সৌগত বসু, ঢাকা

এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে। আর এতে করে সাময়িকভাবে প্রশমিত হতে পারে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসেও গরম থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল তা দেশের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। টানা ২৮ দিন তাপপ্রবাহ এই ভূখণ্ডে সবশেষ হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর গত বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩১ মার্চ থেকে শুরু করে ১১ এপ্রিলের পর্যন্ত দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সে সময় তা খুব বেশি এলাকায় ছড়িয়ে যায়নি। এরপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ এপ্রিল থেকে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা দেশের কয়েকটি অঞ্চলে টানা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চল।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে টানা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতিতীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ২০ এপ্রিল থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরমধ্যে ২২, ২৩, ২৪ এপ্রিল শুধু তীব্র তাপমাত্রা ছিল।
কোথায় কবে তাপপ্রবাহ চলমান ছিল
দেশে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি চলমান ছিল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ১৩ দিন। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ৪৩ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী ও পাবনায় ১২ দিন তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুষ্টিয়ায় ১০ দিন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর খুলনায় ৮ দিন, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এ বছর দুবার তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল ২০ ও ২৯ এপ্রিল। এর মধ্যে গতকাল এ বছরের রেকর্ড ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পার হয়। এপ্রিল মাসেই পাঁচবার হিট এলার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বশেষ হিট এলার্ট এখনো চলমান রয়েছে।
৬ এপ্রিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। ১৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপ্রপবাহ ছিল। ২০ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকায়। আর তীব্র ছিল খুলনার সব জেলা, রাজশাহী ও পাবনায়। ২১ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায়। ২২ ও ২৩ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ২৪ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৫ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, পাবনা, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুরে। ২৬ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ২৮ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী ও যশোরে। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায়। ২৯ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় আর তীব্র ছিল ঢাকা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়ায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের যে অঙ্গরাজ্য রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার , ওডিশা ও আশপাশের কয়েকটিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়, যার ফলে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পশ্চিমা বাতাস যখন পশ্চিম দিক থেকে আসে, তখন সেটি বাংলাদেশে ঢোকার আগেই তাপমাত্রা বেশি পেয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তাপের একটা প্রবাহ দেশের দিকে থাকে। আর এটির ধাক্কা যায় খুলনা ও রাজশাহীর ওপর, যার পরবর্তী প্রভাব পড়ে ঢাকা ও বরিশালের ওপর।
কোন দিন কোন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
১০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল খেপুপাড়া ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২২ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৪ এপ্রিল মংলা ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৫ এপ্রিল যশোর ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ এপ্রিল যশোর ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টি হবে মে থেকে
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।

এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে। আর এতে করে সাময়িকভাবে প্রশমিত হতে পারে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসেও গরম থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল তা দেশের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। টানা ২৮ দিন তাপপ্রবাহ এই ভূখণ্ডে সবশেষ হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর গত বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩১ মার্চ থেকে শুরু করে ১১ এপ্রিলের পর্যন্ত দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সে সময় তা খুব বেশি এলাকায় ছড়িয়ে যায়নি। এরপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ এপ্রিল থেকে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা দেশের কয়েকটি অঞ্চলে টানা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চল।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে টানা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতিতীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ২০ এপ্রিল থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরমধ্যে ২২, ২৩, ২৪ এপ্রিল শুধু তীব্র তাপমাত্রা ছিল।
কোথায় কবে তাপপ্রবাহ চলমান ছিল
দেশে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি চলমান ছিল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ১৩ দিন। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ৪৩ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী ও পাবনায় ১২ দিন তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুষ্টিয়ায় ১০ দিন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর খুলনায় ৮ দিন, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এ বছর দুবার তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল ২০ ও ২৯ এপ্রিল। এর মধ্যে গতকাল এ বছরের রেকর্ড ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পার হয়। এপ্রিল মাসেই পাঁচবার হিট এলার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বশেষ হিট এলার্ট এখনো চলমান রয়েছে।
৬ এপ্রিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। ১৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপ্রপবাহ ছিল। ২০ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকায়। আর তীব্র ছিল খুলনার সব জেলা, রাজশাহী ও পাবনায়। ২১ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায়। ২২ ও ২৩ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ২৪ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৫ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, পাবনা, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুরে। ২৬ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ২৮ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী ও যশোরে। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায়। ২৯ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় আর তীব্র ছিল ঢাকা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়ায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের যে অঙ্গরাজ্য রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার , ওডিশা ও আশপাশের কয়েকটিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়, যার ফলে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পশ্চিমা বাতাস যখন পশ্চিম দিক থেকে আসে, তখন সেটি বাংলাদেশে ঢোকার আগেই তাপমাত্রা বেশি পেয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তাপের একটা প্রবাহ দেশের দিকে থাকে। আর এটির ধাক্কা যায় খুলনা ও রাজশাহীর ওপর, যার পরবর্তী প্রভাব পড়ে ঢাকা ও বরিশালের ওপর।
কোন দিন কোন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
১০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল খেপুপাড়া ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২২ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৪ এপ্রিল মংলা ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৫ এপ্রিল যশোর ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ এপ্রিল যশোর ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টি হবে মে থেকে
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।
সৌগত বসু, ঢাকা

এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে। আর এতে করে সাময়িকভাবে প্রশমিত হতে পারে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসেও গরম থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল তা দেশের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। টানা ২৮ দিন তাপপ্রবাহ এই ভূখণ্ডে সবশেষ হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর গত বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩১ মার্চ থেকে শুরু করে ১১ এপ্রিলের পর্যন্ত দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সে সময় তা খুব বেশি এলাকায় ছড়িয়ে যায়নি। এরপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ এপ্রিল থেকে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা দেশের কয়েকটি অঞ্চলে টানা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চল।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে টানা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতিতীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ২০ এপ্রিল থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরমধ্যে ২২, ২৩, ২৪ এপ্রিল শুধু তীব্র তাপমাত্রা ছিল।
কোথায় কবে তাপপ্রবাহ চলমান ছিল
দেশে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি চলমান ছিল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ১৩ দিন। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ৪৩ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী ও পাবনায় ১২ দিন তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুষ্টিয়ায় ১০ দিন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর খুলনায় ৮ দিন, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এ বছর দুবার তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল ২০ ও ২৯ এপ্রিল। এর মধ্যে গতকাল এ বছরের রেকর্ড ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পার হয়। এপ্রিল মাসেই পাঁচবার হিট এলার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বশেষ হিট এলার্ট এখনো চলমান রয়েছে।
৬ এপ্রিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। ১৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপ্রপবাহ ছিল। ২০ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকায়। আর তীব্র ছিল খুলনার সব জেলা, রাজশাহী ও পাবনায়। ২১ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায়। ২২ ও ২৩ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ২৪ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৫ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, পাবনা, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুরে। ২৬ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ২৮ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী ও যশোরে। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায়। ২৯ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় আর তীব্র ছিল ঢাকা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়ায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের যে অঙ্গরাজ্য রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার , ওডিশা ও আশপাশের কয়েকটিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়, যার ফলে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পশ্চিমা বাতাস যখন পশ্চিম দিক থেকে আসে, তখন সেটি বাংলাদেশে ঢোকার আগেই তাপমাত্রা বেশি পেয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তাপের একটা প্রবাহ দেশের দিকে থাকে। আর এটির ধাক্কা যায় খুলনা ও রাজশাহীর ওপর, যার পরবর্তী প্রভাব পড়ে ঢাকা ও বরিশালের ওপর।
কোন দিন কোন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
১০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল খেপুপাড়া ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২২ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৪ এপ্রিল মংলা ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৫ এপ্রিল যশোর ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ এপ্রিল যশোর ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টি হবে মে থেকে
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।

এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে। আর এতে করে সাময়িকভাবে প্রশমিত হতে পারে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসেও গরম থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল তা দেশের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। টানা ২৮ দিন তাপপ্রবাহ এই ভূখণ্ডে সবশেষ হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর গত বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৩১ মার্চ থেকে শুরু করে ১১ এপ্রিলের পর্যন্ত দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সে সময় তা খুব বেশি এলাকায় ছড়িয়ে যায়নি। এরপর ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ এপ্রিল থেকে তীব্র থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা দেশের কয়েকটি অঞ্চলে টানা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল অঞ্চল।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল মাসের ৬ তারিখ তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর ১৭ এপ্রিল থেকে টানা ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের কয়েকটি অঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতিতীব্র তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। ২০ এপ্রিল থেকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরমধ্যে ২২, ২৩, ২৪ এপ্রিল শুধু তীব্র তাপমাত্রা ছিল।
কোথায় কবে তাপপ্রবাহ চলমান ছিল
দেশে তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি চলমান ছিল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ১৩ দিন। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ এপ্রিল যথাক্রমে ৪৩ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহী ও পাবনায় ১২ দিন তাপপ্রবাহ চলমান ছিল। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল যথাক্রমে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুষ্টিয়ায় ১০ দিন, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর খুলনায় ৮ দিন, আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল গতকাল ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় এ বছর দুবার তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল ২০ ও ২৯ এপ্রিল। এর মধ্যে গতকাল এ বছরের রেকর্ড ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পার হয়। এপ্রিল মাসেই পাঁচবার হিট এলার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সর্বশেষ হিট এলার্ট এখনো চলমান রয়েছে।
৬ এপ্রিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায় তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল। ১৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা, রাজশাহী, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ১৮ ও ১৯ এপ্রিল বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায় তীব্র তাপ্রপবাহ ছিল। ২০ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও ঢাকায়। আর তীব্র ছিল খুলনার সব জেলা, রাজশাহী ও পাবনায়। ২১ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ায়। ২২ ও ২৩ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ায়। ২৪ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৫ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, যশোর, পাবনা, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুরে। ২৬ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গায়। ২৭ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায়। আর অতিতীব্র ছিল চুয়াডাঙ্গায়। ২৮ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ ছিল রাজশাহী ও যশোরে। আর তীব্র তাপপ্রবাহ ছিল টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও খুলনায়। ২৯ এপ্রিল অতিতীব্র তাপপ্রবাহ রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় আর তীব্র ছিল ঢাকা, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়ায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের যে অঙ্গরাজ্য রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার , ওডিশা ও আশপাশের কয়েকটিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়, যার ফলে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পশ্চিমা বাতাস যখন পশ্চিম দিক থেকে আসে, তখন সেটি বাংলাদেশে ঢোকার আগেই তাপমাত্রা বেশি পেয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তাপের একটা প্রবাহ দেশের দিকে থাকে। আর এটির ধাক্কা যায় খুলনা ও রাজশাহীর ওপর, যার পরবর্তী প্রভাব পড়ে ঢাকা ও বরিশালের ওপর।
কোন দিন কোন এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
১০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১১ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১২ এপ্রিল রাঙ্গামাটি ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৩ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৪ এপ্রিল রাঙ্গামটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৫ এপ্রিল খেপুপাড়া ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২১ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২২ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৩ এপ্রিল খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৪ এপ্রিল মংলা ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৫ এপ্রিল যশোর ৪২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ এপ্রিল যশোর ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃষ্টি হবে মে থেকে
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।

দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কার্তিক মাস বিদায় নিতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। এরপর আসবে হেমন্তকাল। প্রকৃতিতেও লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। দেশের কোথাও কোথাও পড়ছে হালকা শীত। কোথাওবা পড়েছে হালকা কুয়াশা। আজ শুক্রবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও সারা দেশে কুয়াশা পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে গরমের অনুভূতিও আগের মতো থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ৬টা ৯ মিনিটে।

কার্তিক মাস বিদায় নিতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। এরপর আসবে হেমন্তকাল। প্রকৃতিতেও লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। দেশের কোথাও কোথাও পড়ছে হালকা শীত। কোথাওবা পড়েছে হালকা কুয়াশা। আজ শুক্রবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও সারা দেশে কুয়াশা পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে গরমের অনুভূতিও আগের মতো থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ৬টা ৯ মিনিটে।

এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

এপ্রিলের শেষ দিন আজ। শেষ হবে দেশের ইতিহাসে রেকর্ড তাপপ্রবাহ চলমান মাসটি। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টি হতে পারে, যা কিছুদিন স্থায়ী হবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
১ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
১ দিন আগে