
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাকালুকি হাওরে আকাশ থেকে নেমে আসা ফানেলের মতো দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে সেই ভিডিও পোস্ট করে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
অবশ্য গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্য নতুন হওয়ার কথা নয়। অনেকে এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে বলেন ‘হাতিশুঁড়’। অনেকে মনে করেন এভাবে আকাশ পানি শুষে নেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ঘূর্ণায়মান ফানেল সাধারণত পানির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে না। আবহাওয়াবিদেরা এই ঘটনাকে বলেন, টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘটনা। মূলত নির্দিষ্ট স্থানে তাপমাত্রার হঠাৎ চরম তারতম্যের কারণে সৃষ্ট চাপের ভারসাম্যহীনতা এই ঘূর্ণায়মান ফানেল তৈরি করে।
মৌলভীবাজারে হাকালুকি হাওরে যে দৃশ্যটি দেখা গেছে আবহাওয়াবিদেরা এটিকে বলেন ফানেল মেঘ। ঘনীভূত পানির ফোঁটা একটি ফানেল-আকৃতির মেঘে পরিণত হয়ে বাতাসের ঘূর্ণায়মান কলামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই দৃশ্য তৈরি করে। এই ফানেল মেঘমালার নিচের পৃষ্ঠ পর্যন্ত প্রসারিত হয়, কিন্তু মাটি বা পানির পৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না।
ফানেল ক্লাউড সাধারণত শঙ্কু আকৃতির বা সুচের মতো দেখায়। আকাশে মেঘের পৃষ্ঠ থেকে নিচের দিকে এমনটিই দেখা যায়। ফানেল মেঘ প্রায়ই বজ্রপাতের সঙ্গে মিলিত হয় এবং কখনো কখনো টর্নেডোপূর্ব আলামত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফানেল যদি মেঘ পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে তবে সেটিকে সাধারণত টর্নেডো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে ঘনীভূত মেঘের ফানেল দৃশ্যমান হওয়ার আগে স্থলভাগে ঝড় শুরু হয়ে যায়।
বেশিরভাগ টর্নেডোই কিন্তু ফানেল মেঘ হিসেবে শুরু হয়। কিন্তু কিছু ফানেল মেঘ ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না এবং খালি চোখে পর্যবেক্ষকের কাছে সেটিকে আর টর্নেডো বলে মনে হয় না। সোজা কথায়, যদি শক্তিশালী ঘূর্ণি বায়ু ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন হয় এবং সেটি মেঘের নিচের স্তরের সঙ্গে যুক্ত থাকে (মেঘ ঘনীভূত থাক বা না থাক) তবেই সেটিকে টর্নেডো বলা হবে।
ঘনীভূত হতে হতে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছানোর আগের ঘটনাটি সাধারণত আবর্জনার ঘূর্ণি হিসেবে দৃশ্যমান হয়। কিছু টর্নেডোতে শুধুই ঘূর্ণায়মান আবর্জনা দেখা যায়, সেখানে সেভাবে কোনো ফানেল মেঘ দেখা যায় না। ভূপৃষ্ঠ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণন ক্রমে শক্তিশালী হয় এবং দ্রুতই ঘূর্ণায়মান আবর্জনার ঘনীভবন স্পষ্ট হয়। এ ধরনের দৃশ্য কিন্তু বসন্তকালে শুষ্ক স্থানে প্রায়ই দেখা যায়।
