আজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্ব যখন জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ুবিরোধী নীতি গ্রহণ করেছেন। আতঙ্কের বিষয় হলো, ট্রাম্পের এই নীতি আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
প্রোপাবলিকা ও ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের যৌথ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে জীবাশ্ম জ্বালানি সম্প্রসারণ ও নির্গমন হ্রাস উদ্যোগ বাতিলের ফলে অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হবে। এতে ভবিষ্যতে শুধু তাপমাত্রাজনিত কারণেই ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গবেষণা বলছে, আগামী দশকগুলোতে তীব্র গরমে প্রাণহানি সবচেয়ে বেশি হবে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র ও উষ্ণ দেশগুলোতে। এই দেশগুলো বৈশ্বিক দূষণের তুলনামূলক কম অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় অপ্রস্তুত। তাই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হবে এসব দেশে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের জলবায়ুবিরোধী নীতির ফলে ২০৩৫ সালের পর পরবর্তী ৮০ বছরে অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে বিশ্বজুড়ে ১৩ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আর এর সবই হবে তাপমাত্রাজনিত কারণে। প্রকৃতপক্ষে তাপমাত্রাজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি, তবে শীত-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসায় মোট হিসাবে কিছুটা ভারসাম্য হতে পারে।
জলবায়ু সম্মেলনে অনুপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র
ব্রাজিলের বেলেমে (কপ-৩০) জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের প্রতিনিধিরা একত্র হলেও যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলনে যোগ দেয়নি। বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র ৪ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ২০ শতাংশ! এ কারণে কপ-৩০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।
যেভাবে হিসাব করা হলো ১৩ লাখ মৃত্যুর পূর্বাভাস
প্রোপাবলিকা ও দ্য গার্ডিয়ান গবেষণায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি পরিবর্তনের ফলে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের পরিমাণ বের করতে রোডিয়াম গ্রুপের (Rhodium Group) মডেল ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যম পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫.৭ বিলিয়ন টন কার্বন নির্গমন হবে। এতে বৈশ্বিক তাপমাত্রাজনিত কারণে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
গবেষণায় ‘মরটালিটি কোস্ট অব কার্বন’ (Mortality Cost of Carbon) নামের একটি স্বীকৃত মেট্রিক ব্যবহার করা হয়েছে। বেন্টলি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ আর. ড্যানিয়েল ব্রেসলার এটি তৈরি করেছেন। তাঁর গবেষণা অনুযায়ী, একটি মৃত্যু ঘটাতে গড়ে ৪ হাজার ৪৩৪ টন কার্বন নিঃসরণই যথেষ্ট। জীবদ্দশায় ৩.৫ জন আমেরিকান গড়ে ঠিক এ পরিমাণ কার্বন নির্গমন করেন।
ব্রেসলারের মতে, যদি বৈশ্বিক নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে ২১০০ সালের মধ্যে মানবসৃষ্ট তাপমাত্রাজনিত মৃত্যু ৮ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছাতে পারে।
ইফে কিলিমানজারো ইউএস ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘সংখ্যাগুলো ভয়ংকর। কিন্তু এগুলো শুধু সংখ্যা নয়; এগুলো মানুষের জীবন, পরিবারের গল্প, তাদের স্বপ্ন।’
ট্রাম্প প্রশাসনের জলবায়ুবিরোধী সিদ্ধান্তগুলো কী
যুক্তরাষ্ট্রে গত এক বছরে ট্রাম্প প্রশাসন ও রিপাবলিকানদের সহায়তায় জলবায়ুসংক্রান্ত অনেক পদক্ষেপ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও উৎপাদন খাতের ট্যাক্স ক্রেডিট কাটা, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দূষণ নিয়ন্ত্রণ শিথিল, সরকারি জমিতে ড্রিলিং সহজ করা, যানবাহনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ বাতিল, তেল-গ্যাস শিল্পে দূষণ সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার ও মিথেন নির্গমন কমানোর উদ্যোগ বন্ধ।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডোয়ের স্কুল অব সাসটেইনেবিলিটির অর্থনীতিবিদ মার্শাল বার্ক বলেন, ‘ট্রাম্পের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী জলবায়ু নীতি কার্যকর হয়েছিল। সেগুলো প্রত্যাহার করা মানে সরাসরি বৈশ্বিক ক্ষতি বাড়ানো।’
