মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট)
বিল জুড়ে ফুটে অসংখ্য লাল শাপলা। আর শীতে বহুদূর থেকে এসে লাল শাপলার বিল ও আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিযায়ী পাখি। কোনোটি ফুলের কলিতে ঠোকর দিচ্ছে, কোনোটি মাছ ধরছে, কোনোটি জলে সাঁতার কাটছে। আবার পর্যটকদের নৌকার শব্দ পেলেই ঝাঁক বেঁধে উড়াল দিচ্ছে পাখির ঝাঁক। এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের প্রিয় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর লাল শাপলা বিলে।
মূলত চারটি বিল নিয়ে গড়ে উঠেছে লাল শাপলার বিল। এখানে দেখা যাওয়া পাখিদের মধ্যে আছে বালি হাঁস, শামুকখোল, মেটে মাথা টিটি, সাদা বক, কানি বক, মাছরাঙা, নীলকণ্ঠ, জল ময়ূর, সরালি হাঁসসহ আরও নানা প্রজাতির পরিযায়ী ও স্থায়িভাবে বসবাসকারী পাখি। অনেক জায়গায় পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিলে বেশি পাখির দেখা মিলেছে।
স্থানীয় জানিয়েছেন, বিলের পশ্চিম পাশে বাঁধ নির্মাণের কারণে পানি আটকে থাকায় পাখির সংখ্যা বেড়েছে। এ সময়ে জৈন্তাপুর গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন বিল সরকারিভাবে ইজারা দেওয়ায় ইজারাদাররা পানি সেচ দিয়ে বা পানি ছেড়ে মাছ আহরণ করছেন ৷ তবে জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলা বিলটিতে শাপলার সৌন্দর্যের কারণে ইজারা বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ বিলে পর্যাপ্ত পানি থাকা এবং সামাজিক বনায়নের আওতায় বিলের পাশের রাস্তা এবং টিলায় গাছ রোপণের কারণে পরিযায়ী পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হচ্ছে লাল শাপলার বিল ৷
সরেজমিনে দেখা যায়, লাল শাপলা বিলে বালিহাঁস, মেটে মাথা টিটির ঝাঁকসহ বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি এসেছে। তারা লাল শাপলায় কলিতে ঠোকর দিচ্ছে, পানিতে ডুব দিচ্ছে ও সাঁতার কাটছে। আবার খানিক পর পর বিশ্রাম নিচ্ছে দল বেঁধে। কখনো এক বিল থেকে উড়ে যাচ্ছে আরেক বিলে। পর্যটকেরাও এমন দৃশ্য উপভোগ করছেন নৌকায় চড়ে।
নৌকার মাঝি হারুন মিয়া ও দুলাল হোসেন জানান, জৈন্তাপুরের ডিবির হাওর লাল শাপলা বিল নাম পরিচিতি পাওয়ার আগে এবং পরে কিছু লোক পাখি শিকার করতেন। স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মীদের তৎপরতার ফলে বিলটির ও পাখির প্রতি আন্তরিকতা বেড়েছে সবার। এখন আর পাখি শিকার হচ্ছে না। পাখিরা এখন নিরাপদেই বিলে খাবার খেতে ও আশ্রয় নিতে পারে। লাল শাপলার রাজ্যে যেন পাখির রাজ্যে রূপান্তর হচ্ছে।
এদিকে পাখিপ্রেমী ও স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ মনে করেন, বিলটির পশ্চিম বাঁধটি আরও প্রশস্ত এবং ৫-৭ ফুট উঁচু করার পাশাপাশি বিলের অবশিষ্টাংশ শাপলা বিলের সঙ্গে সংযুক্ত করা দরকার ৷ বিলের পশ্চিম অংশের কিছু জায়গা জবরদখল করে বানানো বাড়িগুলিও উচ্ছেদ করা প্রয়োজন ৷ বিলের বাকি অংশ যুক্ত করা গেলে লাল শাপলা বিলটি তিন উপজেলার অন্যতম সেরা পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি পরিযায়ী পাখির জন্য আরও নিরাপদ হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