আরেক ধরনের ফানেল মেঘ আছে যেটিকে বলে কোল্ড-এয়ার ফানেল ক্লাউড (বা ঘূর্ণি)। সাধারণত এটি অনেক দুর্বল হয়। এই শীতল বাতাসের ফানেল সাধারণত মাটি বা পানি স্পর্শ করে না। তবে পৃষ্ঠ স্তরের ঘূর্ণিগুলো কখনো কখনো ঘনীভূত মেঘের কারণে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে যা সংক্ষিপ্তভাবে ‘নিচে স্পর্শ’ করতে পারে। এটি যা দুর্বল টর্নেডো বা জলস্রোত হিসেবে দৃশ্যমান হয়।
আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলে সাধারণত শীতল বাতাসের ফানেল মেঘ দেখা যায়। এ ধরনের ফানেল মেঘ বিশেষ করে নিম্নচাপের মতো পরিস্থিতি অথবা বড় বিল, হাওর ও হ্রদের মতো বায়ুমণ্ডলীয় সীমা এবং সমুদ্রের বাতাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
বৃহত্তর পরিসরে আবহাওয়ার এমন বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা হলো—নিচের স্তরের বাতাস ওপরের স্তরের চেয়ে তুলনামূলক উষ্ণ থাকলে হঠাৎ বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়। তখন তীব্র বেগে বাতাসের ঘূর্ণন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়। ফানেল তৈরি হয় তখনই যখন এই বায়ুমণ্ডলীয় অস্থিরতা (তাপ ও চাপের তারতম্য) এবং আর্দ্রতা বিরাজ করে। বিশাল ঘনীভূত মেঘ তীব্র বেগে উপরের দিকে ছুটতে থাকে। তবে মেঘের ঘনীভবন এমন মাত্রায় হতে হবে যেন অঝোরে বৃষ্টি নামার মতো অবস্থায় না থাকে। বৃষ্টি হলেই কিন্তু ফানেল উধাও হয়ে যাবে!
শীতল বাতাসের ফানেল বেশ দুর্বল হলেও কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মিনিট দশেকের মধ্যে আশপাশের স্থানেও থেমে থেমে ফানেল মেঘ তৈরি হতে পারে। সাধারণত বিকেলের দিকে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাকালুকি হাওরে আকাশ থেকে নেমে আসা ফানেলের মতো দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে সেই ভিডিও পোস্ট করে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
অবশ্য গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্য নতুন হওয়ার কথা নয়। অনেকে এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে বলেন ‘হাতিশুঁড়’। অনেকে মনে করেন এভাবে আকাশ পানি শুষে নেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ঘূর্ণায়মান ফানেল সাধারণত পানির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে না। আবহাওয়াবিদেরা এই ঘটনাকে বলেন, টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘটনা। মূলত নির্দিষ্ট স্থানে তাপমাত্রার হঠাৎ চরম তারতম্যের কারণে সৃষ্ট চাপের ভারসাম্যহীনতা এই ঘূর্ণায়মান ফানেল তৈরি করে।
মৌলভীবাজারে হাকালুকি হাওরে যে দৃশ্যটি দেখা গেছে আবহাওয়াবিদেরা এটিকে বলেন ফানেল মেঘ। ঘনীভূত পানির ফোঁটা একটি ফানেল-আকৃতির মেঘে পরিণত হয়ে বাতাসের ঘূর্ণায়মান কলামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই দৃশ্য তৈরি করে। এই ফানেল মেঘমালার নিচের পৃষ্ঠ পর্যন্ত প্রসারিত হয়, কিন্তু মাটি বা পানির পৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না।