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টেইলর রজার্স দাবি করেন, ‘আমেরিকা বামপন্থীদের ভুয়া জলবায়ু দাবিতে বিশ্বাস করে না। তিনি অবশ্য তাপমাত্রাজনিত মৃত্যুর পূর্বাভাস সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
মানুষ গরমে কীভাবে মারা যায়
চরম তাপে মানবদেহের তাপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ঘাম ঝরা বন্ধ হয়ে যায়, এরপর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অঙ্গ বিকল হওয়া এবং শেষে মৃত্যু ঘটে।
বিশেষ ঝুঁকিতে থাকে—বাইরে কাজে নিয়োজিত শ্রমিক, শিশু, বৃদ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা। এ ছাড়া যাদের ঘরে এসি বা তাপ কমানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব রয়েছে তারাও ঝুঁকিতে আছে।
ফল কোথায় সবচেয়ে ভয়াবহ?
ব্রেসলারের হিসাব অনুযায়ী, নাইজার ও সোমালিয়াতে মাথাপিছু তাপসম্পর্কিত মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হবে। তবে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হবে ভারত। বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ পাকিস্তানে। সেখানে ৬-৭ শতাংশ মানুষ তাপমাত্রাজনিত কারণে মারা যেতে পারে। বাংলাদেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২.১ শতাংশের বাস। এখানে তাপমাত্রাজনিত কারণে ১-২ শতাংশ মানুষ মারা যেতে পারে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশ হলেও, সেখানে মৃত্যুর হার মাত্র ১ শতাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রে তাপসংক্রান্ত মৃত্যু ২০০০ সালের পর থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
উল্টো পথে হাঁটছেন ট্রাম্প
গত বছর অর্থাৎ বাইডেন প্রশাসন কয়েক দশকের মধ্যে জলবায়ুনীতিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউসে ফিরে প্রথম দিনই ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন। এরপর প্রথম ১০০ দিনে তিনি তাঁর আগের মেয়াদের সব জলবায়ুনীতি প্রত্যাহার করেন।
পরিস্থিতি পাল্টাতে কী প্রয়োজন
বেন্টলি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ আর. ড্যানিয়েল ব্রেসলার বলেন, ‘যদি আপনি নির্গমন বাড়ান, মৃত্যুও বাড়বে। আর নির্গমন কমালে, জীবন বাঁচবে। এ ছাড়া, দেশগুলো কত দ্রুত নির্গমন কমায়, বাজার কীভাবে বদলায় এবং ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টরা কী সিদ্ধান্ত নেন তার ওপরও এটি নির্ভর করবে।’
অর্থনীতিবিদ আর. ড্যানিয়েল ব্রেসলার আরও বলেন, ‘যদি ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নির্গমন প্রায় শূন্যে নেমে আসে, তাহলে তাপমাত্রাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২১০০ সালের মধ্যে ৯০ লাখে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবুও চলতি বছরেই ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তনের ফলে ৬ লাখ ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।’

বিশ্ব যখন জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ুবিরোধী নীতি গ্রহণ করেছেন। আতঙ্কের বিষয় হলো, ট্রাম্পের এই নীতি আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