জৈন্তা ফটোগ্রাফি সোসাইটির অর্থ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরের ৪টি বিল ২০১৪ সালে দেশবাসীর কাছে লাল শাপলার বিল হিসেবে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে আমরা তুলে ধরি ৷ আমরা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করে নিজেদের অর্থায়নে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করছি। আগামী বছরগুলিতে বিলের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে। আরও নতুন নতুন প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ বলেন, জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। পর্যটকদের জন্য ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে, নতুন আরও একটি পার্কিংয়ের স্থান নির্মাণ হবে, পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য এক কিলোমিটার রাস্তা আরসিসি পাকাকরণের কাজ এ মাসে শুরু হবে ৷ এ ছাড়া একটি ওয়াশ ব্লক করা হয়েছে।
কামাল আহমদ আরও বলেন, বিলের পশ্চিম পাশের বেড়ি বাঁধ ছিল না। তা করা হয়েছে। বাঁধটি উঁচু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাখির আবাসস্থল ও পর্যটকদের জন্য ছায়া সৃষ্টির লক্ষ্যে জৈন্তা ফটোগ্রাফি সোসাইটির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ও তাদের অর্থায়নে বনায়ন সৃষ্টি করা হচ্ছে। আগামী দুই বৎসরের মধ্যে বিলটি হয়ে উঠবে অতিথি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল এবং উপজেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র ৷
বিল জুড়ে ফুটে অসংখ্য লাল শাপলা। আর শীতে বহুদূর থেকে এসে লাল শাপলার বিল ও আশপাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিযায়ী পাখি। কোনোটি ফুলের কলিতে ঠোকর দিচ্ছে, কোনোটি মাছ ধরছে, কোনোটি জলে সাঁতার কাটছে। আবার পর্যটকদের নৌকার শব্দ পেলেই ঝাঁক বেঁধে উড়াল দিচ্ছে পাখির ঝাঁক। এ দৃশ্য দেখা যাচ্ছে প্রকৃতিপ্রেমীদের প্রিয় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর লাল শাপলা বিলে।
মূলত চারটি বিল নিয়ে গড়ে উঠেছে লাল শাপলার বিল। এখানে দেখা যাওয়া পাখিদের মধ্যে আছে বালি হাঁস, শামুকখোল, মেটে মাথা টিটি, সাদা বক, কানি বক, মাছরাঙা, নীলকণ্ঠ, জল ময়ূর, সরালি হাঁসসহ আরও নানা প্রজাতির পরিযায়ী ও স্থায়িভাবে বসবাসকারী পাখি। অনেক জায়গায় পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমলেও গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিলে বেশি পাখির দেখা মিলেছে।
স্থানীয় জানিয়েছেন, বিলের পশ্চিম পাশে বাঁধ নির্মাণের কারণে পানি আটকে থাকায় পাখির সংখ্যা বেড়েছে। এ সময়ে জৈন্তাপুর গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার বিভিন্ন বিল সরকারিভাবে ইজারা দেওয়ায় ইজারাদাররা পানি সেচ দিয়ে বা পানি ছেড়ে মাছ আহরণ করছেন ৷ তবে জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলা বিলটিতে শাপলার সৌন্দর্যের কারণে ইজারা বন্ধ রাখা হয়েছে ৷ বিলে পর্যাপ্ত পানি থাকা এবং সামাজিক বনায়নের আওতায় বিলের পাশের রাস্তা এবং টিলায় গাছ রোপণের কারণে পরিযায়ী পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হচ্ছে লাল শাপলার বিল ৷
সরেজমিনে দেখা যায়, লাল শাপলা বিলে বালিহাঁস, মেটে মাথা টিটির ঝাঁকসহ বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি এসেছে। তারা লাল শাপলায় কলিতে ঠোকর দিচ্ছে, পানিতে ডুব দিচ্ছে ও সাঁতার কাটছে। আবার খানিক পর পর বিশ্রাম নিচ্ছে দল বেঁধে। কখনো এক বিল থেকে উড়ে যাচ্ছে আরেক বিলে। পর্যটকেরাও এমন দৃশ্য উপভোগ করছেন নৌকায় চড়ে।