ফানেল ক্লাউড সাধারণত শঙ্কু আকৃতির বা সুচের মতো দেখায়। আকাশে মেঘের পৃষ্ঠ থেকে নিচের দিকে এমনটিই দেখা যায়। ফানেল মেঘ প্রায়ই বজ্রপাতের সঙ্গে মিলিত হয় এবং কখনো কখনো টর্নেডোপূর্ব আলামত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফানেল যদি মেঘ পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে তবে সেটিকে সাধারণত টর্নেডো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে ঘনীভূত মেঘের ফানেল দৃশ্যমান হওয়ার আগে স্থলভাগে ঝড় শুরু হয়ে যায়।
বেশিরভাগ টর্নেডোই কিন্তু ফানেল মেঘ হিসেবে শুরু হয়। কিন্তু কিছু ফানেল মেঘ ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না এবং খালি চোখে পর্যবেক্ষকের কাছে সেটিকে আর টর্নেডো বলে মনে হয় না। সোজা কথায়, যদি শক্তিশালী ঘূর্ণি বায়ু ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন হয় এবং সেটি মেঘের নিচের স্তরের সঙ্গে যুক্ত থাকে (মেঘ ঘনীভূত থাক বা না থাক) তবেই সেটিকে টর্নেডো বলা হবে।
ঘনীভূত হতে হতে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছানোর আগের ঘটনাটি সাধারণত আবর্জনার ঘূর্ণি হিসেবে দৃশ্যমান হয়। কিছু টর্নেডোতে শুধুই ঘূর্ণায়মান আবর্জনা দেখা যায়, সেখানে সেভাবে কোনো ফানেল মেঘ দেখা যায় না। ভূপৃষ্ঠ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণন ক্রমে শক্তিশালী হয় এবং দ্রুতই ঘূর্ণায়মান আবর্জনার ঘনীভবন স্পষ্ট হয়। এ ধরনের দৃশ্য কিন্তু বসন্তকালে শুষ্ক স্থানে প্রায়ই দেখা যায়।
আরেক ধরনের ফানেল মেঘ আছে যেটিকে বলে কোল্ড-এয়ার ফানেল ক্লাউড (বা ঘূর্ণি)। সাধারণত এটি অনেক দুর্বল হয়। এই শীতল বাতাসের ফানেল সাধারণত মাটি বা পানি স্পর্শ করে না। তবে পৃষ্ঠ স্তরের ঘূর্ণিগুলো কখনো কখনো ঘনীভূত মেঘের কারণে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে যা সংক্ষিপ্তভাবে ‘নিচে স্পর্শ’ করতে পারে। এটি যা দুর্বল টর্নেডো বা জলস্রোত হিসেবে দৃশ্যমান হয়।
আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলে সাধারণত শীতল বাতাসের ফানেল মেঘ দেখা যায়। এ ধরনের ফানেল মেঘ বিশেষ করে নিম্নচাপের মতো পরিস্থিতি অথবা বড় বিল, হাওর ও হ্রদের মতো বায়ুমণ্ডলীয় সীমা এবং সমুদ্রের বাতাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
বৃহত্তর পরিসরে আবহাওয়ার এমন বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা হলো—নিচের স্তরের বাতাস ওপরের স্তরের চেয়ে তুলনামূলক উষ্ণ থাকলে হঠাৎ বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়। তখন তীব্র বেগে বাতাসের ঘূর্ণন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়। ফানেল তৈরি হয় তখনই যখন এই বায়ুমণ্ডলীয় অস্থিরতা (তাপ ও চাপের তারতম্য) এবং আর্দ্রতা বিরাজ করে। বিশাল ঘনীভূত মেঘ তীব্র বেগে উপরের দিকে ছুটতে থাকে। তবে মেঘের ঘনীভবন এমন মাত্রায় হতে হবে যেন অঝোরে বৃষ্টি নামার মতো অবস্থায় না থাকে। বৃষ্টি হলেই কিন্তু ফানেল উধাও হয়ে যাবে!