প্রোপাবলিকা ও ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের যৌথ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে জীবাশ্ম জ্বালানি সম্প্রসারণ ও নির্গমন হ্রাস উদ্যোগ বাতিলের ফলে অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হবে। এতে ভবিষ্যতে শুধু তাপমাত্রাজনিত কারণেই ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গবেষণা বলছে, আগামী দশকগুলোতে তীব্র গরমে প্রাণহানি সবচেয়ে বেশি হবে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার দরিদ্র ও উষ্ণ দেশগুলোতে। এই দেশগুলো বৈশ্বিক দূষণের তুলনামূলক কম অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও তাপমাত্রা বৃদ্ধির মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় অপ্রস্তুত। তাই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হবে এসব দেশে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ট্রাম্পের জলবায়ুবিরোধী নীতির ফলে ২০৩৫ সালের পর পরবর্তী ৮০ বছরে অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে বিশ্বজুড়ে ১৩ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আর এর সবই হবে তাপমাত্রাজনিত কারণে। প্রকৃতপক্ষে তাপমাত্রাজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি, তবে শীত-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসায় মোট হিসাবে কিছুটা ভারসাম্য হতে পারে।
জলবায়ু সম্মেলনে অনুপস্থিত যুক্তরাষ্ট্র
ব্রাজিলের বেলেমে (কপ-৩০) জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশের প্রতিনিধিরা একত্র হলেও যুক্তরাষ্ট্র এই সম্মেলনে যোগ দেয়নি। বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র ৪ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ২০ শতাংশ! এ কারণে কপ-৩০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।
যেভাবে হিসাব করা হলো ১৩ লাখ মৃত্যুর পূর্বাভাস
প্রোপাবলিকা ও দ্য গার্ডিয়ান গবেষণায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি পরিবর্তনের ফলে অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের পরিমাণ বের করতে রোডিয়াম গ্রুপের (Rhodium Group) মডেল ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যম পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫.৭ বিলিয়ন টন কার্বন নির্গমন হবে। এতে বৈশ্বিক তাপমাত্রাজনিত কারণে ১৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
গবেষণায় ‘মরটালিটি কোস্ট অব কার্বন’ (Mortality Cost of Carbon) নামের একটি স্বীকৃত মেট্রিক ব্যবহার করা হয়েছে। বেন্টলি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ আর. ড্যানিয়েল ব্রেসলার এটি তৈরি করেছেন। তাঁর গবেষণা অনুযায়ী, একটি মৃত্যু ঘটাতে গড়ে ৪ হাজার ৪৩৪ টন কার্বন নিঃসরণই যথেষ্ট। জীবদ্দশায় ৩.৫ জন আমেরিকান গড়ে ঠিক এ পরিমাণ কার্বন নির্গমন করেন।
ব্রেসলারের মতে, যদি বৈশ্বিক নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে ২১০০ সালের মধ্যে মানবসৃষ্ট তাপমাত্রাজনিত মৃত্যু ৮ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছাতে পারে।
ইফে কিলিমানজারো ইউএস ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘সংখ্যাগুলো ভয়ংকর। কিন্তু এগুলো শুধু সংখ্যা নয়; এগুলো মানুষের জীবন, পরিবারের গল্প, তাদের স্বপ্ন।’
ট্রাম্প প্রশাসনের জলবায়ুবিরোধী সিদ্ধান্তগুলো কী
যুক্তরাষ্ট্রে গত এক বছরে ট্রাম্প প্রশাসন ও রিপাবলিকানদের সহায়তায় জলবায়ুসংক্রান্ত অনেক পদক্ষেপ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও উৎপাদন খাতের ট্যাক্স ক্রেডিট কাটা, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দূষণ নিয়ন্ত্রণ শিথিল, সরকারি জমিতে ড্রিলিং সহজ করা, যানবাহনের নির্গমন নিয়ন্ত্রণ বাতিল, তেল-গ্যাস শিল্পে দূষণ সীমাবদ্ধতা প্রত্যাহার ও মিথেন নির্গমন কমানোর উদ্যোগ বন্ধ।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডোয়ের স্কুল অব সাসটেইনেবিলিটির অর্থনীতিবিদ মার্শাল বার্ক বলেন, ‘ট্রাম্পের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী জলবায়ু নীতি কার্যকর হয়েছিল। সেগুলো প্রত্যাহার করা মানে সরাসরি বৈশ্বিক ক্ষতি বাড়ানো।’
তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টেইলর রজার্স দাবি করেন, ‘আমেরিকা বামপন্থীদের ভুয়া জলবায়ু দাবিতে বিশ্বাস করে না। তিনি অবশ্য তাপমাত্রাজনিত মৃত্যুর পূর্বাভাস সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
মানুষ গরমে কীভাবে মারা যায়