নৌকার মাঝি হারুন মিয়া ও দুলাল হোসেন জানান, জৈন্তাপুরের ডিবির হাওর লাল শাপলা বিল নাম পরিচিতি পাওয়ার আগে এবং পরে কিছু লোক পাখি শিকার করতেন। স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মীদের তৎপরতার ফলে বিলটির ও পাখির প্রতি আন্তরিকতা বেড়েছে সবার। এখন আর পাখি শিকার হচ্ছে না। পাখিরা এখন নিরাপদেই বিলে খাবার খেতে ও আশ্রয় নিতে পারে। লাল শাপলার রাজ্যে যেন পাখির রাজ্যে রূপান্তর হচ্ছে।
এদিকে পাখিপ্রেমী ও স্থানীয় সচেতন জনসাধারণ মনে করেন, বিলটির পশ্চিম বাঁধটি আরও প্রশস্ত এবং ৫-৭ ফুট উঁচু করার পাশাপাশি বিলের অবশিষ্টাংশ শাপলা বিলের সঙ্গে সংযুক্ত করা দরকার ৷ বিলের পশ্চিম অংশের কিছু জায়গা জবরদখল করে বানানো বাড়িগুলিও উচ্ছেদ করা প্রয়োজন ৷ বিলের বাকি অংশ যুক্ত করা গেলে লাল শাপলা বিলটি তিন উপজেলার অন্যতম সেরা পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি পরিযায়ী পাখির জন্য আরও নিরাপদ হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
জৈন্তা ফটোগ্রাফি সোসাইটির অর্থ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘জৈন্তাপুরের ডিবির হাওরের ৪টি বিল ২০১৪ সালে দেশবাসীর কাছে লাল শাপলার বিল হিসেবে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে আমরা তুলে ধরি ৷ আমরা উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করে নিজেদের অর্থায়নে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করছি। আগামী বছরগুলিতে বিলের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে। আরও নতুন নতুন প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে।
জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমদ বলেন, জৈন্তাপুরের লাল শাপলা বিলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। পর্যটকদের জন্য ঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে, নতুন আরও একটি পার্কিংয়ের স্থান নির্মাণ হবে, পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য এক কিলোমিটার রাস্তা আরসিসি পাকাকরণের কাজ এ মাসে শুরু হবে ৷ এ ছাড়া একটি ওয়াশ ব্লক করা হয়েছে।
কামাল আহমদ আরও বলেন, বিলের পশ্চিম পাশের বেড়ি বাঁধ ছিল না। তা করা হয়েছে। বাঁধটি উঁচু করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাখির আবাসস্থল ও পর্যটকদের জন্য ছায়া সৃষ্টির লক্ষ্যে জৈন্তা ফটোগ্রাফি সোসাইটির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ও তাদের অর্থায়নে বনায়ন সৃষ্টি করা হচ্ছে। আগামী দুই বৎসরের মধ্যে বিলটি হয়ে উঠবে অতিথি পাখির নিরাপদ আবাসস্থল এবং উপজেলার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র ৷
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে
৫ ঘণ্টা আগেআজ শুক্রবার, বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সকাল ১০টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৯৩, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আজ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৫। গতকাল বৃহস্পতিবার ১১৯ বায়ুমান নিয়ে ৮ম স্থানে ছিল ঢাকা।
১২ ঘণ্টা আগেঢাকার আকাশ আজ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির তুলনায় এশিয়া দ্বিগুণ গতিতে উষ্ণ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি জলবায়ু ঝুঁকি সূচক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত তিন দশকে বন্যা, তাপপ্রবাহ ও খরার মতো চরম আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে এশিয়া অঞ্চলের আর্থিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ ট্রিলিয়ন ডলার...
১ দিন আগে