শীতল বাতাসের ফানেল বেশ দুর্বল হলেও কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মিনিট দশেকের মধ্যে আশপাশের স্থানেও থেমে থেমে ফানেল মেঘ তৈরি হতে পারে। সাধারণত বিকেলের দিকে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাকালুকি হাওরে আকাশ থেকে নেমে আসা ফানেলের মতো দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে সেই ভিডিও পোস্ট করে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
অবশ্য গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্য নতুন হওয়ার কথা নয়। অনেকে এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে বলেন ‘হাতিশুঁড়’। অনেকে মনে করেন এভাবে আকাশ পানি শুষে নেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ঘূর্ণায়মান ফানেল সাধারণত পানির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে না। আবহাওয়াবিদেরা এই ঘটনাকে বলেন, টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘটনা। মূলত নির্দিষ্ট স্থানে তাপমাত্রার হঠাৎ চরম তারতম্যের কারণে সৃষ্ট চাপের ভারসাম্যহীনতা এই ঘূর্ণায়মান ফানেল তৈরি করে।
মৌলভীবাজারে হাকালুকি হাওরে যে দৃশ্যটি দেখা গেছে আবহাওয়াবিদেরা এটিকে বলেন ফানেল মেঘ। ঘনীভূত পানির ফোঁটা একটি ফানেল-আকৃতির মেঘে পরিণত হয়ে বাতাসের ঘূর্ণায়মান কলামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই দৃশ্য তৈরি করে। এই ফানেল মেঘমালার নিচের পৃষ্ঠ পর্যন্ত প্রসারিত হয়, কিন্তু মাটি বা পানির পৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না।
ফানেল ক্লাউড সাধারণত শঙ্কু আকৃতির বা সুচের মতো দেখায়। আকাশে মেঘের পৃষ্ঠ থেকে নিচের দিকে এমনটিই দেখা যায়। ফানেল মেঘ প্রায়ই বজ্রপাতের সঙ্গে মিলিত হয় এবং কখনো কখনো টর্নেডোপূর্ব আলামত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফানেল যদি মেঘ পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে তবে সেটিকে সাধারণত টর্নেডো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে ঘনীভূত মেঘের ফানেল দৃশ্যমান হওয়ার আগে স্থলভাগে ঝড় শুরু হয়ে যায়।
বেশিরভাগ টর্নেডোই কিন্তু ফানেল মেঘ হিসেবে শুরু হয়। কিন্তু কিছু ফানেল মেঘ ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না এবং খালি চোখে পর্যবেক্ষকের কাছে সেটিকে আর টর্নেডো বলে মনে হয় না। সোজা কথায়, যদি শক্তিশালী ঘূর্ণি বায়ু ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন হয় এবং সেটি মেঘের নিচের স্তরের সঙ্গে যুক্ত থাকে (মেঘ ঘনীভূত থাক বা না থাক) তবেই সেটিকে টর্নেডো বলা হবে।
ঘনীভূত হতে হতে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছানোর আগের ঘটনাটি সাধারণত আবর্জনার ঘূর্ণি হিসেবে দৃশ্যমান হয়। কিছু টর্নেডোতে শুধুই ঘূর্ণায়মান আবর্জনা দেখা যায়, সেখানে সেভাবে কোনো ফানেল মেঘ দেখা যায় না। ভূপৃষ্ঠ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণন ক্রমে শক্তিশালী হয় এবং দ্রুতই ঘূর্ণায়মান আবর্জনার ঘনীভবন স্পষ্ট হয়। এ ধরনের দৃশ্য কিন্তু বসন্তকালে শুষ্ক স্থানে প্রায়ই দেখা যায়।
আরেক ধরনের ফানেল মেঘ আছে যেটিকে বলে কোল্ড-এয়ার ফানেল ক্লাউড (বা ঘূর্ণি)। সাধারণত এটি অনেক দুর্বল হয়। এই শীতল বাতাসের ফানেল সাধারণত মাটি বা পানি স্পর্শ করে না। তবে পৃষ্ঠ স্তরের ঘূর্ণিগুলো কখনো কখনো ঘনীভূত মেঘের কারণে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে যা সংক্ষিপ্তভাবে ‘নিচে স্পর্শ’ করতে পারে। এটি যা দুর্বল টর্নেডো বা জলস্রোত হিসেবে দৃশ্যমান হয়।
আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলে সাধারণত শীতল বাতাসের ফানেল মেঘ দেখা যায়। এ ধরনের ফানেল মেঘ বিশেষ করে নিম্নচাপের মতো পরিস্থিতি অথবা বড় বিল, হাওর ও হ্রদের মতো বায়ুমণ্ডলীয় সীমা এবং সমুদ্রের বাতাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
বৃহত্তর পরিসরে আবহাওয়ার এমন বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা হলো—নিচের স্তরের বাতাস ওপরের স্তরের চেয়ে তুলনামূলক উষ্ণ থাকলে হঠাৎ বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়। তখন তীব্র বেগে বাতাসের ঘূর্ণন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়। ফানেল তৈরি হয় তখনই যখন এই বায়ুমণ্ডলীয় অস্থিরতা (তাপ ও চাপের তারতম্য) এবং আর্দ্রতা বিরাজ করে। বিশাল ঘনীভূত মেঘ তীব্র বেগে উপরের দিকে ছুটতে থাকে। তবে মেঘের ঘনীভবন এমন মাত্রায় হতে হবে যেন অঝোরে বৃষ্টি নামার মতো অবস্থায় না থাকে। বৃষ্টি হলেই কিন্তু ফানেল উধাও হয়ে যাবে!