চরম তাপে মানবদেহের তাপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ঘাম ঝরা বন্ধ হয়ে যায়, এরপর অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অঙ্গ বিকল হওয়া এবং শেষে মৃত্যু ঘটে।
বিশেষ ঝুঁকিতে থাকে—বাইরে কাজে নিয়োজিত শ্রমিক, শিশু, বৃদ্ধ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা। এ ছাড়া যাদের ঘরে এসি বা তাপ কমানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাব রয়েছে তারাও ঝুঁকিতে আছে।
ফল কোথায় সবচেয়ে ভয়াবহ?
ব্রেসলারের হিসাব অনুযায়ী, নাইজার ও সোমালিয়াতে মাথাপিছু তাপসম্পর্কিত মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হবে। তবে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি হবে ভারত। বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র ৩ শতাংশ পাকিস্তানে। সেখানে ৬-৭ শতাংশ মানুষ তাপমাত্রাজনিত কারণে মারা যেতে পারে। বাংলাদেশে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২.১ শতাংশের বাস। এখানে তাপমাত্রাজনিত কারণে ১-২ শতাংশ মানুষ মারা যেতে পারে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বড় দূষণকারী দেশ হলেও, সেখানে মৃত্যুর হার মাত্র ১ শতাংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রে তাপসংক্রান্ত মৃত্যু ২০০০ সালের পর থেকে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
উল্টো পথে হাঁটছেন ট্রাম্প
গত বছর অর্থাৎ বাইডেন প্রশাসন কয়েক দশকের মধ্যে জলবায়ুনীতিতে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু হোয়াইট হাউসে ফিরে প্রথম দিনই ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন। এরপর প্রথম ১০০ দিনে তিনি তাঁর আগের মেয়াদের সব জলবায়ুনীতি প্রত্যাহার করেন।
পরিস্থিতি পাল্টাতে কী প্রয়োজন
বেন্টলি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতিবিদ আর. ড্যানিয়েল ব্রেসলার বলেন, ‘যদি আপনি নির্গমন বাড়ান, মৃত্যুও বাড়বে। আর নির্গমন কমালে, জীবন বাঁচবে। এ ছাড়া, দেশগুলো কত দ্রুত নির্গমন কমায়, বাজার কীভাবে বদলায় এবং ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টরা কী সিদ্ধান্ত নেন তার ওপরও এটি নির্ভর করবে।’
অর্থনীতিবিদ আর. ড্যানিয়েল ব্রেসলার আরও বলেন, ‘যদি ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নির্গমন প্রায় শূন্যে নেমে আসে, তাহলে তাপমাত্রাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২১০০ সালের মধ্যে ৯০ লাখে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবুও চলতি বছরেই ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তনের ফলে ৬ লাখ ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।’

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফল্য ও সংকট।
বইটি লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সিএনএন লিখেছে—২৫ বছরের বন্ধুত্বে সহকর্মী ডেল মিকুয়েলের মুখে ‘একদিন এ নিয়ে বই লিখব’ কথাটি বহুবার শুনেছিলেন স্ল্যাগট। কিন্তু সেই বই আর লেখা হয়নি। অবশেষে ২০২১ সালে স্ল্যাগট নিজেই উদ্যোগ নেন। চার বছর পর ৫১২ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি তুলে ধরেন কীভাবে রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমুর বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হয়েছে।
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাশিয়ায় প্রায় তিন হাজার বাঘ থাকলেও ১৯৩০-এর দশকে সেই সংখ্যা নেমে আসে মাত্র ৩০ টিতে। পরে শিকার নিষেধাজ্ঞা ও সংরক্ষিত এলাকা গড়ে ওঠায় পরিস্থিতির উন্নতি হয়। তবে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর দারিদ্র্য ও অবৈধ শিকারের কারণে আবারও বাঘের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ে। ঠিক সেই সময় শুরু হয় সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট।
এই প্রকল্পে মার্কিন বিজ্ঞানীরা অর্থ ও প্রযুক্তি সহায়তা দেন, আর রুশ সংরক্ষণবিদেরা মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। রেডিও ও জিপিএস কলার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাঘের চলাচল, খাদ্যাভ্যাস ও জীবনচক্র সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। প্রকল্প চলাকালে ১১৪টি বাঘ ধরা ও ছাড়া হয়। এর মধ্যে ‘ওলগা’ নামের একটি বাঘকে ১৩ বছর ধরে অনুসরণ করা হয়—যা গবেষকদের কাছে তাকে শুধু গবেষণার নম্বর নয়, এক জীবন্ত চরিত্রে পরিণত করে।
