোয় চলছে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। আজ শুক্রবার সকালে কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকে জানান, কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি তাঁরা শোনেননি। আবার অনেকে বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়ে তাঁরা জানলেও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যবহার করছেন। এদিন সকাল থেকে রাজধানীর কয়েকটি বাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে মনিটরিং কার্যক্রম চালানো হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও আশপাশের বিভিন্ন সুপারশপে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর গঠিত মনিটরিং টিম।
এই টিমের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস জানান, পরিবেশ রক্ষায় রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বাজার করতে আসা মানুষকে পলিথিন ব্যবহার না করে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের অনুরোধ জানান।
একই সঙ্গে দোকানিদের পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং পরবর্তী অভিযানে পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ১ ও ২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মোবাইল কোর্ট বন্ধ থাকলেও মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে সবার সহযোগিতা দরকার।
মনিটরিং কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির সদস্য হিসেবে যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপসচিব রুবিনা ফেরদৌসী, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম ও পরিচালক মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীসহ অনেকে।
বিকল্পের ব্যবস্থা না করেই নিষিদ্ধ, ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ
কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজারগুলোয় দেখা যায়, সবজি, মাছসহ সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, আগে কিনে রাখা পলিথিন ব্যবহার করছেন তাঁরা। বিকল্পের ব্যবস্থা না করেই পলিথিন নিষিদ্ধ করায় ক্রেতা-বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা কলেজশিক্ষক সামসুল আলম বলেন, ‘পলিথিন ব্যবহার করতে দিবে না বুঝলাম। কিন্তু বিকল্প তো থাকতে হবে। সেই বিকল্পটা কী? জিনিসপত্রের আকাশ ছোঁয়া দামে এমনিতেই আমাদের নাভিশ্বাস। এর মধ্যে প্রতিবার বাজারের সময় বাড়তি দাম দিয়ে আবার একটা ব্যাগও কিনতে হবে?’
বনশ্রী কাঁচাবাজারের মুদি দোকানদার মাসুদ কাজী বলেন, আগের কিছু পলিথিন ছিল। সেইগুলা ব্যবহার করতেছি। পলিথিনের বদলে কিসে কইরা মাল দিব? কাস্টমাররা আইসা বলেন, পলিথিন না দিলে জিনিস নেব কিসে? বিকল্প তো থাকতে হবে।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান। সে সময় তিনি বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে পলিথিনজাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং কোনো ক্রেতাকে এ ব্যাগ দেওয়া যাবে না।’
পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে একটা আইন হওয়ার পর নির্দিষ্ট একটা সময় দেওয়া হয়। মানুষকে প্রস্তুত হওয়ার সময় দেওয়া হয়। আর আমাদের দেশে আইন হওয়ার পরেই বলা হয়, অবিলম্বে এই আইন কার্যকর হবে। মানুষ প্রস্তুত হওয়ার সুযোগটা দেওয়া হয় না। তাই সেই আইন মানুষ মানেও না। পলিথিনের ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে।’
কাঁচাবাজারে আজ ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ। এক মাস আগেই সরকার এই ঘোষণা দিয়েছিল। নিষিদ্ধ ঘোষণার পরও রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোয় চলছে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার। আজ শুক্রবার সকালে কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকে জানান, কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়টি তাঁরা শোনেননি। আবার অনেকে বলেন, পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়ে তাঁরা জানলেও বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যবহার করছেন। এদিন সকাল থেকে রাজধানীর কয়েকটি বাজারে পলিথিন ব্যবহার বন্ধে মনিটরিং কার্যক্রম চালানো হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও আশপাশের বিভিন্ন সুপারশপে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ অধিদপ্তর গঠিত মনিটরিং টিম।
এই টিমের আহ্বায়ক অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশদূষণ নিয়ন্ত্রণ) তপন কুমার বিশ্বাস জানান, পরিবেশ রক্ষায় রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সব জেলা প্রশাসক এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বাজার করতে আসা মানুষকে পলিথিন ব্যবহার না করে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারের অনুরোধ জানান।
একই সঙ্গে দোকানিদের পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং পরবর্তী অভিযানে পলিথিনের ব্যাগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ১ ও ২ নভেম্বর সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় মোবাইল কোর্ট বন্ধ থাকলেও মনিটরিং কার্যক্রম চলমান থাকবে। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে সবার সহযোগিতা দরকার।
মনিটরিং কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির সদস্য হিসেবে যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপসচিব রুবিনা ফেরদৌসী, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম ও পরিচালক মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারীসহ অনেকে।
বিকল্পের ব্যবস্থা না করেই নিষিদ্ধ, ক্রেতা-বিক্রেতার ক্ষোভ
কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর, রামপুরা ও বনশ্রী এলাকার বাজারগুলোয় দেখা যায়, সবজি, মাছসহ সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, আগে কিনে রাখা পলিথিন ব্যবহার করছেন তাঁরা। বিকল্পের ব্যবস্থা না করেই পলিথিন নিষিদ্ধ করায় ক্রেতা-বিক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কারওয়ান বাজারে সবজি কিনতে আসা কলেজশিক্ষক সামসুল আলম বলেন, ‘পলিথিন ব্যবহার করতে দিবে না বুঝলাম। কিন্তু বিকল্প তো থাকতে হবে। সেই বিকল্পটা কী? জিনিসপত্রের আকাশ ছোঁয়া দামে এমনিতেই আমাদের নাভিশ্বাস। এর মধ্যে প্রতিবার বাজারের সময় বাড়তি দাম দিয়ে আবার একটা ব্যাগও কিনতে হবে?’
বনশ্রী কাঁচাবাজারের মুদি দোকানদার মাসুদ কাজী বলেন, আগের কিছু পলিথিন ছিল। সেইগুলা ব্যবহার করতেছি। পলিথিনের বদলে কিসে কইরা মাল দিব? কাস্টমাররা আইসা বলেন, পলিথিন না দিলে জিনিস নেব কিসে? বিকল্প তো থাকতে হবে।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কাঁচাবাজারে পলিথিন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান। সে সময় তিনি বলেন, ‘১ নভেম্বর থেকে পলিথিনজাতীয় সব ধরনের ব্যাগ নিষিদ্ধ এবং কোনো ক্রেতাকে এ ব্যাগ দেওয়া যাবে না।’
পলিথিন নিষিদ্ধের বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে একটা আইন হওয়ার পর নির্দিষ্ট একটা সময় দেওয়া হয়। মানুষকে প্রস্তুত হওয়ার সময় দেওয়া হয়। আর আমাদের দেশে আইন হওয়ার পরেই বলা হয়, অবিলম্বে এই আইন কার্যকর হবে। মানুষ প্রস্তুত হওয়ার সুযোগটা দেওয়া হয় না। তাই সেই আইন মানুষ মানেও না। পলিথিনের ক্ষেত্রেও সেটাই হচ্ছে।’
এদিকে, আজ বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে আছে উগান্ডার কাম্পালা। শহরটির বায়ুমান ১৮০, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো যথাক্রমে—পাকিস্তানের লাহোর, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা ও চিলির সান্তিয়াগো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ১৫২,১৫০, ১৩১ ও ১৩০।
১০ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার, সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগেবেশ কিছুদিন সহনীয় পর্যায়ে থাকার পর আবারও বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েছে ঢাকায়। বায়ুদূষণে বিশ্বের ১২৫ শহরের মধ্যে আজ ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। আজ বায়ুদূষণ ও বাতাসের গুণমান সূচক নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুমান সূচক ১১২।
১ দিন আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মুহুরী, গোমতী, সোমেশ্বরী ও তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি।
২ দিন আগে