শীতল বাতাসের ফানেল বেশ দুর্বল হলেও কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মিনিট দশেকের মধ্যে আশপাশের স্থানেও থেমে থেমে ফানেল মেঘ তৈরি হতে পারে। সাধারণত বিকেলের দিকে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় হাকালুকি হাওরে আকাশ থেকে নেমে আসা ফানেলের মতো দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে সেই ভিডিও পোস্ট করে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
অবশ্য গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্য নতুন হওয়ার কথা নয়। অনেকে এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে বলেন ‘হাতিশুঁড়’। অনেকে মনে করেন এভাবে আকাশ পানি শুষে নেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ঘূর্ণায়মান ফানেল সাধারণত পানির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে না। আবহাওয়াবিদেরা এই ঘটনাকে বলেন, টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘটনা। মূলত নির্দিষ্ট স্থানে তাপমাত্রার হঠাৎ চরম তারতম্যের কারণে সৃষ্ট চাপের ভারসাম্যহীনতা এই ঘূর্ণায়মান ফানেল তৈরি করে।
মৌলভীবাজারে হাকালুকি হাওরে যে দৃশ্যটি দেখা গেছে আবহাওয়াবিদেরা এটিকে বলেন ফানেল মেঘ। ঘনীভূত পানির ফোঁটা একটি ফানেল-আকৃতির মেঘে পরিণত হয়ে বাতাসের ঘূর্ণায়মান কলামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই দৃশ্য তৈরি করে। এই ফানেল মেঘমালার নিচের পৃষ্ঠ পর্যন্ত প্রসারিত হয়, কিন্তু মাটি বা পানির পৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না।
ফানেল ক্লাউড সাধারণত শঙ্কু আকৃতির বা সুচের মতো দেখায়। আকাশে মেঘের পৃষ্ঠ থেকে নিচের দিকে এমনটিই দেখা যায়। ফানেল মেঘ প্রায়ই বজ্রপাতের সঙ্গে মিলিত হয় এবং কখনো কখনো টর্নেডোপূর্ব আলামত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফানেল যদি মেঘ পৃষ্ঠকে স্পর্শ করে তবে সেটিকে সাধারণত টর্নেডো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে ঘনীভূত মেঘের ফানেল দৃশ্যমান হওয়ার আগে স্থলভাগে ঝড় শুরু হয়ে যায়।
বেশিরভাগ টর্নেডোই কিন্তু ফানেল মেঘ হিসেবে শুরু হয়। কিন্তু কিছু ফানেল মেঘ ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত পৌঁছায় না এবং খালি চোখে পর্যবেক্ষকের কাছে সেটিকে আর টর্নেডো বলে মনে হয় না। সোজা কথায়, যদি শক্তিশালী ঘূর্ণি বায়ু ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন হয় এবং সেটি মেঘের নিচের স্তরের সঙ্গে যুক্ত থাকে (মেঘ ঘনীভূত থাক বা না থাক) তবেই সেটিকে টর্নেডো বলা হবে।