দেখা গিয়েছিল—প্রকল্পটির প্রথম এক দশকে যতগুলো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, তার ৭৫ শতাংশই ছিল চোরাশিকারের ফল। স্ল্যাগট লিখেছেন, বাঘের জীবন মোটেও শান্ত বা রোমান্টিক নয়—বরং সহিংস জীবন তাদের।
ওই প্রকল্পের গবেষণার ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছিল নতুন সংরক্ষিত এলাকা। এর ফলে সুরক্ষিত বনভূমির পরিমাণ দ্বিগুণ হয়। তবে ২০১০ সালের পর বিদেশি সংস্থার ওপর রুশ সরকারের সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর অনেক আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দেশটিতে নিষিদ্ধ হয়।
রাশিয়ার সরকার বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি করলেও আইইউসিএন-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক বাঘের সংখ্যা এখন ২৬৫ থেকে ৪৮৬-এর মধ্যে, যা স্থিতিশীল হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয়। স্ল্যাগটের মতে, পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটি একটি সাফল্য, যা টিকিয়ে রাখতে হলে নিয়মিত নজরদারি ও আন্তর্দেশীয় সহযোগিতা অপরিহার্য।

বিশ্ব যখন জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ুবিরোধী নীতি গ্রহণ করেছেন। আতঙ্কের বিষয় হলো, ট্রাম্পের এই নীতি আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৬০ জন ট্রাফিক সার্জেন্ট, বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচজন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনেরা অংশ নেন।
কর্মশালায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এবং সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান (এনডিসি)।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ট্রাফিক সার্জেন্টদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে ভলান্টিয়ারদের সম্পৃক্ত করে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পেইন শুরু করব। কয়েকটি নীরব এলাকাকে এবার আমরা শব্দ দূষণমুক্ত করতে চাই।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জানুয়ারি মাসে চলেন আমরা হর্নের বিরুদ্ধে অভিযান এবং সচেতনতা একসাথে পরিচালনা করি এবং এটা চলমান রাখতে হবে। কারণ, আমাদের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে—সেটা এক দিনে হবে না, কিন্তু চেষ্টাটা চালিয়ে যেতে হবে।’ এই বিধিমালা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া কর্মশালায় শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ নিয়ে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু। তিনি জানান, হালনাগাদ বিধিমালায় প্রথমবারের মতো পুলিশকে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত আছেন ৪ হাজার ১০৫ জন। এই জনবল দিয়ে দুই কোটি মানুষের ঢাকা শহরকে ট্রাফিকিং করা খুবই চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু তারপরও ডিএমপির ট্রাফিক সদস্যগণ নিরলসভাবে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।’
আনিছুর রহমান আরও বলেন, এই বিধিমালায় যেহেতু ট্রাফিক সার্জেন্টদের ক্ষমতায়িত করা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোতে ৯৮০ জন ট্রাফিক পুলিশ রয়েছেন—তাঁদের দিয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ট্রাফিক সার্জেন্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। এই যে উনারা রাত-দিন, ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁর কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগটুকু যেহেতু পেয়েছি, কাজেই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
নিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, ‘পরিবেশর সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টিকে আমাদের সবার চর্চার মধ্যে আনতে হবে। একটু একটু করে করতে থাকলে একদিন নিশ্চয়ই একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।’
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিধিমালা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানমও বক্তব্য দেন।
কর্মশালায় বিগত থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকার জন্য উপাচার্যকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের পক্ষ থেকে ডিএমপিকে ৫০টি সাউন্ড লেভেল মিটার দেওয়া হয়, যার একটি ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের হাতে তুলে দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বিশ্ব যখন জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ুবিরোধী নীতি গ্রহণ করেছেন। আতঙ্কের বিষয় হলো, ট্রাম্পের এই নীতি আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৫৪। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেচারাম দেউরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ পল্লবী, শান্তা ফোরাম, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫০৭। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (১৯১), পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), ভারতের কলকাতা (১৮১) ও মুম্বাই (১৬৫)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা। আইকিউএয়ারের সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৫৪। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, পেয়ারাবাগ রেল লাইন, বেচারাম দেউরি, কল্যাণপুর, দক্ষিণ পল্লবী, শান্তা ফোরাম, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে থাকা দিল্লির একিউআই স্কোর ৫০৭। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (১৯১), পাকিস্তানের লাহোর (১৯১), ভারতের কলকাতা (১৮১) ও মুম্বাই (১৬৫)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

বিশ্ব যখন জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ুবিরোধী নীতি গ্রহণ করেছেন। আতঙ্কের বিষয় হলো, ট্রাম্পের এই নীতি আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকালবেলা রাজধানী ঢাকার আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। তাপমাত্রাও গতকাল শনিবারের চেয়ে বেড়েছে। আগের দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ থেকে সামান্য বেড়ে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকালবেলা রাজধানী ঢাকার আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। তাপমাত্রাও গতকাল শনিবারের চেয়ে বেড়েছে। আগের দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ দশমিক ৯ থেকে সামান্য বেড়ে আজ সকাল ৬টায় ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৪ মিনিটে।

বিশ্ব যখন জলবায়ুসংকট মোকাবিলায় সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করছে, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ুবিরোধী নীতি গ্রহণ করেছেন। আতঙ্কের বিষয় হলো, ট্রাম্পের এই নীতি আগামী কয়েক দশকে বৈশ্বিক উষ্ণতা-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
১৯ নভেম্বর ২০২৫
রাশিয়ার আমুর বা সাইবেরিয়ান বাঘ রক্ষার দীর্ঘ ও নাটকীয় সংগ্রামের ভেতরের গল্পটি তুলে ধরেছে নতুন একটি বই। ‘টাইগার্স বিটুইন এম্পায়ার্স’ নামের এই বইটি লিখেছেন বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী জনাথন স্ল্যাগট। এতে উঠে এসেছে বিশ্বের দীর্ঘতম বাঘ গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে পরিচিত ‘সাইবেরিয়ান টাইগার প্রজেক্ট’–এর ইতিহাস, সাফ
১ ঘণ্টা আগে
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন জারি করা শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এক দিকনির্দেশনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর অডিটরিয়ামে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
৫ ঘণ্টা আগে
দিল্লির বাতাসের অবস্থা আবারও দুর্যোগপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ রোববার দূষিত শহর তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
১৪ ঘণ্টা আগে