ঘনীভূত হতে হতে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছানোর আগের ঘটনাটি সাধারণত আবর্জনার ঘূর্ণি হিসেবে দৃশ্যমান হয়। কিছু টর্নেডোতে শুধুই ঘূর্ণায়মান আবর্জনা দেখা যায়, সেখানে সেভাবে কোনো ফানেল মেঘ দেখা যায় না। ভূপৃষ্ঠ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণন ক্রমে শক্তিশালী হয় এবং দ্রুতই ঘূর্ণায়মান আবর্জনার ঘনীভবন স্পষ্ট হয়। এ ধরনের দৃশ্য কিন্তু বসন্তকালে শুষ্ক স্থানে প্রায়ই দেখা যায়।
আরেক ধরনের ফানেল মেঘ আছে যেটিকে বলে কোল্ড-এয়ার ফানেল ক্লাউড (বা ঘূর্ণি)। সাধারণত এটি অনেক দুর্বল হয়। এই শীতল বাতাসের ফানেল সাধারণত মাটি বা পানি স্পর্শ করে না। তবে পৃষ্ঠ স্তরের ঘূর্ণিগুলো কখনো কখনো ঘনীভূত মেঘের কারণে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে ওঠে যা সংক্ষিপ্তভাবে ‘নিচে স্পর্শ’ করতে পারে। এটি যা দুর্বল টর্নেডো বা জলস্রোত হিসেবে দৃশ্যমান হয়।
আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলে সাধারণত শীতল বাতাসের ফানেল মেঘ দেখা যায়। এ ধরনের ফানেল মেঘ বিশেষ করে নিম্নচাপের মতো পরিস্থিতি অথবা বড় বিল, হাওর ও হ্রদের মতো বায়ুমণ্ডলীয় সীমা এবং সমুদ্রের বাতাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
বৃহত্তর পরিসরে আবহাওয়ার এমন বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা হলো—নিচের স্তরের বাতাস ওপরের স্তরের চেয়ে তুলনামূলক উষ্ণ থাকলে হঠাৎ বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়। তখন তীব্র বেগে বাতাসের ঘূর্ণন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়। ফানেল তৈরি হয় তখনই যখন এই বায়ুমণ্ডলীয় অস্থিরতা (তাপ ও চাপের তারতম্য) এবং আর্দ্রতা বিরাজ করে। বিশাল ঘনীভূত মেঘ তীব্র বেগে উপরের দিকে ছুটতে থাকে। তবে মেঘের ঘনীভবন এমন মাত্রায় হতে হবে যেন অঝোরে বৃষ্টি নামার মতো অবস্থায় না থাকে। বৃষ্টি হলেই কিন্তু ফানেল উধাও হয়ে যাবে!
শীতল বাতাসের ফানেল বেশ দুর্বল হলেও কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মিনিট দশেকের মধ্যে আশপাশের স্থানেও থেমে থেমে ফানেল মেঘ তৈরি হতে পারে। সাধারণত বিকেলের দিকে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে।

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৪ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৯টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দিন ও রাতে তাপমাত্রা আর কমতে পারে। এর মধ্যে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের বেলা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্য নতুন হওয়ার কথা নয়। অনেকে এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে বলেন ‘হাতিশুঁড়’। অনেকে মনে করেন এভাবে আকাশ পানি শুষে নেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ঘূর্ণায়মান ফানেল সাধারণত পানির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে না। আবহাওয়াবিদেরা এই ঘটনাকে বলেন...
২৪ জুলাই ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
রাজধানী শহর ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। আজ বায়ুদূষণে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। শহরটির বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২৬২। যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৪৯০, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৯৪), ভারতের কলকাতা (১৯৯) ও বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো (১৭৭)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো— আইসিডিডিআরবি ৩০৬, দক্ষিণ পল্লবী ২৭৪, ইস্টার্ন হাউজিং ২৭১, বেচারাম দেউড়ি ২৬৩, বেজ এজওয়াটার আউটডোর ২৬২, কল্যাণপুর ২৫৫, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ২৩৫ ও গোড়ান ২৩২।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্য নতুন হওয়ার কথা নয়। অনেকে এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে বলেন ‘হাতিশুঁড়’। অনেকে মনে করেন এভাবে আকাশ পানি শুষে নেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ঘূর্ণায়মান ফানেল সাধারণত পানির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে না। আবহাওয়াবিদেরা এই ঘটনাকে বলেন...
২৪ জুলাই ২০২২
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

সারা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে শীতের অনুভূতি বাড়ছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সারা দেশে আজকের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে সোমবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আজ সকাল ৬টায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত সারা দেশের সম্ভাব্য পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক আজ সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উত্তরাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। ক্রমান্বয়ে সারা দেশেই শীত বাড়বে। তবে আপাতত আরও দুই-তিন তাপমাত্রা কমবে। এর পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।’

গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্য নতুন হওয়ার কথা নয়। অনেকে এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে বলেন ‘হাতিশুঁড়’। অনেকে মনে করেন এভাবে আকাশ পানি শুষে নেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ঘূর্ণায়মান ফানেল সাধারণত পানির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে না। আবহাওয়াবিদেরা এই ঘটনাকে বলেন...
২৪ জুলাই ২০২২
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৪ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে। আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা...
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

রাজধানী ঢাকা দীর্ঘস্থায়ী এবং বিপজ্জনক বায়ুদূষণের সংকটে ভুগছে। বাতাসের গুণগত মান (একিউআই) নিয়মিতভাবে ‘অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে থাকছে।
আইকিউএয়ারসহ বৈশ্বিক বায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) প্রায়ই ১৮০ (যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মাত্রা নির্দেশ করে) বা তার চেয়ে বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। দৈনিক গড় মান প্রায়ই ১৫০-এর ওপরে থাকছে, যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত। এই উদ্বেগজনক সংখ্যাগুলো বাসিন্দাদের জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং গুরুতর জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি তুলে ধরেছে।
অবশ্য শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ রোববার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার গড় বায়ুমান ২১৩। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ চতুর্থ স্থানে আছে ঢাকা।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৬৮৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো পাকিস্তানের লাহোর (৩৫৪), কুয়েতের কুয়েত সিটি (২৮৬), ভারতের কলকাতা (১৯৬), পাকিস্তানের করাচি (১৬১) এবং ইরাকের বাগদাদ (১৫৬)।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
এদিকে রাজধানী ঢাকার যে কয়টি এলাকায় আজ সকাল ৯টার দিকে ভয়াবহ মাত্রার বায়ুদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে, সেগুলো হলো ইস্টার্ন হাউজিং ২২৬, দক্ষিণ পল্লবী ২২৭, কল্যাণপুর ২১৩, বেজ এজওয়াটার ২২৭, আইসিডিডিআরবি ২৫০, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ১৯৬, গোরান ১৯৪ এবং বেচারাম দেউড়ি ২২৯।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্য নতুন হওয়ার কথা নয়। অনেকে এই প্রাকৃতিক ঘটনাকে বলেন ‘হাতিশুঁড়’। অনেকে মনে করেন এভাবে আকাশ পানি শুষে নেয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ঘূর্ণায়মান ফানেল সাধারণত পানির পৃষ্ঠ স্পর্শ করে না। আবহাওয়াবিদেরা এই ঘটনাকে বলেন...
২৪ জুলাই ২০২২
উত্তরাঞ্চলসহ সারা দেশেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। রাজশাহীতে আজ সোমবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় যা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
৪ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় দশের মধ্যে অবস্থান করছে ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো। এর মধ্যে আজ সোমবার তালিকার প্রথম তিন স্থান দখল করে আছে দিল্লি, লাহোর ও ঢাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যেতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগে